বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরী
আইএসআইয়ে নিজের অফিসে, বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরী ২০১৫
জন্ম১৯৫০ (বয়স ৭৩–৭৪)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তন
পরিচিতির কারণ
ওয়েবসাইটwww.isical.ac.in/~bbc/

বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরী ( বি বি চৌধুরী ) হলেন একজন বরিষ্ঠ কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক)। তিনি ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের (আইএসআই) সাথেও যুক্ত, সেখানে তিনি প্রায় তিন দশক ধরে অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আইএসআই- এর কম্পিউটার ভিশন এবং প্যাটার্ন পরিচিতি বিভাগের (এটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। অধিকন্তু, তিনি ছিলেন একজন জগদীশ চন্দ্র বোস ফেলো এবং আইএসআই- এর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (আইএনএই) [১]- এর বিশিষ্ট অধ্যাপক।

তিনি সোসাইটি ফর ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ টেকনোলজি রিসার্চের (এসএনএলটিআর) সহ-সভাপতি ছিলেন। [২]

প্রাথমিক গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল কম্পিউটার ভিশন, ইমেজ প্রসেসিং এবং প্যাটার্ন পরিচিতি।[৩] তিনি "ভারতীয় ভাষার লিপি ওসিআর " এর পথপ্রদর্শক।[৩]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরী ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) (১৯৬৯), বি টেক (১৯৭২) এবং এম টেক ডিগ্রি (১৯৭৪) অর্জন করেন। তিনি ১৯৮০ সালে কানপুরের ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[১] তিনি ১৯৮১ - ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে লেভারহুম ওভারসিজ ফেলোশিপের মাধ্যমে তাঁর পোস্ট-ডক্টরেটের কাজ করেছেন।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

"প্যাটার্ন পরিচিতি, বিশেষ করে ভারতীয় ভাষার লিপি ওসিআর, নথি প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে অবদানের জন্য" বিদ্যুৎ বরণ চৌধুরীকে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই-) এর আজীবন ফেলো নির্বাচিত করা হয়েছে।[৩][৪] "ভারতীয় ভাষায় অক্ষর শনাক্তকরণ এবং বাক সংশ্লেষণে অবদানের জন্য" তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্যাটার্ন রিকগনিশন (আইএপিআর) এর ফেলো হয়েছেন।[৫] এছাড়াও তিনি দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্স (টিডব্লিউএএস),[৬] ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমী (আইএনএসএ),[৭] ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (আইএনএই),[১] ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (এনএএসআই)[৮] এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট (আইইটিই) এর ফেলো।[৯] ২০১১ সালে, তিনি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ওম প্রকাশ ভাসিন পুরস্কার পান।

তাঁর কিছু কাজের বিষয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার ভারতীয় সংবাদপত্রেও প্রকাশিত হয়েছে।[১০][১১]

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানী এবং শীর্ষ ১০ ভারতীয় এআই বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "INAE Expert Pool"। INAE। ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. "Society for Natural Language Technology Research"। NLTR। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  3. "IEEE Life Fellow Dictionary"। IEEE। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  4. "IEEE Fellows in IEEE Region 10 Kolkata Section"। IEEE। ৫ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  5. "IAPR Fellows"। IAPR। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  6. "TWAS Fellow"। TWAS। ১৯ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  7. "INSA Fellow"। INSA। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  8. "NASI Fellows"। NASI। ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  9. "NASI Fellows"। NASI। ১৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  10. The Telegraph। "The Telegraph, India, Jan 29, 2004"। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  11. Jayanta Gupta (২১ আগস্ট ২০১৩)। "Now, software to decode Tagore's handwriting"The Times of India। TNN। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৮ 
  12. Ioannidis J.P.A., Boyack K.W., Baas J.। "Updated science-wide author databases of standardized citation indicators. PLoS Biol 18(10): e3000918, 2020."। ডিওআই:10.1371/journal.pbio.3000918 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]