ফিলিস্তিনের আরব মহিলা সমিতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরব মহিলা সমিতি, জেরুজালেম, ১৯২৯

ফিলিস্তিনের আরব মহিলা সমিতি (এ ডব্লিউ এ) যাআরব মহিলা সমিতি নামেও পরিচিত। এটি ছিল একটি ফিলিস্তিনি মহিলা সংস্থা যা জেরুজালেম এর ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ অনুশাসন ২৬ অক্টোবর ১৯২৯ সালে আরব মহিলা নির্বাহী কমিটি (এ ডব্লিউ ই ) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এ ডব্লিউ ই ১৯২৯ সালে জেরুজালেমে প্রথম একটি ফিলিস্তিনি আরব মহিলা সম্মেলন বা প্রথম আরব মহিলা সম্মেলনের আয়োজন ও পরিচালনা করে। এই সম্মেলন আরব এবং ইসলামিক বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা সম্মেলন ছিল এবং এটি ছিল প্রথম পূর্বাঞ্চলীয় নারী সম্মেলন এর পূর্বসূরি।

১৯২৯ সালে জেরুজালেমে এই সম্মেলন দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি মুসলিম ও খ্রিস্টান নারীদেরকে একত্রিত করে এবং এ সময় তিনটি প্রস্তাব পাস করা হয়: ১৯১৭ এর বেলফোর ঘোষণা বাতিল করা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সরকারের ফিলিস্তিনের অধিকারের স্বীকৃতি এবং ফিলিস্তিনি শিল্পের উন্নয়ন।[১]

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

জাতীয় ফিলিস্তিনের সংঘবদ্ধকরণের ফলে ১৯২৯ ফিলিস্তিন দাঙ্গা সংঘটিত হয়। এর ফলেই আরব মহিলা নির্বাহী কমিটি (এ ডব্লিউ ই) প্রতিষ্ঠার সূচনা হয়। এটিই ছিল ফিলিস্তিন-এ প্রথম নারী সংগঠন এবং ফিলিস্তিনি নারী আন্দোলনের সূচনার বিন্দু।[২]

এ ডব্লিউ ই ১৯২৯ সালে জেরুজালেমে প্রথম ফিলিস্তিন আরব মহিলা সম্মেলন বা প্রথম আরব মহিলা সম্মেলনের আয়োজন ও পরিচালনা করে। এই সম্মেলন আরব এবং ইসলামিক বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক মহিলা সম্মেলন ছিল এবং এটি ছিল প্রথম পূর্বাঞ্চলীয় নারী সম্মেলন এর পূর্বসূরি। সম্মেলনের সময়, আরব মহিলা নির্বাহী কমিটি (এ ডব্লিউ ই ), ফিলিস্তিনের আরব মহিলা সমিতি (এ ডব্লিউ এ ) প্রতিষ্ঠা করে।

এ ডব্লিউ এ-এর লক্ষ্যগুলি এইভাবে বলা হয়েছিল

ফিলিস্তিনের আরব মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলির উন্নয়নের জন্য কাজ করা, মেয়েদের জন্য শিক্ষাগত সুবিধার সম্প্রসারণকে সুরক্ষিত করার জন্য প্রচেষ্টা করা, [এবং] নারীদের অবস্থানকে উন্নীত করার জন্য সম্ভাব্য এবং আইনানুগ সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।

এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা হলেন ওয়াহিদা আল-খালিদি (সভাপতি), মাতিয়েল মোগানাম এবং কাত্রিন দীব (সচিব), শাহিন্দা দুজদার (কোষাধ্যক্ষ), নাইমিতি আল-হুসাইনি, তারাব আবদ আল-হাদী, মেরি শিহাদা, আনিসা আল-খাদরা, খাদিজা আল-হুসাইনি, দিয়া আল নাশাশিবি, মেলিয়া সাকাকিনি , জলিখা আল-শিহাবি, কামিল বুদায়রি, ফাতিমা আল-হুসাইনি, জাহিয়া আল নাশাশিবি, এবং সাদিয়া আল-আলামি। ফিলিস্তিনি নারী আন্দোলনের পথিকৃৎরা সংখ্যালঘু মধ্যবিত্ত নারী, যারা পশ্চিমা শিক্ষায় উন্মোচিত আধুনিকতাবাদী মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছেন, যারা ভবিষ্যৎ এর মুক্ত প্যালেস্টাইনের সাফল্যে অবদান রাখার জন্য নারীর মুক্তির পক্ষে ছিলেন।[৩]

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

এ ডব্লিউ এ ফিলিস্তিনের অনেক শহরে শাখা গঠন করে এবং এটি ফিলিস্তিনি নারী আন্দোলনের একটি নেতৃস্থানীয় সংগঠন হয়ে ওঠে।

এটি আরব বিক্ষোভে ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিল: এটি ১৯৩৬ এবং ১৯৩৯ সালের বিদ্রোহের বন্দী এবং বিদ্রোহীদের সমর্থন প্রমাণ করেছিল, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ করেছিল এবং ফিলিস্তিনি জাতীয় আন্দোলনের জন্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমর্থন সমাবেশ করেছিল।

বিভক্তি[সম্পাদনা]

১৯৩৮ সালে, এ ডব্লিউ এ কায়রোতে অনুষ্ঠিত মিশরীয় নারীবাদী ইউনিয়ন-এ যোগ দিয়েছিল। ১৯৪৪ সালে, এ ডব্লিউ এ মূল এ ডব্লিউ এ এবং আরব মহিলা সমিতি -এ বিভক্ত হয়, যা ১৯৪৪ এর আরব মহিলা সম্মেলনে এর পরে আনুষ্ঠানিকভাবে আরব নারীবাদী সমিতি (এ এফ ইউ) হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ ডব্লিউ এ পরবর্তিতে প্রধানত জেরুজালেমে একটি দাতব্য সংস্থার আকারে কাজ করতে থাকে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Eugene Rogan (২০১২)। The Arabs: A History – Third Edition। Penguin। পৃষ্ঠা 251। আইএসবিএন 9780718196837 
  2. Fleischmann, E. (2000). The Emergence of the Palestinian Women's Movement, 1929-39. Journal of Palestine Studies, 29(3), 16-32. doi:10.2307/2676453
  3. Fleischmann, E. (2003). The Nation and Its "New" Women: The Palestinian Women's Movement, 1920-1948. Storbritannien: University of California Press.