বাংলাদেশে উদারনীতিবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশে উদারনীতিবাদের উৎপত্তি ব্রিটিশ রাজ আমলের ঔপনিবেশিক বিরোধী আন্দোলন থেকে পাওয়া যায়। ভারত বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন উদারপন্থী ও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদরা। উদারপন্থী নীতি যেমন স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গুরুত্বপূর্ণ দিক। আধুনিক বাংলাদেশে উদারতাবাদ মূলত সামাজিক উদারনীতিবাদ এবং অর্থনৈতিক উদারনীতিকে কেন্দ্রিক।

অর্থনৈতিক উদারনীতিবাদ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের প্রথমদিকের নেতৃত্বে বামপন্থীদের আধিপত্য ছিল, যাঁরা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিকাশের বিরোধিতা করেছিলেন এবং পরিকল্পিত অর্থনীতির অধীনে কঠোর সুরক্ষাবাদ, রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ এবং অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণের করেছিল এবং সীমিত বাজার কার্যক্রমকে উন্নীত করেছিলেন, যেই ব্যবস্থাটিকে "না পুঁজিবাদী, না সমাজতান্ত্রিক" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।[১] অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকেই যায়, উপরন্তু ১৯৭৪ সালে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেশে আঘাত হানে। ১৯৭০-এর দশকের শেষভাগে এবং ১৯৮০-এর দশকে, মূলত সংস্কারপন্থী জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাষ্ট্রপতিত্বকালে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং বাণিজ্য উদারীকরণসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।[২] সমসাময়িক বাংলাদেশ একটি উদার বাজার অর্থনীতি[১][৩] এবং বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতি।[৪]

উদারপন্থী দলের তালিকা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mostafiz, Omar। "Liberalism in Bangladesh: A Tad Too Slow"Friedrich Naumann Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২১ 
  2. "Background Note: Bangladesh"Bureau of South and Central Asian Affairs। মার্চ ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০০৮  This article incorporates text from this source, which is in the public domain.
  3. Siddiqi, Dina Mahnaz (২০১০)। "Political Culture in Contemporary Bangladesh"। Riaz, Ali; Fair, Christine। Political Islam and Governance in Bangladesh। Routledge। পৃষ্ঠা 8। আইএসবিএন 978-1-136-92623-5 
  4. "World Economic Outlook Database, October 2023"International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩