বাহাওয়ালপুর গির্জায় গোলাগুলি

স্থানাঙ্ক: ২৯°২৩′২৩.৯২″ উত্তর ৭১°৩৯′৪৪.৩″ পূর্ব / ২৯.৩৮৯৯৭৭৮° উত্তর ৭১.৬৬২৩০৬° পূর্ব / 29.3899778; 71.662306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাহাওয়ালপুর গির্জায় গোলাগুলি
পাকিস্তানের ধর্মীয় বৈষম্য-এর অংশ
বাহাওয়ালপুর পাঞ্জাব, পাকিস্তান-এ অবস্থিত
বাহাওয়ালপুর
বাহাওয়ালপুর
বাহাওয়ালপুর (পাঞ্জাব, পাকিস্তান)
বাহাওয়ালপুর পাকিস্তান-এ অবস্থিত
বাহাওয়ালপুর
বাহাওয়ালপুর
বাহাওয়ালপুর (পাকিস্তান)
স্থানসেইন্ট ডমিনিক গির্জা, বাহাওয়ালপুর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
স্থানাংক২৯°২৩′২৩.৯২″ উত্তর ৭১°৩৯′৪৪.৩″ পূর্ব / ২৯.৩৮৯৯৭৭৮° উত্তর ৭১.৬৬২৩০৬° পূর্ব / 29.3899778; 71.662306
তারিখ২৮ অক্টোবর ২০০১
লক্ষ্যখ্রিস্টান
হামলার ধরনব্যাপক গোলাগুলি
ব্যবহৃত অস্ত্রএকে-৪৭
নিহত১৮
ভুক্তভোগীখ্রিস্টান এবং গির্জার প্রহরী
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা
কারণআফগানিস্তান আক্রমণের প্রতিশোধ

বাহাওয়ালপুর গির্জায় বন্দুকধারীর গোলাগুলির ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল ২৮ অক্টোবর ২০০১ সালে। সেদিন ছয়জন লস্করে ঝংভির ছয়জন হামলাকারী পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরের সেন্ট ডমিনিকস গির্জায় আক্রমণ করে। গির্জার প্রহরী এবং ১৭ জন খ্রিস্টান নিহত হয়।

পটভূমি[সম্পাদনা]

পাকিস্তানে চরমপন্থীরা অমুসলিমদের টার্গেট করে। যেহেতু ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসনের সময় পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করেছিল, তাই সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।[১]

গোলাগুলি[সম্পাদনা]

তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা ছয়জন মুখোশধারী বন্দুকধারী তাদের একে-৪৭ রাইফেল বের করে যা তারা তাদের ব্যাগে লুকিয়ে রেখেছিল এবং গুলি শুরু করে। এ সময় গির্জার ভেতরে প্রায় ১০০ জন লোক ছিল। তারা প্রথমে গির্জার প্রহরীকে গেটে হত্যা করে তারপর গির্জায় ঢুকে উপাসকদের ওপর গুলি চালাতে থাকে।[২] শুটিংয়ের সময় তারা স্লোগান দিচ্ছিল, "আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, খ্রিস্টানদের কবরস্থান" এবং "আল্লাহু আকবর" (ঈশ্বর মহান) স্লোগান দিচ্ছিল। তারা ০৮:৫২ থেকে ০৮:৫৫ (পাকিস্তানের স্থানীয় সময়ে) পর্যন্ত ৩ মিনিটের জন্য গুলি চালায়।[৩] হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে।[২]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ হামলার জন্য প্রশিক্ষিত চরমপন্থীদের অভিযুক্ত করে বলেছেন যে তিনি খ্রিস্টানদের হত্যার জন্য দুঃখিত।[২]

হামলার দুই দিন পর, পুলিশ একটি ক্র্যাকডাউন শুরু করে এবং ২২জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করে।[৪] ২৮ জুলাই ২০০২-এ, লস্করে ঝংভির ৪ জন সন্দেহভাজন যারা অপরাধ করেছে বলে স্বীকার করেছে, একটি অতর্কিত হামলায় নিহত হয়েছিল।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Iqbal, Haider (১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Pakistan after 9/11"Pakistan Today। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭ 
  2. "Christians massacred in Pakistan"BBC News। ২৮ অক্টোবর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭ 
  3. "Bahawalpur Church carnage 2001, she still fears to speak"Pakistan Christian Post। ১০ আগস্ট ২০১৭। ১০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "Bahawalpur: 18 Christian killed in church attack"Geo Cities। ৩০ অক্টোবর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭ 
  5. "Church attack suspects die in ambush"The Daily Telegraph। ২৯ জুলাই ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৭