প্রবেশদ্বার:ভূমিকম্প/ভূমিকা
ভূ-অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। কম্পন-তরঙ্গ থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই তরঙ্গ ভূ-গর্ভের কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে উৎপন্ন হয় এবং উৎসস্থল থেকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেণ্ড থেকে এক/দু-মিনিট স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।(আরো পড়ুন...)
ভূকম্পবিদ্যা ( /saɪzˈmɒlədʒi/; এসেছে প্রাচীন গ্রিক σεισμός (seismós)থেকে যার অর্থ "ভূমিকম্প" এবং -λογία (-logía) অর্থ "গবেষণা") হচ্ছে ভূমিকম্প এবং স্থিতিস্থাপক তরঙ্গের বৈজ্ঞানিক গবেষণা যা পৃথিবীর বা অন্যান্য গ্রহের মধ্যদিয়ে বিস্তার করে। ভূগর্ভস্থ ভূমিকম্পের প্রভাব যেমন সুনামি এবং বিভিন্ন ভূকম্পিয় উৎস যেমন জলবায়ু, টেকটনিক, মহাসাগরীয়, বায়ুমণ্ডলীয়, এবং কৃত্রিম বিস্ফোরণগুলির মতো প্রক্রিয়াগুলি এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পূর্ববর্তী ভূমিকম্প সম্পর্কিত বিষয় থেকে তথ্য নির্ণয় করার জন্য যে ভূতত্ত্ব ব্যবহার করা হয় এমন একটি ক্ষেত্র হল প্লেসিয়াবাদবিজ্ঞান।সময় অনুযায়ী পৃথিবীর গতি সংরক্ষণ রাখাকে বলা হয় ভূকম্পলিপি। একজন ভূতাত্ত্বিক হচ্ছেন বিজ্ঞানী যিনি ভূকম্পন গবেষণা করেন।