বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদরদপ্তর
প্রতিষ্ঠিত১৯৬১
কর্মচারী৫৭৮ (কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রসহ)
প্রধান ব্যক্তিড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম
(মহাপরিচালক)
প্রাক্তন নামআণবিক শক্তি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র
অবস্থান, ,
ওয়েবসাইটhttp://www.bina.gov.bd/

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (সংক্ষেপে "বিনা"), বাংলাদেশের, পারমাণবিক কৌশল কাজে লাগিয়ে কৃষিখাতে অবদান রাখার একমাত্র প্রতিষ্ঠান। কৃষিতে পারমাণবিক কৌশলের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন অধিক উৎপাদনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন, ভূমি ও পানির উত্তম ব্যবস্থাপনা, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন কলাকৌশল উদ্ভাবন এবং ফসলের রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণার মূল বিষয়। প্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহ শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এতে প্রায় ৮০জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দায়িত্বরত আছেন। বাংলাদেশের রংপুর, ঈশ্বরদি, মাগুরা, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, জামালপুর, খাগড়াছড়ি, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালীও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এটির ১৩টি উপকেন্দ্র রয়েছে।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সদর দপ্তর

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬১ সালে ঢাকার আণবিক শক্তি কমিশনের রেডিও-ট্রেসার গবেষণাগারে এর যাত্রা শুরু হয়। একে কেন্দ্র করে, ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে আণবিক শক্তি কমিশনে "পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট" গঠন করা হয়। ১৯৭৫ সালে এটিকে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮২ সালে এটি স্বতন্ত্র কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা পায় ও এটিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় নেয়া হয়। ১৯৮৪ সালে অধ্যাদেশ নং-২ জারি করার করে এটিকে জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং সেই সাথে এটিকে "বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট" হিসেবে নামকরণ করা হয়।[১]

বৈজ্ঞানিক বিভাগ[সম্পাদনা]

গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিনার ১১টি বিভাগ রয়েছে।[১] বিভাগগুলো হচ্ছে:

  • উদ্ভিদ প্রজনন
  • মৃত্তিকা বিজ্ঞান
  • ফসল শারীরবিজ্ঞান
  • কীটতত্ত্ব
  • উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব
  • কৃষিতত্ত্ব
  • কৃষি প্রকৌশল
  • প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও প্রকাশনা
  • জৈবপ্রযুক্তি
  • উদ্ভিদ বিজ্ঞান
  • কৃষি অর্থনীতি

গবেষণায় সাফল্য[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিজ্ঞানীরা মিলে দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেছেন।[২]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ভূমিকা"bina.gov.bd। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "দেশে লবণ–সহিষ্ণু ধানের জীবনরহস্য উন্মোচন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৮ 
  3. "স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান"ইত্তেফাক। ১৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]