মোহামেদ বুয়াজিজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২২ নং লাইন: ২২ নং লাইন:


==কাহিনীর সূত্রপাত==
==কাহিনীর সূত্রপাত==
[[Image:Caravane de la libération 4.jpg|thumb|left|100px|তিউনিসিয়ান বিক্ষোভিরা।]]
[[File:Mother of Mohamed Bouazizi.jpg|thumb|left|100px|মোহাম্মদ বুয়াজিজির মা।]]
[[File:French support Bouazizi.jpg|thumb|left|100px|ফরাসি বিক্ষোভ।]]
স্নাতক পাস করে বুয়াজিজি কোনো চাকরি না পেয়ে স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ সকালবেলায় তিউনিশিয়ার শহর সিদি বাওজিদে ফল বিক্রি করছিলেন বুয়াজিজি। পৌরসভার নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর ফাইদা হামদির সঙ্গে কথা কাটাকাটি বেধে যায় ঘুষের জন্য।। এক পর্যায়ে ইন্সপেক্টর বুয়াজিজি’র সকল পণ্য ঠেলা গাড়িটিসহ আটক করে নিয়ে যায়। বুয়াজিজি অনেক কাতর অনুনয় বিনয় করে তার পণ্যসহ গাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে মন গলেনি নগর কর্তৃপক্ষের। শেষমেষ মরিয়া বুয়াজিজি বাজার থেকে জ্বালানি কিনে এনে সরকারি ভবনের গেটের সামনে নিজেকে জ্বালিয়ে দেন।<ref name="bd-pratidin"></ref>
স্নাতক পাস করে বুয়াজিজি কোনো চাকরি না পেয়ে স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ সকালবেলায় তিউনিশিয়ার শহর সিদি বাওজিদে ফল বিক্রি করছিলেন বুয়াজিজি। পৌরসভার নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর ফাইদা হামদির সঙ্গে কথা কাটাকাটি বেধে যায় ঘুষের জন্য।। এক পর্যায়ে ইন্সপেক্টর বুয়াজিজি’র সকল পণ্য ঠেলা গাড়িটিসহ আটক করে নিয়ে যায়। বুয়াজিজি অনেক কাতর অনুনয় বিনয় করে তার পণ্যসহ গাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে মন গলেনি নগর কর্তৃপক্ষের। শেষমেষ মরিয়া বুয়াজিজি বাজার থেকে জ্বালানি কিনে এনে সরকারি ভবনের গেটের সামনে নিজেকে জ্বালিয়ে দেন।<ref name="bd-pratidin"></ref>
==মৃত্যু==
==মৃত্যু==
[[Image:Tunis Hôpital polytraumatisme.JPG|thumb|left|100px|ট্রমা সেন্টার যেখানে বুয়াজিজি মৃত্যুবরন করেন।]]
[[File:Mother of Mohamed Bouazizi.jpg|thumb|right|100px|মোহাম্মদ বুয়াজিজির মা।]]
১৮ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৪ জানুয়ারি মারা যান মোহাম্মদ বুয়াজিজি। তার মৃত্যুর খবরে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তিউনিসিয়ার তরুণ বিপ্লবীরা।<ref name="bd-pratidin"></ref>
১৮ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৪ জানুয়ারি মারা যান মোহাম্মদ বুয়াজিজি। তার মৃত্যুর খবরে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তিউনিসিয়ার তরুণ বিপ্লবীরা।<ref name="bd-pratidin"></ref>


==বিপ্লব==
==বিপ্লব==
[[Image:Tunis Hôpital polytraumatisme.JPG|thumb|right|100px|ট্রমা সেন্টার যেখানে বুয়াজিজি মৃত্যুবরন করেন।]]
মোহাম্মাদ বুয়াজিজির আত্ত্মাহুতির পর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। পতন ঘটে ২৩ বছরের স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বিন আলির।<ref name="">''[http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=69670 তিউনিসিয়ায় সরকার গঠনে ঐকমত্য]'', দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২১-১১-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref>মাত্র একমাসের মাথায় ক্ষমতা থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন তিউনিশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বিন আলী।<ref name="bd-pratidin"></ref>
মোহাম্মাদ বুয়াজিজির আত্ত্মাহুতির পর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। পতন ঘটে ২৩ বছরের স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বিন আলির।<ref name="">''[http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=69670 তিউনিসিয়ায় সরকার গঠনে ঐকমত্য]'', দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২১-১১-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref>মাত্র একমাসের মাথায় ক্ষমতা থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন তিউনিশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বিন আলী।<ref name="bd-pratidin"></ref>

==গ্যালারি==
<gallery>
Image:Caravane de la libération 4.jpg|তিউনিসিয়ান বিক্ষোভিরা।
File:French support Bouazizi.jpg|ফরাসি বিক্ষোভ।
File:Tunisian Revolution RCD headquarters.jpg|সেন্ট্রাল হেডকোয়ারটার তিউনিসিয়ার বাইরে বিক্ষোভিরা।
</gallery>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৫:৪২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোহাম্মদ বুয়াজিজি
محمد البوعزيزي
চিত্র:Mohamed Bouazizi.jpg
জন্ম
তারেক আল-তায়েব মোহাম্মদ বুয়াজিজি[১]

(১৯৮৪-০৩-২৯)২৯ মার্চ ১৯৮৪
Sidi Bouzid, Tunisia
মৃত্যু৪ জানুয়ারি ২০১১(2011-01-04) (বয়স ২৬)
Ben Arous, Tunisia
সমাধিGaraat Bennour cemetery
জাতীয়তাTunisian
অন্যান্য নামBasboosa
পেশাStreet vendor
পরিচিতির কারণSelf-immolation

মোহাম্মদ বুয়াজিজি তিউনিশিয়ার তরুন যিনি নিদারুণ অর্থনৈতিক সঙ্কট আর পুলিশি অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে নিজের শরীরেই আগুন জ্বালিয়ে দেন। তার শরীরের সেই আগুনের খবর দাবাগ্নির মতো ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে সেই আগুনের আঁচ লাগে সবার আগে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে আরব বিশ্বসহ সমগ্র বিশ্বে। ইতিহাসের পাতায় এই দাবানলের নাম হয়ে দাঁড়ালো 'আরব বসন্ত'।[২]

কাহিনীর সূত্রপাত

মোহাম্মদ বুয়াজিজির মা।

স্নাতক পাস করে বুয়াজিজি কোনো চাকরি না পেয়ে স্থানীয় বাজারে সবজি বিক্রি করতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ সকালবেলায় তিউনিশিয়ার শহর সিদি বাওজিদে ফল বিক্রি করছিলেন বুয়াজিজি। পৌরসভার নারী পুলিশ ইন্সপেক্টর ফাইদা হামদির সঙ্গে কথা কাটাকাটি বেধে যায় ঘুষের জন্য।। এক পর্যায়ে ইন্সপেক্টর বুয়াজিজি’র সকল পণ্য ঠেলা গাড়িটিসহ আটক করে নিয়ে যায়। বুয়াজিজি অনেক কাতর অনুনয় বিনয় করে তার পণ্যসহ গাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে মন গলেনি নগর কর্তৃপক্ষের। শেষমেষ মরিয়া বুয়াজিজি বাজার থেকে জ্বালানি কিনে এনে সরকারি ভবনের গেটের সামনে নিজেকে জ্বালিয়ে দেন।[২]

মৃত্যু

ট্রমা সেন্টার যেখানে বুয়াজিজি মৃত্যুবরন করেন।

১৮ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ৪ জানুয়ারি মারা যান মোহাম্মদ বুয়াজিজি। তার মৃত্যুর খবরে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে তিউনিসিয়ার তরুণ বিপ্লবীরা।[২]

বিপ্লব

মোহাম্মাদ বুয়াজিজির আত্ত্মাহুতির পর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। পতন ঘটে ২৩ বছরের স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বিন আলির।[৩]মাত্র একমাসের মাথায় ক্ষমতা থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন তিউনিশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বিন আলী।[২]

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

  1. Encyclopædia Britannica: Mohamed Bouazizi
  2. বিপ্লবী বুয়াজিজি,শাকিল মাহমুদ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২০-০৩-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  3. তিউনিসিয়ায় সরকার গঠনে ঐকমত্য, দৈনিক সংগ্রাম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২১-১১-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ

[[বিষয়শ্রেণী:]] [[বিষয়শ্রেণী:]]