বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা
বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা
জন্ম১৯৫৫
কলকাতা
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণদৃশ্যকলা

বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা (জন্ম ১৯৫৫)[১] একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী যিনি প্রতীকী চিত্র আঁকেন।[১] তাঁর বিষয়ের ভিত্তি হল কোনও মহিলার উপলব্ধি ও মহিলা দেহের মনো-রাজনৈতিক অস্তিত্ব,[২][৩] চিরায়ত ভূদৃশ্য, সূক্ষ্ম অর্থ সহ স্থির জীবন।[১][৪][৫] তিনি ১৯৮২-৮৪ সময়কালে ভারত সরকার সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত একটি সাংস্কৃতিক বৃত্তি নিয়ে কাজ করেছিলেন।[৬] তিনি, যতীন দাস এবং অন্যান্য ২৯৮ জন শিল্পী, ২০১৮ সালের কেরালা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জাতীয় আধুনিক কলা সংগ্রহালয়ে আয়োজিত শিল্পকর্মের একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিলেন। [৭]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

তেওয়ারি ১৯৫৫ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পনের বছর বয়সে নতুন দিল্লি চলে যান।[২] তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতক হন এবং নতুন দিল্লির ত্রিবেণী কলা সংগম থেকে কলার অধ্যয়ন করেন।[৩] ত্রিবেণী কলা সংগমে তিনি চিত্রকর এবং শিল্পী রামেশ্বর ব্রুটার অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, বর্তমানে রামেশ্বর তাঁর স্বামী।

প্রদর্শনী এবং কাজ[সম্পাদনা]

  • ১৯৮০ সালে দিল্লির শ্রীধরনী গ্যালারীতে প্রথম একক প্রদর্শনী।
  • ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চিত্রশিল্পী এস. এইচ. রাজার স্মরণে এবং তাঁর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে, রাজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অন্যান্য ২০ জন শিল্পীর সাথে দলগত প্রদর্শনী।[৮]
  • ২০১৯ সালের মার্চে, দলগত প্রদর্শনী, ইন্ডিভিজুয়াল প্যালেটস।[৯]
  • ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে উইমেন স্পিক / চাইল্ড সং[১০]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তেওয়ারি একাধিক পুরস্কার জিতেছেন, যার মধ্যে আছে প্রথম আন্তর্জাতিক বিয়নেলে আলজিয়ার্সে রৌপ্যপদক, সংস্কৃতি পুরস্কার, অল ইন্ডিয়া ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস সোসাইটির বার্ষিক পুরস্কার এবং সাহিত্য কলা পরিষদ পুরস্কার।[৬]

পর্যালোচনা[সম্পাদনা]

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নবনীত মেন্ডিরাট্টা তাঁর কাজের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, "তেওয়ারি এমন কয়েকজন শিল্পীর মধ্যে রয়েছেন যাঁরা প্রতীকী চিত্রের সম্ভাবনাগুলি বিশেষত মহিলা দেহের মনো-রাজনৈতিক অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পছন্দ করেন। তাঁর কাজের অন্তর্নিহিত নারীবাদ যা নারী ক্ষমতায়নের পথে চালিত হয়, সেটি তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়।"[১১]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তেওয়ারি ১৯৯৫ সালে ভারতীয় চিত্রশিল্পী রামেশ্বর ব্রুটাকে বিবাহ করেছিলেন, তাঁরা নতুন দিল্লিতে থাকেন এবং কাজ করেন।[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Arnold P. Kaminsky; Roger D. Long (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১)। India Today: An Encyclopedia of Life in the Republic। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 52–। আইএসবিএন 978-0-313-37462-3 
  2. "Vasundhara Tewari Broota - JNAF"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬ 
  3. "Vasundhara Tewari Broota"Vadehra Art Gallery (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬ 
  4. Tripathi, Shailja (২০১০-০১-০৬)। "Stoking a stroke"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  5. Pioneer, The। "The feminine spirit"The Pioneer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  6. "Vasundhara Tewari Broota Artist, Painter | Vasundhara Tewari Broota Painting Gallery | Sanchit Art"www.sanchitart.in। ২০১৯-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬ 
  7. "Art for Kerala Flood Disaster 2018: Indian artists donate art works to raise funds"SNS। The statesman। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯ 
  8. "Exhibition to celebrate Raza's plural vision of art"। outlookindia। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯ 
  9. "Artistic voices find space on vibrant canvases at this exhibition in the Capital"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  10. January 15, india today digital Delhi; January 15, 2007 ISSUE DATE; September 2, 2007UPDATED; Ist, 2011 15:38। "Vasundhara Tewari Broota's art exhibition in Delhi"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  11. Mendiratta, Navneet (২০০৭-০১-১৩)। "Images of assertion"Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  12. "Live and let live"www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬