বরণ (টেলিভিশন ধারাবাহিক)
বরণ | |
---|---|
ধরন | নাটক প্রণয়ধর্মী কমেডি |
চিত্রনাট্য | স্নেহাশীষ চক্রবর্তী |
গল্প লেখক | স্নেহাশীষ চক্রবর্তী |
পরিচালক | সুকমল নাথ |
সৃজনশীল পরিচালক | স্নেহাশীষ চক্রবর্তী |
অভিনয়ে | ইন্দ্রাণী পাল সুস্মিত মুখোপাধ্যায় |
কণ্ঠ প্রদানকারী | দীপানিতা ও জয় |
উদ্বোধনী সঙ্গীত | "বরণ" |
সুরকার | স্নেহাশীষ চক্রবর্তী |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | বাংলা |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ৩৪৭ |
নির্মাণ | |
নির্বাহী প্রযোজক | রুনা ও সুদীপ (ব্লুজ প্রোডাকশনস) সমাজিতা, অর্পিতা ও দীপান্বিতা (স্টার জলসা) |
প্রযোজক | স্নেহাশীষ চক্রবর্তী |
নির্মাণের স্থান | কলকাতা |
চিত্রগ্রাহক | দেবব্রত মল্লিক |
সম্পাদক | বাপন ও আজহার |
ক্যামেরা সেটআপ | একাধিক ক্যামেরা সেটআপ |
ব্যাপ্তিকাল | ২২ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি | ব্লুজ প্রোডাকশনস |
পরিবেশক | স্টার ইন্ডিয়া ডিজনি+ হটস্টার |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | স্টার জলসা |
ছবির ফরম্যাট | এসডিটিভি ৫৭৬আই এইচডিটিভি ১০৮০আই |
মূল মুক্তির তারিখ | ৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯ মার্চ ২০২২ | –
বরণ হলো স্টার জলসা চ্যানেলে প্রচারিত একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক। যার যাত্রা ৫ এপ্রিল ২০২১ সালে শুরু হয়। এটি বাংলা বিনোদন চ্যানেল স্টার জলসায় এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম ডিজনি+হটস্টারে উপলব্ধ। ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করেছেন ব্লুজ প্রোডাকশনের স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এবং প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী পাল এবং সুস্মিত মুখোপাধ্যায়।[১][২][৩]
পটভূমি[সম্পাদনা]
ধারাবাহিকটিতে একটি সাহসী মেয়ের গল্প বর্ণনা করা হয়েছে যার নাম তিথি। সে খুবই পরিশ্রমী শিক্ষার্থী। সে স্বাধীন হতে চায় এবং তার মায়ের যত্ন নিতে চায় যিনি তার জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিয়েছে। তিথি একটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সে একটি সরকারি চাকরি পেতে চায়।
অন্যদিকে, একজন বিখ্যাত শিল্পপতি নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে রুদ্রিক বন্দ্যোপাধ্যায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে এবং নিয়মানুযায়ী চলাফেরা করে করে না। একদিন সে গাড়ি চালাতে গিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় এবং পথচারী গুরুতর আহত হয়। তিথি ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে এবং থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তিথি অদম্য এবং সে রুদ্রিকের প্রভাবশালী মর্যাদার কাছে মাথা নত করে না।
বিয়ের দিন তিথি আদালতে রুদ্রিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। প্রতিশোধের শপথ করে রুদ্রিক তিথির বিয়ে ভেঙে দেয় এবং তিথির বর রাজের পায়ে গুলি করে। তবে দুর্ঘটনাক্রমে সে তিথিকে বিয়ে করে। নন্দন তার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আপত্তি সত্ত্বেও তিথিকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে যথাযথ সম্মানের সাথে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি নাইরার সাহায্যে তাদের বোঝান যে এটি তাদের পারিবারিক নাম থেকে সমস্ত নেতিবাচক প্রচার মুছে ফেলার জন্য একটিমাত্র কাজ। তিথিও তার অসুস্থ মাকে আর কোনো ধাক্কা থেকে বাঁচাতে এতে সম্মত হয়।
নন্দনের অনুরোধে ধীরে ধীরে তিথি রুদ্রিককে শেখায় কীভাবে সুখী ও উদার হতে হয়। নায়রার সাথে রুদ্রিকের বিয়ের দিন, রুদ্রিক তিথির কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। তাঁর দাদা নায়রাকে অপমান থেকে বাঁচাতে বিয়ের পুরোহিত পূর্ণ চন্দ্র "পানু" বাচস্পতিকে বিয়ে করে।
অভিনয়ে[সম্পাদনা]
প্রধান চরিত্র[সম্পাদনা]
- তিথি বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বিবাহপূর্ব মুখোপাধ্যায়) চরিত্রে ইন্দ্রাণী পাল- পরিণীতা এবং রাঘবের মেয়ে; প্রদোষের সৎ বোন; রুদ্রিকের স্ত্রী।
- রুদ্রিক ব্যানার্জির চরিত্রে সুস্মিত মুখোপাধ্যায় – নন্দন এবং পৃথার ছেলে; তিথির স্বামী।
অন্যান্য চরিত্র[সম্পাদনা]
- নায়রা সেন চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে প্রিয়া মন্ডল – জিতের বোন; রুদ্রিকের বাল্যবন্ধু ও একতরফা প্রেমিকা; প্রদোষের স্ত্রী
- প্রদোষ "পানু" চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে সৌম্যদীপ সিংহ রায় – একজন পুরোহিত; অপরাজিতা ও রাঘবের ছেলে; তিথির সৎ ভাই; নায়রার স্বামী
- নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে কুশল চক্রবর্তী – একজন বিখ্যাত শিল্পপতি; পৃথার স্বামী; রুদ্রিকের বাবা
- পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় – নন্দনের স্ত্রী; রিমঝিম ও রুদ্রিকের মা
- রিমঝিম বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে রিমঝিম দাস – নন্দন এবং পৃথার ছোট মেয়ে; রুদ্রিকের বোন
- মিসেস বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে সুচন্দা চৌধুরী – নন্দনের মা
- সোনারিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অনন্যা বিশ্বাস - একজন ব্যবসায়ী; নন্দন ও পৃথার বড় মেয়ে; রিমঝিম আর রুদ্রিকের বোন; অলঙ্কারের স্ত্রী
- অলঙ্কার চরিত্রে শুভঙ্কর সাহা – সোনারিতার স্বামী
- পরিণীতা মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে দেবযানী চট্টোপাধ্যায় – রাঘবের প্রাক্তন স্ত্রী; তিথির মা
- রাঘব মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে সোহান বন্দ্যোপাধ্যায় – পরিণীতার প্রাক্তন স্বামী; অপরাজিতার স্বামী; প্রদোষ আর তিথির বাবা
- অপরাজিতা চট্টোপাধ্যায় চরিত্রে দোলন রায় – রাঘবের দ্বিতীয় স্ত্রী; প্রদোষের মা
- মিসেস মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় – রাঘবের মা; প্রদোষ আর তিথির দিদিমা
- তিথির মামার চরিত্রে শঙ্কর শঙ্কু চক্রবর্তী
- রাজ চরিত্রে রাজা কুন্ডু – তিথির প্রেমিকা এবং প্রাক্তন বাগদত্তা
- মন্দার বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে রানা মিত্র – রুদ্রিকের কাকা
- শৌপ্তিক ব্যানার্জীর চরিত্রে জয়ন্ত দত্ত বর্মণ – রুদ্রিকের কাকা; দিতির স্বামী
- দিতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে রেশমি ভট্টাচার্য – শৌপ্তিকের স্ত্রী
- তিথির বড় ফুফুর চরিত্রে সুদীপা বসু
- অলতা মুখার্জির চরিত্রে সায়ন্তনী মজুমদার – তিথির মাসি
- কেকা ব্যানার্জীর চরিত্রে রিয়া গাঙ্গুলী চক্রবর্তী- রুদ্রিকের শ্যালিকা
- কাকলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায়- রুদ্রিকের ছোট চাচাতো বোন
- কুহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে মিনাশ্রী সরকার - রুদ্রিকের ছোট চাচাতো বোন
- রূপশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে রূপশা চট্টোপাধ্যায়- রুদ্রিকের চাচাতো বোন
- জিৎ সেনের চরিত্রে জুধাজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়- একজন ব্যবসায়ী; নায়রার বড় ভাই
- প্রেক্ষা চরিত্রে সহমিতা আচার্য- তিথির ছোট চাচাতো বোন
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Star Jalsha's New Serial Boron" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭।
- ↑ "Upcoming show 'Boron' to feature a fresh pair - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭।
- ↑ "তিথির প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়বে সমাজে? স্ত্রী হিসেবে তাকে 'বরণ' করে নেবে রুদ্রিক?"। আনন্দবাজার। ২০২১-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭।