ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার
ভয়েজেস দানস লে এটাটস দু গ্রান্দ মোগল বইয়ের ১৮৩০ সালের সংস্করণ।
ভয়েজ দে ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার, এনগ্রেভিং, পল মারে, ১৭১০।

ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার (২৫সেপ্টেম্বর ১৬২০ – ২২ সেপ্টেম্বর ১৬৮৮) ছিলেন একজন ফরাসি চিকিৎসক এবং ভ্রমণকারী। তিনি আনজৌ প্রদেশের জৌ-ইটিউ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভারতবর্ষে অবস্থানকালে তিনি মোগল সম্রাট শাহ জাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজপুত্র দারা শিকোহ-র (২ অক্টোবর ১৬১৫ - ৩০ অগাস্ট ১৬৫৯) ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। দারা শিকোহকে ফাঁসি দেওয়ার পরে তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের (১৪ অক্টোবর ১৬১৮ - ২০ ফেব্রুয়ারি ১৭০৭) দরবারে বেশ কিছুদিন অবস্থান করেন। ভারতে তিনি ছিলেন প্রায় ১২ বছর।

১৬৮৪ সালে প্রকাশিত তাঁর লেখা নভেলী ডিভিশন ডি লা টেরে পার লে ডিফ্রেনটেস এস্পেসেস ও রেসেস কিউই লা'বিটেন্ট (পৃথিবীর একটি নতুন বিভাগ ) বইটিতে স্বতন্ত্র জাতির ভিত্তিতে মানুষের শ্রেণিবিভাগ করা হয়, যা কিনা প্রথম প্রকাশিত পোস্ট-ক্লাসিকাল শ্রেণিবিন্যাস হিসাবে বিবেচিত হয়। তিনি ট্র্যাভেলস ইন দা মুঘল এম্পায়ার বলে আরেকটি বই লিখেছিলেন, যাতে মূলত দারা শিকোহ এবং আওরঙ্গজেবের সময়ে তাঁর ভ্রমণ তাদের রাজত্ব সম্পর্কে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ আছে। বিশিষ্ট মুঘল দরবারী, যারা সরাসরি ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তাদের থেকে পাওয়া তথ্যাদিও এই বইটির বড় উপাদান।

বার্নিয়ার তার বন্ধু পিয়েরে গাসঁদির দার্শনিক লেখাগুলি ল্যাটিন থেকে ফরাসি ভাষায় সংক্ষিপ্তাকারে অনুবাদ করেছিলেন। বার্নিয়ারের লেখা আব্রিজে দে লা ফিলোসফি দে গাসঁদি-র প্রথম সংস্করণ প্যারিসে ১৬৭৪ সালে প্রথমে ল্যাংলোই পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হয়; পরে ১৬৭৫ সালে প্রকাশ করেন এস্তিনি মিশেল। ১৮৭৮ সালে লিও তে আট খণ্ডের একটি সম্পূর্ণ সংস্করণ সম্পাদনা করেন প্রকাশ করেন আনিসন এবং প্যাসুয়েল, পরে তারা ১৬৮৪ সালে সাত খণ্ডে একটি দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশের জন্য রিগাউ কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। বার্নিয়ার তাঁর বইতে গাসঁদির ধারণাগুলি কোনরকম সম্পাদকীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিখুঁতভাবে আর বিশ্বস্ততার সাথে তুলে ধরেছিলেন। তবে গাসঁদির ধারণাগুলি নিয়ে বার্নিয়ার কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন, আর সেইগুলো নিয়ে ১৬৮২ সালে এস্তিনি মিশেলের প্রকাশনায় তাঁর আরেকটি বই ডাউটেস দে মিঃ বার্নিয়ার সুর কোয়েলেকস-আনস দেস প্রিন্সিপো চ্যাপিটারস দে সান আব্রিজে দে লা ফিলোসফি দে গাসঁদি প্রকাশ পায়।