বানৌজা দর্শক
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা দর্শক |
নির্মাতা: |
|
অভিষেক: | ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ |
কমিশন লাভ: | ৫ নভেম্বর, ২০২০ |
শনাক্তকরণ: | এইচ৫৮১ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | দর্শক-শ্রেণীর জরিপ জাহাজ |
দৈর্ঘ্য: | ৩২.৭৮ মিটার (১০৭.৫ ফু) |
প্রস্থ: | ৮.৪০ মিটার (২৭.৬ ফু) |
ড্রাফট: | ৩.১৭ মিটার (১০.৪ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ) |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) দর্শক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দর্শক-শ্রেণীর একটি জরিপ জাহাজ। জাহাজটিকে ওয়ান২ত্রি নেভাল আর্কিটেক্ট, অস্ট্রেলিয়া এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়। জাহাজটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সকল প্রকার হাইড্রোগ্রাফিক এবং ওশানোগ্রাফিক জরিপ কার্য পরিচালনা করতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সকল প্রকার হাইড্রোগ্রাফিক এবং ওশানোগ্রাফিক জরিপ কার্য পরিচালনা করতে এসকল জাহাজের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনস্থ খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর এর মধ্যকার ২টি জরিপ জাহাজ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাহাজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় নকশা ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে ওয়ান২ত্রি নেভাল আর্কিটেক্ট, অস্ট্রেলিয়া। জাহাজ দুটি নির্মাণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ সরবরাহ করে গ্রেড ওয়ান মেরিন শিপইয়ার্ড, মালয়েশিয়া। সম্পূর্ণ প্রজেক্ট ডিজাইন, সাপ্লাই এবং লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট সম্পন্ন করে গোল্ডেন মেরিটাইম টেকনোলজি, ঢাকা। অবশেষে ৫ নভেম্বর, ২০২০ সালে বানৌজা দর্শক নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্রান্স ভিত্তিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিটাস (বিভি) এর নীতিমালা অনুসরণ করে জাহাজটি নির্মিত হয়।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো
[সম্পাদনা]বানৌজা দর্শক জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩২.৭৮ মিটার (১০৭.৫ ফু), প্রস্থ ৮.৪০ মিটার (২৭.৬ ফু) এবং গভীরতা ৩.১৭ মিটার (১০.৪ ফু)। এটি দেশীয় প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ৬০০ অশ্বশক্তি (৪৫০ কিওয়াট) ক্যাটারপিলার ডিজেল ইঞ্জিন। যার ফলে জাহাজটি সর্বোচ্চ ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে প্রতিটি জাহাজে থাকবে:
- ১টি র্যাডার;
- ১টি হাল মাউনন্টেড মাল্টি-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি হাল মাউনন্টেড সিঙ্গেল-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
- ১টি মাল্টিরোল ডিসপ্লে সহ নেভিগেশন র্যাডার (জাপান);
- ১টি চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
- ১টি জিপিএস রিসিভার (ফুরুনো);
- ১টি ইকো সাউন্ডার (কোডেন);
- ১টি রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
- ১টি ভিএইচএফ সেট (আইকম);
- ১০টি ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)।
রণসজ্জা
[সম্পাদনা]দুর্যোগ ও শান্তি কালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:
- ৪টি সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
- এছাড়াও যুদ্ধকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে জাহাজটিতে ৪টি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিউডব্লিউ-২ ম্যানপ্যাড মোতায়েন করা যায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নৌবাহিনীর নতুন তিনটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ 'ওমর ফারুক', 'আবু উবাইদাহ', 'প্রত্যাশা', এবং দুইটি জরিপ জাহাজ 'দর্শক'এবং 'তল্লাশী'এর কমিশনিং করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭।
- ↑ "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বানৌজা এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ"।
- ↑ "Five Bangladesh Navy Ship commissioning audio visual"।
- ↑ "নৌবাহীতে যুক্ত হলো ৫টি আধুনিক জাহাজ"। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "2 x Hydrographic Survey vessel"। খুলনা শিপইয়ার্ড। ২৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "TECHNICAL SPECIFICATON OF SPARES (ALL KINDS) – MAIN ADAPTER (AKI) BNS DARSHAK DEMAND NO: BSO/DSK/2023/" (পিডিএফ)। NAVAL STORES DEPOT, CHATTOGRAM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৮।
- ↑ "🕋🇧🇩পার হওয়ার সময় হঠাৎ নৌবাহিনী জাহাজ আমাদেরকে থামিয়ে দেয় এই সুযোগে আমি একটা সুন্দর ভিডিও বানালাম"।