বানৌজা অনুসন্ধান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা অনুসন্ধান
পরিচালক: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
নির্মাতা: ব্রুক মেরিন, যুক্তরাজ্য
সম্পন্ন: আগস্ট, ১৯৮৬
অর্জন: ২৮ মে, ২০১০
কমিশন লাভ: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ:
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
ওজন: ১,৪৩২ টন
দৈর্ঘ্য: ৬৪ মিটার (২১০ ফু)
প্রস্থ: ১৩ মিটার (৪৩ ফু)
উচ্চতা: ৪ মিটার (১৩ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × মিরলিস ব্ল্যাকস্টোন ইএস৮ সুপার চার্জড ডিজেল ইঞ্জিন
  • ২ × প্রপেলার
গতিবেগ: ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ)
লোকবল: ১২৮ জন
রণসজ্জা:
  • ২০ মিমি কামান
  • মিনিগান
  • মেশিনগান

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) অনুসন্ধান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রোবাক-শ্রেণীর একটি জরিপ জাহাজ। এই জাহাজটি ব্রুক মেরিন, যুক্তরাজ্যে নির্মিত হয়। এটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সকল প্রকার হাইড্রোগ্রাফিক এবং ওশানোগ্রাফিক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।[১][২][৩][৪][৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য যুক্তরাজ্য হতে জরিপ জাহাজ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ মে, ২০১০ সালে বানৌজা অনুসন্ধান জাহাজটি যুক্তরাজ্য হতে ক্রয় করা হয়। ২৩ জুলাই, ২০১০ সালে তৎকালীন কমান্ডার নাঈম গোলাম মুক্তাদিরের নেতৃত্বে জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছায়। বাংলাদেশে যাওয়ার পথে জাহাজটি জিব্রাল্টার, মরক্কো, মিশর, সৌদি আরব, সাইপ্রাস, ওমান ও শ্রীলঙ্কা বন্দর পরিদর্শন করে। অবশেষে ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বানৌজা অনুসন্ধান সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক সীমানার রায় নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা অনুসন্ধান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৪ মিটার (২১০ ফু), প্রস্থ ১৩ মিটার (৪৩ ফু) এবং গভীরতা ৪ মিটার (১৩ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি মিরলিস ব্ল্যাকস্টোন ইএস৮ সুপার চার্জড ডিজেল ইঞ্জিন যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সকল প্রকার হাইড্রোগ্রাফিক এবং ওশানোগ্রাফিক জরিপ কার্যক্রম এবং সামুদ্রিক গবেষণা পরিচালনা করতে জাহাজটি সকল ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সজ্জিত। এছাড়াও জাহাজটিতে রয়েছে দ্রুতগতি সম্পন্ন একটি টহল বোট। অক্টোবর, ২০১১ সালে জাহাজটিতে অগভীর পানির উপযোগী মাল্টিবিম ইকো সাউন্ডার যুক্ত করা হয়। এই জাহাজের লক্ষ্য হচ্ছে নদীর জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও নাব্যতা বজায় রাখা, সামুদ্রিক সীমানা সীমিত করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যানের তথ্য সংগ্রহ করে উপকূলীয় এলাকা সংরক্ষণ করা। জাহাজটি গবেষণা কার্যক্রম এবং সামুদ্রিক সম্পদ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জাহাজটি মাইন বিধ্বংসী জাহাজ সমূহের সহায়ক জাহাজ হিসাবে ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

দুর্যোগ ও শান্তিকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি ২০ মিমি বিমান-বিধ্বংসী কামান;
  • ২টি সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
  • এছাড়াও যুদ্ধকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে জাহাজটিতে ৪টি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিউডব্লিউ-২ ম্যানপ্যাড মোতায়েন করা যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]