পানামার রাজনীতি
১৮২১ সালে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় থেকেই পানামাতে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বিদ্যমান। পানামাতে ১৯০৩, ১৯৪৬ এবং ১৯৭২ সালে তিনবার সংবিধান রচনা করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে সংবিধানে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়। ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের সব নাগরিকের নির্বাচনে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক।
পানামার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের বিপরীতে ১৯৩০-এর দশক থেকেই দেশটির সেনাবাহিনী দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছে। সামরিক বাহিনী ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পানামার সরকারীভাবে কোন সেনাবাহিনী নেই। ১৯০৩ সাল থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। তবে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে দেশের অভ্যন্তরে একটি সামরিক পুলিশ বাহিনী সবসময়ই বিদ্যমান ছিল। এটি বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পুলিশ (১৯০৩-১৯৫৩), জাতীয় গার্ড (১৯৫৩-১৯৮৩), পানামা প্রতিরক্ষা বাহিনী (১৯৮৩-১৯৮৯), এবং গণবাহিনী (১৯৯০-) নামে পরিচিত।
১৯৪০-এর দশকের শেষ নাগাদ পুলিশ কমান্ডার হোসে আন্তোনিও রেমন রাষ্ট্রপতি বাছাই ও অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে নেন। ১৯৫২ সালে তিনি নিজেই দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। ১৯৫৫ সালে তাকে হত্যা করা হলে পুলিশ সরকারে সক্রিয় ভূমিকা থেকে বিরত হয়। কিন্তু ১৯৬৮ সালে দুইজন কর্নেল একটি সামরিক কু-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে উৎখাত করেন এবং পানামাতে ২২ বছর দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সূচনা হয়। এসময় ওমার তোররিহোস এররেরা (১৯৬৯-১৯৮১), এবং মানুয়েল নোরিয়েগা (১৯৮৪-১৯৮৯) ছিলেন প্রধান রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা আক্রমণ করে নোরিয়েগাকে অপসারণ করে, সেনাবাহিনী ভেঙে দেয় এবং দেশটিতে বেসামরিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।