ফ্র্যাঙ্ক ওফ্যারেল
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | Francis O'Farrell | ||
জন্ম | ৯ অক্টোবর ১৯২৭ | ||
জন্ম স্থান | Blackpool, Cork, Ireland | ||
মাঠে অবস্থান | Wing half | ||
যুব পর্যায় | |||
Nicholas Rovers | |||
Clapton Celtic | |||
Western Rovers | |||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
1947–1948 | Cork United | ? | (?) |
1948–1956 | West Ham United | 197 | (6) |
1956–1961 | Preston North End | 118 | (3) |
1961 | Weymouth | ? | (?) |
জাতীয় দল | |||
1952–1959 | Republic of Ireland | 9 | (2) |
পরিচালিত দল | |||
1961–1965 | Weymouth | ||
1965–1968 | Torquay United | ||
1968–1971 | Leicester City | ||
1971–1972 | Manchester United | ||
1973–1974 | Cardiff City | ||
1974–1976 | Iran | ||
1976–1977 | Torquay United | ||
1980 | Al-Shaab | ||
1981–1982 | Torquay United | ||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ফ্র্যান্সিস "ফ্র্যাঙ্ক" ওফ্যারেল (ইংরেজি: Frank O'Farrell ফ্র্যাংক্ ঔফ্যারেল্) (জন্ম অক্টোবর ৯, ১৯২৭ কর্ক, আয়ারল্যান্ড) একজন আইরিশ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
কর্ক ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের হয়ে ফ্রাঙ্ক ও'ফেরেল তার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। পরে ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে দলবদল করে ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড দলে যোগ দেন। প্রায় বিস্মৃত তবে কীর্তিমান এই খেলোয়াড় খেলা শিখতে থাকেন। আপটন পার্কে থিতু হতে তার কিছু সময় লাগে, কারণ তিনি ছিলেন অন্তর্মুখী স্বভাবের। তবে ১৯৫০ সালের শেষের দিকে তিনি দলে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখতে শুরু করেন এবং দলের নিয়মিত সদস্যে পরিনত হন। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে খেলা নয়টি ম্যাচের প্রথমটি তিনি খেলেন ১৯৫২ সালের ৭ মে যাতে তার দল অস্ট্রিয়ার কাছে ৬-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়।
১৯৫৬ সালের নভেম্বরে তিনি প্রেস্টন নর্থ এন্ড দলে যোগ দেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে প্রথম বিভাগে তার দল উভসের কাছে প্রথম স্থান বিসর্জন দিয়ে রানার্স-আপ হয়। সে বছর ওয়েস্ট হ্যামে ও'ফেরেলের সাবেক সতীর্থরা দ্বিতীয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে উন্নীত হয়।
১৯৬১ সালে আঘাতের জন্য তিনি খেলোয়াড় হিসেবে অবসর নেন এবং সে বছরেরই মে মাসে ওয়েমাউথ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়-ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৬৫ সালে তিনি টরকুয়ে ইউনাইটেডের ম্যানেজার হন। প্রথম মৌসুমেই তিনি দলকে এক ধাপ ওপরে উন্নীত করেন এবং পরের দুইটি মৌসুমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম অবস্থান দখল করেন।
১৯৬৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি লিচেস্টার সিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় লুটন টাউনের অ্যালান ব্রাউনও একই পদের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। একারণে ব্রাউনকে লুটন থেকে বরখাস্ত করা হয়, এবং তিনি টরকুয়ের ম্যানেজার হন। যদিও লিচেস্টার সে মৌসুমে প্রথম বিভাগ থেকে নেমে দ্বিতীয় বিভাগে স্থান পেয়েছিল, তবে ও'ফেরেল দলকে এফএ কাপের ফাইনালে নিয়ে যান। এখানে তারা ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ১-০ গোলে পরাস্ত হন।
১৯৭১ সালের জুন মাসে লিচেস্টারকে দ্বিতীয় বিভাগের শিরোপা এবং প্রথম বিভাগে উন্নীত করার পর তাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি মাত্র আঠারো মাস এ পদে ছিলেন। মৃদুভাষী এই আইরিশ জর্জ বেস্টের খারাপ ফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। তিনি তাকে বন্ধু করেছেন, তাকে সাহস যুগিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত তাকে একাদশের বাইরে রেখেছেন। বেস্টকে বদলীর তালিকায় রাখার পর তিনি আবিষ্কার করেন বেস্ট ও স্যার ম্যাট বাজবি সমস্যা সমাধানে গোপনে দেখা করেছেন। এর ফলে ও'ফেরেলের নিয়ন্ত্রণ শেষ হয়ে যায়। ড্রেসিংরুমে বিবাদের ফলে দলকে মূল্য দিতে হয় এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে দল ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়। এ খেলার মাধ্যমে তার ভাগ্য নির্ধারিত হয় এবং ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে চুক্তির সাড়ে তিন বছর আগেই ও'ফেরেলকে বরখাস্ত করা হয়।
১৯৭৩ সালের নভেম্বরে তিনি কার্ডিফ সিটি ফুটবল ক্লাবের ম্যানেজার হন, কিন্তু ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ইস্তফা দিয়ে ইরান দলের কোচের দায়িত্ব পান এবং এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৬ সালে তিনি আবার টরকুয়ে ইউনাইটেডে ম্যানেজার হিসেবে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৭ সালের মার্চে মাইক গ্রীনকে দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি সাধারণ ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। ১৯৮১ সালের জুনে তিনি আবার টরকুয়ে ইউনাইটেডের ম্যানেজার হন। পরে ব্রুস রিওক ১৯৮২ সালের জুনে নিয়োগ পেলে তিনি আবার সাধারণ ম্যানেজারের দায়িত্বে ফিরে যান। ১৯৮৩ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে কাজ করেছেন।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]পূর্বসূরী ম্যাট বাজবি |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার ১৯৭১-১৯৭২ |
উত্তরসূরী টমি ডোচার্টি |
- ১৯২৭-এ জন্ম
- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার
- আয়ারল্যান্ডীয় ফুটবলার
- প্রেস্টন নর্থ এন্ড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- ওয়েমাথ ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়
- প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডীয় ফুটবলার
- ২০২২-এ মৃত্যু
- লিগ অফ আয়ারল্যান্ড খেলোয়াড়
- ইংরেজ ফুটবল লিগের খেলোয়াড়
- ইংল্যান্ডে প্রবাসী ফুটবলার