বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র
এনআইডি কার্ড | |
---|---|
প্রচলন শুরুর তারিখ | ২২ জুলাই ২০০৮ |
প্রদানকারী সংস্থা | জাতীয় পরিচয় উইং (এনআইডিডব্লউ) |
প্রকার | পরিচয়পত্র |
উদ্দেশ্য | ইলেক্ট্রনিক শনাক্তকরণ |
প্রদানের যোগ্যতা | ১৮ বছর বয়স (বাংলাদেশী নাগরিক) |
মেয়াদ | ১০ বছর |
স্মার্ট এনআইডি কার্ড | |
---|---|
প্রধান ব্যক্তিত্ব | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি[১] |
উদ্বোধন | ২ অক্টোবর ২০১৬ |
বাজেট | ৯০০ কোটি (ইউএস$১২০ মিলিয়ন)[২] |
ওয়েবসাইট | nidw |
জাতীয় পরিচয় পত্র (সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড, যা আইডি কার্ড নামে বহুল প্রচলিত) হল বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নথিভুক্ত হতে হয়। তথ্য নথিভুক্ত করণ ও আইডি কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন বিদ্যমান। সকল বাংলাদেশী যারা ১৮ বছর বয়স বা তার চেয়ে বেশির বয়সী তারা সকলে কেন্দ্রীয় বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের সাথে সংযুক্ত, যা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। ২০১৬ সালের পুর্বে সাধারণ আইডেনটিটি কার্ড সরবরাহ করা হত যেখানে শুধুমাত্র আইডিধারী ব্যক্তির নাম, পিতা ও মাতার নাম, জন্ম তারিখ, আইডি নাম্বার, ছবি ও স্বাক্ষর উল্লেখ ছিল।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং ২০১৬ সালের অক্টোবরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র উপস্থাপন করে। স্মার্ট কার্ডে একটি ইন্টারগ্রেট সার্কিট কার্ড (আইসিসি) সংযুক্ত আছে যা চিপ কার্ড নামেও পরিচিত। স্মার্টকার্ডে এ চিপ কার্ড মেশিনের সাহায্যে রিড করা যাবে। সেখানে নাগরিকের সব তথ্য সংরক্ষিত আছে। স্মার্ট কার্ডের ডিজাইনে বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পাখি, শাপলা ফুল, চা বাগান, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।
সুবিধা[সম্পাদনা]
এনআইডি বা স্মার্ট এনআইডি কার্ড হোল্ডাররা যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন বা সকল কাজে আইডি কার্ড লাগে -
- নাগরিক অধিকার ও সুবিধা সমূহ
- জাতীয় পরিচয়
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- মটর যান রেজিস্ট্রেশন
- পাসপোর্ট
- জমি ক্রয় ও বিক্রয়
- ব্যাংক হিসাব খুলতে
- ব্যাংক ঋণ নিতে
- টিন নাম্বার
- মোবাইল সিম পেতে
- সরকারি অনুদান ও ভাতা পেতে
- চাকরির আবেদন করতে
যা প্রয়োজন[সম্পাদনা]
- এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধ সনদের ফটোকপি
- পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিন সার্টিফিকেট
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পিতা, মাতা স্বামী /স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Officers List"। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
- ↑ http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/99255[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]