বানৌজা শাহজালাল
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা শাহজালাল |
নির্মাতা: | টোকিও, জাপান |
কমিশন লাভ: | ১৫ জানুয়ারি, ১৯৮৭ |
ডিকমিশন: | ২০২৩ |
মাতৃ বন্দর: | চট্টগ্রাম |
শনাক্তকরণ: | এ৫১৩ |
অবস্থা: | নিষ্ক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | শাহজালাল-শ্রেণির ডাইভিং সার্পোট ভেসেল |
ওজন: | ৬০০ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৪০.২ মিটার (১৩২ ফু) |
প্রস্থ: | ৯.১ মিটার (৩০ ফু) |
ড্রাফট: | ৩.৮ মিটার (১২ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ) |
সীমা: | ৭,০০০ নটিক্যাল মাইল (৮,১০০ মা; ১৩,০০০ কিমি) |
লোকবল: | ৫৫ জন (৩ জন কর্মকর্তা) |
রণসজ্জা: | ২ × ২০ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান |
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) শাহজালাল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শাহজালাল-শ্রেণির একটি ডাইভিং সার্পোট ভেসেল। জাহাজটি প্রধানত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরিদের অপারেশন্স এবং প্রশিক্ষণে সহায়তা করা ছাড়াও ডাইভিং ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি নানাবিধ কার্যক্রমসহ নৌবাহিনীর সার্বিক অপারেশনাল কাজে সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও জাহাজটি উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
জাপানে নির্মিত জাহাজটি পূর্বে থাইল্যান্ডের একটি বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মাছ ধরার জাহাজ হিসেবে এসএমএস গোল্ড ৪ নামে কর্মরত ছিল। তবে জাহাজটি অবৈধভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী কাছে ধরা পড়ে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক জাহাজটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের গ্রেফতার এবং জাহাজটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে জাহাজটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নৌবাহিনী বহরে বানৌজা শাহজালাল নামে ১৫ জানুয়ারি, ১৯৮৭ সালে কমিশন করা হয়। ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে জাহাজটিকে ডাইভিং সাপোর্ট ভেসেল এ রূপান্তর করা হয়। সর্বশেষ ২০১২-২০১৩ সালে জাহাজটির ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]
বানৌজা শাহজালাল জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০.২ মিটার (১৩২ ফু), প্রস্থ ৯.১ মিটার (৩০ ফু) এবং গভীরতা ৩.৮ মিটার (১২ ফু)। জাহাজটির ওজন ৬০০ টন এবং জাহাজটিতে রয়েছে ১টি শ্যাফট ও ১টি ভি১৬-সিলিন্ডার ডিজেল ইঞ্জিন। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২ নট (২২ কিমি/ঘ; ১৪ মা/ঘ)।
রণসজ্জা[সম্পাদনা]
দুর্যোগ ও শান্তিকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:
- ২টি ২০ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "BNS SHAHJALAL"। ২০১২-০৭-০৫।
- ↑ "ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় খুলনা, চট্টগ্রাম ও সেন্টমার্টিন্সে ১০টি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬।
- ↑ "ধলেশ্বরী নদীতে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শাহজালাল | ধলেশ্বরী নদীতে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শাহজালাল। মে, ২০১৯ এ মুন্সিগঞ্জ থেকে ধারনকৃত। | By আমাদের লঞ্চ | Facebook"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-০২।
- ↑ "ধলেশ্বরী নদীতে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ শাহজালাল। ২০১৯ সালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ধারনকৃত। | By আমাদের লঞ্চ | Facebook"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।