বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা
বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা | |
---|---|
জন্ম | ১৯৫৫ কলকাতা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | দৃশ্যকলা |
বসুন্ধরা তেওয়ারি ব্রুটা (জন্ম ১৯৫৫)[১] একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী যিনি প্রতীকী চিত্র আঁকেন।[১] তাঁর বিষয়ের ভিত্তি হল কোনও মহিলার উপলব্ধি ও মহিলা দেহের মনো-রাজনৈতিক অস্তিত্ব,[২][৩] চিরায়ত ভূদৃশ্য, সূক্ষ্ম অর্থ সহ স্থির জীবন।[১][৪][৫] তিনি ১৯৮২-৮৪ সময়কালে ভারত সরকার সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত একটি সাংস্কৃতিক বৃত্তি নিয়ে কাজ করেছিলেন।[৬] তিনি, যতীন দাস এবং অন্যান্য ২৯৮ জন শিল্পী, ২০১৮ সালের কেরালা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জাতীয় আধুনিক কলা সংগ্রহালয়ে আয়োজিত শিল্পকর্মের একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিলেন। [৭]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]তেওয়ারি ১৯৫৫ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পনের বছর বয়সে নতুন দিল্লি চলে যান।[২] তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতক হন এবং নতুন দিল্লির ত্রিবেণী কলা সংগম থেকে কলার অধ্যয়ন করেন।[৩] ত্রিবেণী কলা সংগমে তিনি চিত্রকর এবং শিল্পী রামেশ্বর ব্রুটার অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, বর্তমানে রামেশ্বর তাঁর স্বামী।
প্রদর্শনী এবং কাজ
[সম্পাদনা]- ১৯৮০ সালে দিল্লির শ্রীধরনী গ্যালারীতে প্রথম একক প্রদর্শনী।
- ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চিত্রশিল্পী এস. এইচ. রাজার স্মরণে এবং তাঁর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে, রাজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অন্যান্য ২০ জন শিল্পীর সাথে দলগত প্রদর্শনী।[৮]
- ২০১৯ সালের মার্চে, দলগত প্রদর্শনী, ইন্ডিভিজুয়াল প্যালেটস।[৯]
- ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে উইমেন স্পিক / চাইল্ড সং[১০]
পুরস্কার
[সম্পাদনা]তেওয়ারি একাধিক পুরস্কার জিতেছেন, যার মধ্যে আছে প্রথম আন্তর্জাতিক বিয়নেলে আলজিয়ার্সে রৌপ্যপদক, সংস্কৃতি পুরস্কার, অল ইন্ডিয়া ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস সোসাইটির বার্ষিক পুরস্কার এবং সাহিত্য কলা পরিষদ পুরস্কার।[৬]
পর্যালোচনা
[সম্পাদনা]বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নবনীত মেন্ডিরাট্টা তাঁর কাজের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, "তেওয়ারি এমন কয়েকজন শিল্পীর মধ্যে রয়েছেন যাঁরা প্রতীকী চিত্রের সম্ভাবনাগুলি বিশেষত মহিলা দেহের মনো-রাজনৈতিক অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পছন্দ করেন। তাঁর কাজের অন্তর্নিহিত নারীবাদ যা নারী ক্ষমতায়নের পথে চালিত হয়, সেটি তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়।"[১১]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]তেওয়ারি ১৯৯৫ সালে ভারতীয় চিত্রশিল্পী রামেশ্বর ব্রুটাকে বিবাহ করেছিলেন, তাঁরা নতুন দিল্লিতে থাকেন এবং কাজ করেন।[১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Arnold P. Kaminsky; Roger D. Long (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১)। India Today: An Encyclopedia of Life in the Republic। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 52–। আইএসবিএন 978-0-313-37462-3।
- ↑ ক খ "Vasundhara Tewari Broota - JNAF"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।
- ↑ ক খ "Vasundhara Tewari Broota"। Vadehra Art Gallery (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।
- ↑ Tripathi, Shailja (২০১০-০১-০৬)। "Stoking a stroke"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ Pioneer, The। "The feminine spirit"। The Pioneer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ ক খ "Vasundhara Tewari Broota Artist, Painter | Vasundhara Tewari Broota Painting Gallery | Sanchit Art"। www.sanchitart.in। ২০১৯-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।
- ↑ "Art for Kerala Flood Disaster 2018: Indian artists donate art works to raise funds"। SNS। The statesman। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Exhibition to celebrate Raza's plural vision of art"। outlookindia। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Artistic voices find space on vibrant canvases at this exhibition in the Capital"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ January 15, india today digital Delhi; January 15, 2007 ISSUE DATE; September 2, 2007UPDATED; Ist, 2011 15:38। "Vasundhara Tewari Broota's art exhibition in Delhi"। India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ Mendiratta, Navneet (২০০৭-০১-১৩)। "Images of assertion"। Business Standard India। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ "Live and let live"। www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৬।