বিষয়বস্তুতে চলুন

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Wikibroy (আলোচনা | অবদান)
→‎ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: বানান সংশোধন, বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Wikibroy (আলাপ)-এর সম্পাদিত 3362227 নম্বর সংশোধনটি বাতিল করা হয়েছে
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{context|date=জুন ২০১৮}}
{{context|date=জুন ২০১৮}}
==ভিটামিন বি কমপ্লেক্স==
==ভিটামিন বি==
ভিটামিন বি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামেও পরিচিত। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় এবং ভঙ্গুর। বি ভিটামিনের অনেকগুলো কার্বোহাইড্রেট বিপাকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
ভিটামিন বি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামেও পরিচিত। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় এবং ভঙ্গুর। বি ভিটামিনের অনেকগুলো কার্বোহাইড্রেট বিপাকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।


ভিটামিন বি ওয়ান বা থায়ামিন
আটটি বি ভিটামিনকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়। এরা খাদ্যকে এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। সঠিক বৃদ্ধির জন্য রক্তকোষ, হরমোন ও নার্ভাস সিস্টেমের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অত্যাবশ্যকীয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ৮ টি ভিটামিন হল-
ভিটামিন ব১-এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন যা একটি বর্ণহীন, কেলাসাকৃতির পদার্থ। থায়ামিন শরীরের ভিতর থায়ামিন পাইরোফস্ফেটে পরিণত হয় যা কার্বোহাইড্রেট বিপাকে একটি সহ-উৎসেচক (যা উৎসেচকের সাথে মিলিত হতে হয়ে কিছু আংশিক বিক্রিয়া অণুঘটিত করে) হিসেবে কাজ করে । থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি রোগ হয় যা পেশী দূর্বল করে দেয়। এছাড়াও হৃৎপিণ্ডের আকার বেড়ে যাওয়া, পায়ে খিল ধরা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই ভিটামিনের অভাব কাজ করে। স্নায়ু উদ্দীপক পদার্থ সংশ্লেষণে এটি ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বেশী থায়ামিন সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে রয়েছে: শূকরের মাংস, যকৃত, হৃৎপিণ্ড এবং বৃক্কের মাংস, ভাঁটিখানার ঈস্ট, চর্বিহীন মাংস, ডিম, ঢেকিছাটা চাল, শস্যদানা, গমের বীজ, বৈঁচী (এ ধরণের বীচিশূন্য ফল),চিনাবাদাম এবং শুঁটি। শস্যপেষাই কলের মাধ্যমে শস্যদানা ঝালঅই করার সময় এর থায়ামিনসমৃদ্ধ অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল বা পেষাইকৃত গমে থায়ামিনের পরিমাণ কম থাকে। বর্তমানকালের গবেষণায় চাল ও গমে থায়ামিনের পরিমাণ বেশ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তথাপি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা রয়েই গেছে।

১। থায়ামিন(বি ১),

২। রিবোফ্লাবিন(বি ২),

৩। নায়াসিন(বি ৩),

৪। পেন্টোথেনিক এসিড(বি ৫),

৫। পাইরিডক্সিন(বি ৬),

৬। বায়োটিন(বি ৭),

৭। ফোলেট(বি ৯) এবং

৮। কোবালামিন(বি ১২)

এসব ভিটামিন পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, এবং প্রতিদিনের খাবারে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকা আবশ্যক। শরীরে এসব ভিটামিন এর অভাবে হতে পারে বিভিন্ন রোগব্যাধি। আসুন জেনে নিই

==ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর কিছু অভাবজনিত রোগঃ==

ভিটামিন বি ১ – এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। দূর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত পা ব্যাথা করা ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ১ এর অভাবে হয়ে থাকে।

ভিটামিন বি ২ – ঠোঁট এবং তালু ফাটা, ঠোঁটের কোনায় ঘা, গলা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ভিটামিন বি ২ এর অভাবে হয়ে থাকে।

ভিটামিন বি ৩ – চুলকানি, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, দূর্বলতা এবং ডাইরিয়া বি ৩ এর অভাবে হয়ে থাকে।

ভিটামিন বি ৫ – এর অভাবে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন বি ৬ – উচ্চ রক্তচাপ,রক্ত স্বল্পতা,বিষন্নতা এবং ত্বকের সমস্যা ভিটামিন বি ৬ এর অভাবে অভাবে হয়ে থাকে।

ভিটামিন বি ৭ – শিশুদের বৃদ্ধি এবং মানসিক বৃদ্ধি ভিটামিন বি ৭ এর অভাবে ব্যাহত হয়।

ভিটামিন বি ৯ – অভাবে রক্ত স্বল্পতা হয়। গর্ভবতি মায়েদের ভিটামিন বি ৯ এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর জন্মবিকৃতি ঘটে থাকে।

ভিটামিন বি ১২ – এর অভাবে রক্তস্বল্পতা এবং মানসিক সমস্যা দেখা যায়।


==ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর উৎসঃ==

ভিটামিনগুলো সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যায় আবার খাদ্য থেকেও পাওয়া যায়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খাদ্যের উৎসগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-

প্রায় সকল প্রাকৃতিক খাবারে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায় ।সব্জি ও ফলে যথেষ্ট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়। তবে বিশেষ ভাবে ভিটামিন বি ১২‘র জন্য ডিম ও দুধ খাওয়া প্রয়োজন যা প্রাণীজ ভিটামিন।

১। মাছঃ মাছ ভিটামিন বি ১২ এর সমৃদ্ধ উৎস। মাছের কোষে ভিটামিন সঞ্চিত করতে পারে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। সারডিন, স্যালমন ও খোলসযুক্ত মাছে বি ভিটামিন পাওয়া যায়।

২। গরুর কলিজাঃ বি ভিটামিনের একটি অন্যতম ভালো উৎস হচ্ছে গরুর কলিজা। বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, বি ৬, বি ৯ ও বি ১২ এ ভরপুর থাকে গরুর কলিজায়। বি ৬, বি ৯ ও বি ১২ এর দৈনিক চাহিদার অর্ধেকের বেশি পূরণ করতে পারে ৬৮ গ্রাম ওজনের গরুর কলিজার একটি টুকরা । ফোলেট(বি ৯) জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে, ভালো ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণের হরমোন সেরেটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে বি ৬ এবং লাল রক্ত কণিকার গঠনে সাহায্য করে বি ১২।

৩। মুরগীঃ সারাবছরই সহজলভ্য বি কমপ্লেক্সের ভালো ও ব্যতিক্রমী উৎস হচ্ছে মুরগীর মাংস। এছাড়াও আমিষ ও খনিজেও পরিপূর্ন থাকে মুরগীর মাংস। রান্না করা মুরগীর বুকের মাংসে নায়াসিন (বি ৩), পেন্টোথেনিক এসিড(বি ৫), পাইরিডক্সিন(বি ৬) এ প্রচুর পরিমাণে থাকে যা বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয়। মুরগীর বুকের মাংসের ৪ আউন্স ৭২% নায়াসিন, ১০.৬% পেন্টোথেনিক এসিড এবং ৩২% পাইরিডক্সিন সরবরাহ করে।

৪। ডিম ও দুধঃ সিদ্ধ, পোচ বা ভাঁজা যেভাবেই খাওয়া হোকনা কেন বি ভিটামিনের চমৎকার উৎস ডিম। ডিমে প্রায় প্রতিটা বি ভিটামিনই পাওয়া যায়। ভিটামিন বি ১২ এর সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিমের কুসুম, যা লাল রক্ত কণিকার উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিমে নায়াসিন, ভিটামিন বি ৬ ও বায়োটিন থাকে যা বিপাকের নিয়ন্ত্রণে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যে থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন ও বি ১২ থাকে। এছাড়াও সামান্য পরিমাণে বি ৩, বি ৫, বি ৯ এবং বি ৬ ও থাকে। ১ গ্লাস দুধে ভিটামিন বি ১২ থাকে ১০০%, থায়ামিন থাকে ১৫%, রিবোফ্লাবিন থাকে ৪৫%, নায়াসিন থাকে ৩%, ফোলেট থালে ৯.৩% এবং সামান্য পরিমাণে পাইরিডক্সিন থাকে।

৫। মটরশুঁটিঃ বি কমপ্লেক্স ভিটামিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস মটরশুঁটি। বিভিন্ন ধরণের মটরশুঁটি, শিমের বীচি ও ছোলাতে থায়ামিন, নায়াসিন, ফোলেট এবং রিবোফ্লাভিন এ সমৃদ্ধ থাকে। ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে , প্রদাহ কমাতে এবং খাদ্যকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে এই ভিটামিনগুলো। মটরশুঁটির ফোলেট ও ভিটামিন বি ৬ কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়াও সয়া দুধ, ওট, বাদাম ও বীজ, পালং শাক, কলা ইত্যাদি খাবারগুলো ভিটামিন বি ১২ এর ভাল উৎস।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন,তা ব্যতীত নয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কারো পেটে ব্যথা, বমি-বমি ভাব ও এসিডিটি হতে পারে। কারো কারো গাল লালচে হয়ে যায়। এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত দুই-তিন দিনেই ভালো হয়ে যায়। যদি না হয় তবে ওষুধটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ‘বি‘ কমপ্লেক্স সেবনে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশন দেখা যায়। এতে গায়ে র‌্যাশ হয়, চুলকায়, মাথা ঝিমঝিম করে, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।

০৪:৪২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভিটামিন বি

ভিটামিন বি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স নামেও পরিচিত। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয় এবং ভঙ্গুর। বি ভিটামিনের অনেকগুলো কার্বোহাইড্রেট বিপাকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

ভিটামিন বি ওয়ান বা থায়ামিন ভিটামিন ব১-এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন যা একটি বর্ণহীন, কেলাসাকৃতির পদার্থ। থায়ামিন শরীরের ভিতর থায়ামিন পাইরোফস্ফেটে পরিণত হয় যা কার্বোহাইড্রেট বিপাকে একটি সহ-উৎসেচক (যা উৎসেচকের সাথে মিলিত হতে হয়ে কিছু আংশিক বিক্রিয়া অণুঘটিত করে) হিসেবে কাজ করে । থায়ামিনের অভাবে বেরিবেরি রোগ হয় যা পেশী দূর্বল করে দেয়। এছাড়াও হৃৎপিণ্ডের আকার বেড়ে যাওয়া, পায়ে খিল ধরা এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ হিসেবে এই ভিটামিনের অভাব কাজ করে। স্নায়ু উদ্দীপক পদার্থ সংশ্লেষণে এটি ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বেশী থায়ামিন সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে রয়েছে: শূকরের মাংস, যকৃত, হৃৎপিণ্ড এবং বৃক্কের মাংস, ভাঁটিখানার ঈস্ট, চর্বিহীন মাংস, ডিম, ঢেকিছাটা চাল, শস্যদানা, গমের বীজ, বৈঁচী (এ ধরণের বীচিশূন্য ফল),চিনাবাদাম এবং শুঁটি। শস্যপেষাই কলের মাধ্যমে শস্যদানা ঝালঅই করার সময় এর থায়ামিনসমৃদ্ধ অংশগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই চাল বা পেষাইকৃত গমে থায়ামিনের পরিমাণ কম থাকে। বর্তমানকালের গবেষণায় চাল ও গমে থায়ামিনের পরিমাণ বেশ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, তথাপি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা রয়েই গেছে।