বিট্রিস ওহেনেসিয়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিট্রিস ওহেনেসিয়ান
জন্ম১৫ মার্চ ১৯২৭
মৃত্যু১৭ জুলাই ২০০৮(2008-07-17) (বয়স ৮১)
জাতীয়তাআর্মেনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাজুলিয়ার্ড স্কুল, রয়্যাল একাডেমি অফ মিউজিক
পেশাসুরকার, সংগীতশিল্পী

বিট্রিস ওহেনেসিয়ান ( আর্মেনীয়: Բեատրիս Հովհաննիսյան, ১৫ মার্চ, ১৯২৭, বাগদাদ - ১৭ জুলাই, ২০০৮, ব্লুমিংটন, হেনিপিন কাউন্টি (মিনেসোটা), মিনেসোটা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)) ছিলেন একজন ইরাকি আর্মেনিয়ান পিয়ানোবাদক, তিনি প্রথম মহিলা সুরকার এবং ইরাকের প্রথম কনসার্টের পিয়ানোবাদক।[১]

জীবনপঞ্জি[সম্পাদনা]

১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদ এক সমৃদ্ধ আর্মেনিয়ান পরিবারে বিট্রিস জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার জন্ম পার্সিয়ায়, তাই ভারতে ব্রিটিশদের সাথে কাজ করবার পর বাগদাদে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান।[২] তার মা এবং দুই কাকা ছিলেন আর্মেনীয় গণহত্যার শিকার। পিতা-মাতা উভয়ই তাকে সংগীত অধ্যয়নের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন।[১][৩] পরবর্তীকালে, তিনি ওহানেসিয়ান চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং পিয়ানোতে অনার্স সহ স্নাতক হন।[৩] স্নাতক হওয়ার পরে, তিনি তার রোমানিয়ান পিয়ানো অধ্যাপক জুলিয়েন হার্টজের সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৪] ইরাকি সরকারের বৃত্তি তাকে অধ্যাপক ম্যাক্স পিরানির সাথে লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অফ মিউজিকে পড়াশোনা করার সুযোগ এনে দেয়।[৩] চার বছর পর, তিনি এলআরএম পান পিয়ানো বাজানো ও শিক্ষাদানে এবং গানের জন্য দ্বিতীয় অনার্স অর্জুন করেন।[৪] তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির জিলিয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট বৃত্তি অর্জন করেন এবং কার্নেগি হলে তিনি তার প্রথম আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। পরবর্তীকালে, ইরাকের ১৪ই জুলাই বিপ্লবের কারণে তার বৃত্তি আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।[৪]

দেশে ফেরে[সম্পাদনা]

মিনেসোটা, যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন বিট্রিস, মিনেসোটা অর্কেস্ট্রার সাথে কাজ করেন এবং তার ভাই আরশাম এবং তার স্ত্রীকে সঙ্গে দেখা করেন। এর কারণে হত তার মনে আমেরিকাতে থাকবার উতসাও দেখা দিলেও তার দেশ ইরাকে ফেরার প্রয়োজন অনুভব করেন। দেশা ফিরে বিট্রিস বাগদাদের ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউটে পিয়ানো বিভাগের প্রধান হিসাবে যোগ দেন। প্রায়ই গ্রীষ্মের বিরতিতে, তিনি বিভিন্ন দেশে ক্লাস এবং বাদ্যযন্ত্র সেমিনারে অংশ গ্রহণ করতেন। [৩] ১৯৬১ সালে, তিনি ইরাকি ন্যাশনাল সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার প্রধান সংগীতানুষ্ঠান পিয়ানোবাদী পদটিতে ভূষিত হন এবং ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অধিষ্ঠিত থাকেন।[১] ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি দু-দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাকালেস্টার কলেজে।[৩] ১৯৮০ সালে, ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় তিনি প্রথম ইরাকি হিসাবে পশ্চিম রচনা লেখেন। [৪] তার লেখা ইরাকি কর্মকর্তাদের সহ রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসেনের নজরে আসে। তার কৃতিত্বের জন্য তিনি কী পুরস্কার চাইবেন জানতে চাইলে তিনি একটি ভাল পিয়ানোর জন্য অনুরোধ করেন। [৫] তাকে একটি স্টিনওয়ে গ্র্যান্ড পিয়ানো দিয়ে পুরস্কারকৃত করা হ্যন। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে স্থাহি ভাবে থেকে যান, তবে পিয়ানোটিকে তার সঙ্গী করে তার সাথে আর নিয়ে যাওয়া হয়নি, পরবর্তীকালে, তার মৃত্যুর আগের বসন্তে, পিয়ানোটি, যেটিকে ইরাকি ন্যাশনাল সিম্ফনিতে তার এক বন্ধু সুরক্ষিত রেখেছিল, অবশেষে তার কাছে পৌছায় সঙ্গে ছিল তার কিছু পোশাক।[৬]

শেষের কয়েকদিন[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে, বিট্রিস তার ভাই আরশাম এবং বোন সীতাকে নিয়ে স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, মিনিয়াপলিস-সেন্ট পলে, বসবাস শুরু করেন। তিনি আবার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাকালেস্টার কলেজের পাশাপাশি সেন্ট থমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।[৫] তিনি সেন্ট পলের আর্মেনিয়ান অ্যাপোস্টলিক গির্জার অর্গানাইজিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনও করেছিলেন। [৩] তবে, তিনি ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন এবং অবশেষে, ৮১ বছর বয়সে, ব্লুমিংটনে ২০০৮-র ১৭ জুলাই, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Combs, Marianne. Music in Baghdad: An Iraqi pioneer looks back. Minnesota Public Radio. Retrieved August 7, 2008.
  2. Windle, Holly. Baghdad Barcarolle: How Beatrice Ohanessian became Iraq's foremost classical pianist. Nodin Press, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯৩২৪৭২-৭৮-৩, p. 10
  3. Obituaries. Star Tribune. Retrieved August 7, 2008.
  4. Boghosian Papas, Lisa. Twin Cities' Beatrice Ohanessian: A Famous Pianist and Pioneer of Music ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে. Armenian General Benevolent Union. Retrieved August 7, 2008.
  5. Cohen, Ben. Ohanessian was piano prodigy of Iraq, world. Star Tribune. Retrieved August 8, 2008.
  6. Klein, Allegra. Mission to Baghdad ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ মে ২০০৮ তারিখে. Strings Magazine. Retrieved August 8, 2008.