বানৌজা তিতাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা তিতাস
নির্মাতা: কোরিয়া টাকোমা, চিনহে, দক্ষিণ কোরিয়া
অভিষেক: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭৮
কমিশন লাভ: ২৭ মে, ২০০০
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: পি১০১১
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: তিতাস-শ্রেণীর ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফট
ওজন: ১৪৩ টন
দৈর্ঘ্য: ৩৭ মিটার (১২১ ফু)
প্রস্থ: ৬.৯২ মিটার (২২.৭ ফু)
ড্রাফট: ১.৭০ মিটার (৫.৬ ফু)
গভীরতা: ৩.৮২ মিটার (১২.৫ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × এমটিইউ ২০ভি৫৩৮ টিবি৯১ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি)
  • ৪বিটিএ৩.৯ জিএম৬৫ ডিজেল জেনারেটর
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ৩৮ নট (৭০ কিমি/ঘ; ৪৪ মা/ঘ)
সীমা: ১,০০০ নটিক্যাল মাইল (১,২০০ মা; ১,৯০০ কিমি), ২০ নট (৩৭ কিমি/ঘ; ২৩ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৩১ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
১ × ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান)
রণসজ্জা:
  • ২ × বোফোর্স এল/৭০ সিঙ্গেল ব্যারেল ৪০ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান
  • ২ × সি ভালকান ২০ মিমি ভারি মেশিনগান
  • ১ × ১২.৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) তিতাস বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিতাস-শ্রেণীর একটি ফাস্ট অ্যাটাক ক্রাফট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বানৌজা তিতাস জাহাজটি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ২০০০ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা তিতাস জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৭ মিটার (১২১ ফু), প্রস্থ ৬.৯২ মিটার (২২.৭ ফু) এবং গভীরতা ৩.৮২ মিটার (১২.৫ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি এমটিইউ ২০ভি৫৩৮ টিবি৯১ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৮ নট (৭০ কিমি/ঘ; ৪৪ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ১টি ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান)

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা তিতাস জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি বোফোর্স এল/৭০ সিঙ্গেল ব্যারেল ৪০ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান;
  • ২টি সি ভালকান ২০ মিমি ভারি মেশিনগান;
  • ২টি ১২.৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ | Naval Ship | Independence Day 2022"। ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২২ 
  2. "নৌবাহিনীর জাহাজ তিতাস পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত! | Naval Ship Titus | Independence Day Celebration"। ১১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২২ 
  3. "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের ৮৭ লাখ ২৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল আটক করেছে নৌবাহিনী"আইএসপিআর। ২০২২-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১১ 
  4. "বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা তিতাস"