বিয়ার

বিয়ার (ইংরেজি: Beer) পৃথিবীর সবথেকে বেশি খেয়ে থাকা একটি জনপ্রিয় ড্রিঙ্ক। [১] এবং সম্ভবত এটি প্রাচীনতম পানীয়। [২] জল ও চায়ের পর বিয়ারের স্থান মানে তৃতীয় অবস্থানে এর স্থান। [৩] বিয়ার উৎপাদিত হয় গম, ভুট্টা (ভূট্টা) গাঁজনকৃত ও কার্বনযুক্ত করে যদিও প্রধানত খাদ্যশস্য শস্য হতে প্রাপ্তও শর্করা গাঁজন করে বিয়ার বানান হয়, তবে বার্লি আর ধান ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। [৪]
অনেকেই বলে থাকেন যে, বিয়ার পান করলে কোনও ক্ষতি হয় না। নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিয়ার পান শরীরের উপকার করে থাকে। বিয়ার পানের আগে তার উপকারিতা যেমন জেনে রাখা উচিত, তেমনই জেনে রাখা ভালো বিয়ার পানের ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেটিও—
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কোনও কিছুই খেলে বা পান করলে, তা শরীরের ক্ষতি করে দেয়। বিয়ারের ক্ষেত্রেও এই কথাটি খাটে। ওয়াইনের তুলনায় বিয়ারে অ্যালকোহলের পরিমাণ কম হয়। এতে কোনও প্রিসারভেটিভ থাকে না। পাউরুটির মতো প্রোসেসড ও ফার্মেন্ট করা হয়। কিছু কিছু সমীক্ষায় একে হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী বলা হয়েছে।
বিয়ারে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল থাকে। এতে ভিটামিন বি৬, বি, ফলিক অ্যাসিড ও দ্রাহ্য ফ্যাট থাকে। শরীরের পক্ষে এটি উপকারী। বিয়ার পান করলে হোমোসিস্টিনের স্তর কমে। উল্লেখ্য এই হোমোসিস্টিনই হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিয়ার সম্ভবত দুনিয়ার সবচেয়ে পুরানো পানীয় যা নব্যপ্রস্তরযুগ এর প্রথম দিকে প্রস্তুত করা হয়।[৫] এই বিষয়ে প্রাচীন ইরাক ও প্রাচীন মিশরের লিখিত ইতিহাস হতে এর প্রাচীনতমতার বিবরণ পাওয়া যায় ।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://www.europeanbeerguide.net/eustats.htm#production
- ↑ https://books.google.com.bd/books?id=SHh-4M_QxEsC&pg=PA10&dq=oldest+beverage&q=oldest+beverage&hl=en#v=snippet&q=oldest%20beverage&f=false
- ↑ https://books.google.com.bd/books?id=6xul0O_SI1MC&pg=PA1&dq=most+consumed+beverage&hl=en
- ↑ Barth, Roger. The Chemistry of Beer: The Science in the Suds, Wiley 2013: আইএসবিএন ৯৭৮-১-১১৮-৬৭৪৯৭-০
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ http://www.britannica.com/topic/beer


