বিষয়বস্তুতে চলুন

ফিলিস্তিনে সমকামীদের অধিকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সমকামী অধিকার : ফিলিস্তিন
সমকামী অধিকার?১৯৫১ সাল থেকে নারীদের জন্য বৈধ,[সন্দেহপূর্ণ ] দৈহিক মিলনে সম্মতি দেওয়ার ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা আছে গাজা: পুরুষদের অবৈধ
পারিবারিক অধিকার
সম্পর্কের স্বীকৃতিসমলিঙ্গের যুগলদের কোনো স্বীকৃতি নেই

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমকামীদের অধিকার প্রদানের ক্ষেত্রে তেমন একটা মাথা ঘামায়না। নারীদের মধ্যকার সমকাম রাষ্ট্রীয় আইনে অবৈধ না হলেও পুরুষ-পুরুষ যৌন সংসর্গ বা প্রেম নিষিদ্ধ। গাজাতে সমকামিতা আইনগতভাবে অবৈধ তবে পশ্চিম তীরে নয়।[]

অপরাধ বিষয়ক আইন এবং মানবাধিকার

[সম্পাদনা]

ফিলিস্তিনের সমাজ প্রেম এবং যৌনতার ব্যাপারে রক্ষণশীল হওয়ায় দেশটিতে সমকামীদেরকে সামাজিক হয়রানি বা নিপীড়ন থেকে বাঁচানোর জন্য কোনো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়না। শত শত ফিলিস্তিনি সমকামী পুরুষদের প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েলে পালিয়ে আসতে দেখা যায় প্রতি বছরই আবার ইসরায়েল যেহেতু ফিলিস্তিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেনা তাই ফিলিস্তিনের নাগরিকদেরও তাদের দেশে জায়গা দেয়না, ফলশ্রুতিতে ঐসব সমকামী পুরুষদের আত্মহত্যা করতে হয় বা কোনো নারীকে বিয়ে করতে হয়।[] ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএলজিএ ফিলিস্তিনে সমকামীদের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন পেশ করে বলে যে দেশটিতে প্রেম বা যৌনতার ন্যূনতম স্বাধীনতাটুকুও কোনো মানুষের মধ্যে নেই। ১৯৫১ সালে জর্ডান সরকার তাদের দেশে সমকামিতা বৈধ করে দিলে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে সমকামিতা বৈধতা পেয়ে যায় কারণ পশ্চিম তীর তখন জর্ডানের অধীনে ছিলো। গাজায় সমকামিতা অবৈধ কারণ ১৯৩৬ সালের করা ব্রিটিশ ম্যান্ডেট প্যালেস্টাইনের আইন এখনো ওখানে চালু আছে। যদিও ব্রিটিশদের ঐ আইনে নারীদের ক্ষেত্রে কিছু বলা হয়নি।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Palestine - GlobalGayz"www.globalgayz.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-২৯ 
  2. "BBC: Palestinian gays flee to Israel" 
  3. Ottosson, Daniel। "State-Sponsored Homophobia: A World Survey of Laws Prohibiting Same-Sex Activity Between Consenting Adults" (পিডিএফ)। ২০১০-১১-২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।