বানৌজা শাহ পরান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা শাহ পরান
নির্মাতা: অ্যাভনডেল শিপইয়ার্ডস, নিউ অরলিন্স, লস অ্যাঞ্জেলেস
নির্মাণের সময়: মে, ১৯৫৪
অর্জন: ১২ এপ্রিল, ১৯৯১
কমিশন লাভ: ১৬ মে, ১৯৯২
ডিকমিশন: ২০২২
শনাক্তকরণ: এল৯০১
অবস্থা: নিষ্ক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: এলসিইউ ১৫১২ শ্রেণীর ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি
ওজন: ৩৭৫ টন
দৈর্ঘ্য: ৪১.১ মিটার (১৩৫ ফু)
প্রস্থ: ৮.৮ মিটার (২৯ ফু)
গভীরতা: ১.৯ মিটার (৬.২ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ৪ × ডেট্রয়েট ৬-৭১ ৬৯৬ এইচপি (৫০৮ কিলোওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ১১ নট (২০ কিমি/ঘ; ১৩ মা/ঘ)
সীমা: ১,২০০ নটিক্যাল মাইল (১,৪০০ মা; ২,২০০ কিমি)
সহনশীলতা: ৭ দিন
লোকবল: ১৪ জন (২ জন কর্মকর্তা)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
এলএন ৬৬; আই-ব্যান্ড নেভিগেশন রাডার
রণসজ্জা: ২ × সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) শাহ পরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এলসিইউ ১৬১২-শ্রেণীর একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিউই) জাহাজ। এই জাহাজটিকে অ্যাভনডেল শিপইয়ার্ডস, নিউ অরলিন্স, লস অ্যাঞ্জেলেসে নির্মাণ করা হয়। এই জাহাজটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে উভচর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সেনাসদস্য, রসদ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন প্রকার সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

অ্যাভনডেল শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটিকে ১৯৫৪ সালের মে মাসে পানিতে ভাসানো হয়। সত্তরের দশকের শেষ পর্যন্ত এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে সার্ভিস প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের এপ্রিল মাসে এটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয় এবং জাহাজটি পুনঃসংস্করণের পর ১৬ মে, ১৯৯২ সালে কমিশন করা হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা শাহ পরান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪১.১ মিটার (১৩৫ ফু), প্রস্থ ৮.৮ মিটার (২৯ ফু) এবং গভীরতা ১.৯ মিটার (৬.২ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ৪টি ডেট্রয়েট ৬-৭১ ৬৯৬ এইচপি (৫০৮ কিলোওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন। যার ফলে জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১ নট (২০ কিমি/ঘ; ১৩ মা/ঘ)। এটি ১৪ জন জনবল নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ১৭০ টন কার্গো বহন করতে সক্ষম। জাহাজটির সম্পূর্ণ ওজন ৩৭৫ টন।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

দুর্যোগ ও শান্তিকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান।
  • এছাড়াও যুদ্ধকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে জাহাজটিতে ৪টি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিউডব্লিউ-২ ম্যানপ্যাড মোতায়েন করা যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Landing Craft Tank Photo Index"www.navsource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৭ 
  2. "BNS SHAH PORAN"। ২০১২-০৭-০৫।