বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক
বিবরণরাজনীতি; অর্থনীতি; শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া; সমাজসেবা; স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ; গবেষণা; কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে অবদানের জন্য
দেশবাংলাদেশ
পুরস্কারদাতাবাংলাদেশ সরকার
প্রথম পুরস্কৃত২০২১
ওয়েবসাইটwww.mowca.gov.bd

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০২১ সালে প্রবর্তিত ‘ক' শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য প্রতিবছর পাঁচজন বাংলাদেশী নারীকে এই পদক দেওয়া হয়।[১]

প্রবর্তনের ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের রয়েছে অপরিসীম অবদান। ফজিলাতুন নেছা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর। ফজিলাতুন নেছার অবদান স্মরণীয় করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে সরকার এই পদক প্রবর্তন করে।

প্রতিবছর ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গমাতা জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে মনোনীত নারীদের এই পদক প্রদান করা হয়।[২]

পদকের ক্ষেত্র ও সংখ্যা[সম্পাদনা]

  1. রাজনীতি
  2. শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া
  3. অর্থনীতি
  4. সমাজসেবা
  5. স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
  6. গবেষণা
  7. কৃষি ও পল্লি উন্নয়ন
  8. সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য যে কোন ক্ষেত্র

উল্লিখিত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য প্রতি বছর পাঁচজন বাংলাদেশী নারীকে এই পদক দেওয়া হবে। তবে সরকার প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোন বৎসর উপযুক্ত প্রার্থী না পেলে পদক সংখ্যা হ্রাস করতে পারবে। জীবিতদের পাশাপাশি মরণোত্তর এই পদক দেওয়া যাবে।[৩]

পদক প্রদানের পদ্ধতি[সম্পাদনা]

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পদকপ্রাপ্তদের মনোনয়নে ৯ সদস্যবিশিষ্ট প্রার্থী বাছাই কমিটি থাকবে। এই কমিটি প্রাপ্ত আবেদন মূল্যায়ন করে সর্বোচ্চ ১০ জনের নাম জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য সুপারিশ করবে। সেখান থেকে জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে পদক প্রদানের বিষয় চূড়ান্ত হবে।[৪]

প্রদেয়সমূহ[সম্পাদনা]

পদকপ্রাপ্ত একেকজন নারী পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননা সনদ।[৫]

বছর অনুযায়ী পদকপ্রাপ্তদের তালিকা[সম্পাদনা]

সাল বিজয়ী ক্ষেত্র সূত্র
২০২১ মমতাজ বেগম (মরণোত্তর) স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ [৬]
জয়া পতি (মরণোত্তর) শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া
নুরুন্নাহার বেগম কৃষি ও পল্লি উন্নয়ন
জোবেদা খাতুন পারুল রাজনীতি
নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) গবেষণা
২০২২ আশালতা বৈদ্য স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ [৭]
আছিয়া আলম সমাজসেবা
সৈয়দা জেবুন্নেছা হক রাজনীতি
সেলিমা আহমাদ অর্থনীতি
নাসরীন আহমাদ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' পদক দেবে সরকার"প্রথম আলো। ২৬ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১ 
  2. "'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব' পদক দেবে সরকার"মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৬ মে ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১ 
  3. "বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নীতিমালা-২০২১" (পিডিএফ)মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১ 
  4. "৫ নারী পাবেন 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব' পদক"বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ এপ্রিল ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' পদক দেবে সরকার"সমকাল। ২৭ এপ্রিল ২০২১। ২৬ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২১ 
  6. "বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক পেলেন যারা"যুগান্তর। ৮ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২ 
  7. "বঙ্গমাতা পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৮ আগস্ট ২০২২। ২৬ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]