ফজল আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফজল আহমেদ
মংডু-২ আসন থেকে মায়ানমার সংসদের নির্বাচিত সদস্য
পূর্বসূরীনির্বাচন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়
উত্তরসূরীনির্বাচন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৪১
বাসুবা গ্রাম, মংডু, আরাকান বিভাগ, ব্রিটিশ বার্মা
(বর্তমানে মায়ানমার)
রাজনৈতিক দলন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর হিউম্যান রাইটস
পিতামাতাইউ মুহাম্মাদ কালু

ফজল আহমেদ (জন্ম ১৯৪৪) রোহিঙ্গা আইনজীবী এবং মিয়ানমারের সাবেক রাজনীতিবিদ। তিনি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর হিউম্যান রাইটসের (এনডিপিএইচআর) নেতা ছিলেন। ১৯৯০ সালের বার্মিজ সাধারণ নির্বাচনের সময় তিনি মিয়ানমারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

আহমেদ ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ বার্মার আরাকান বিভাগের মংডুর বসুবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন মোহাম্মদ কালু। তিনি মংডুর স্টেট হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার পরে, ১৯৬০ সালে তিনি মুনড্ডায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একজন কেরানী হিসাবে যোগদান করেন এবং তিনি আরাকান রাজ্যের মংডু, বুথিডাং, কিউক তাউ, কউকপিউ, টাউংআপ এবং সিত্তেয়ের বিভিন্ন অফিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তিনি হায়ার গ্রেড প্লেডার (এইচজিপি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তিনি প্রাইভেট আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি মংডু জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও কাজ করেছেন। [৩]

রাজনৈতিক ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

আহমেদ এনডিপিএইচর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। আহমেদ ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচন মংডু-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি ৫৮,২৩০ ভোটের মধ্যে ২৪, ৮৪৪ ভোটের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচনে জিতেছিলেন।[৩] তিনি বার্মিজ পার্লামেন্টে চারজন এনডিপিএইচ সংসদ সদস্যের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

আটক[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালে বর্মি সামরিক জান্তা এনডিপিএইচআর নিষিদ্ধ করে। তখন আহমদকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়।[৪]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. News, Kaladan। "Rohingyas reject the NVC process in Maungdaw - Kaladan Press Network"www.kaladanpress.org। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০ 
  2. http://www.burmalibrary.org/docs08/mag_arakan01-09.pdf
  3. "1990 Multi-Party Democracy General Elections and The Rohingyas' Enfranchisement - The Stateless Rohingya"। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২০ 
  4. Impact International। News & Media। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 9।