পরেশনাথ ঘোষ
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হল: সাধু ভাষায় লেখা রয়েছে। (জুন ২০১৮) |
পরেশনাথ ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | ১৮৫৬ শুভাঢ্যা গ্রাম,ঢাকা, |
মৃত্যু | ১৯২৩ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | বিখ্যাত মল্লবীর |
পিতা-মাতা | সীতানাথ ঘোষ |
পরেশনাথ ঘোষ (১৮৫৬ - ১৯২৩) বা পার্শ্বনাথ একজন ভারতীয় মল্লবীর ছিলেন।[১]
জন্ম
[সম্পাদনা]ঢাকা শহরের বুড়ীগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পাড়ে শুভাঢ্যা গ্রামে ১২৬৩ সনের ফাল্গুন মাসে ( ইংরেজী ১৮৫৬ সালে) পূর্ব-বাংলার বিখ্যাত মল্লবীর স্বর্গীয় পরেশনাথ ঘোষ জন্মগ্রহণ করেন। সাধারণের কাছে তিনি ‘পার্শ্বনাথ’ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। পরেশনাথের বাবার নাম সীতানাথ ঘোষ এবং তার ঠাকুরদাদার নাম নীলমণি ঘোষ। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ-সবল ও দীর্ঘজীবি ছিলেন।
শৈশব
[সম্পাদনা]শুভাঢ্যা গ্রামের একটি বাংলা স্কুলে পরেশনাথের শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। এই স্কুল হতে চার টাকা বৃত্তিতে পাশ করেন এবং বাংলা প্রবন্ধ্য রচনায় প্রথম স্থান লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই ব্যায়াম এর দিকে তার খুব ঝোঁক ছিল। ১৫ বছর বয়সে তিনি গ্রামে একটি আখড়া স্থাপন করে সেখানে গ্রামের ছেলেদের নিয়ে কুস্তি প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন।
যৌবন
[সম্পাদনা]১২৭৮ সনে শুভাঢ্যা গ্রামেরই অঁদ্বৈতচরণ দত্তের মেয়ের সাথে তার বিয়ে হয়। তখন তার বয়স ১৫ বছর। গ্রামের স্কুলে পড়া শেষ করে পরেশনাথ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলেন। পরবর্তীকালে শক্তিমত্তার জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। লক্ষীবাজারের স্বর্গীয় অধর ঘোষের কাছে তিনি কুস্তি প্রশিক্ষণ নিলেন।
১২৮৩-৮৪ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল হতে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন। এই সময় তিনি সৈনিক হতে চান। পরীক্ষা দিয়ে তিনি শ্যামাকান্তকে সাথে নিয়ে গোয়ালিয়র সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হলেন। এই সময় অনেক জায়গায় তার স্থানীয় পালোয়ানদের সাথে কুস্তি লড়েন এবং শারীরিক শক্তি প্রদর্শন করেন। গয়ালিয়রের রাজ পালোয়ানদের সাথে কুস্তিতে পরেশনাথ বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন তা সফল হয় নি।
পরেশনাথ কলকাতায় গিয়ে সিটি কলেজে ভর্তি হলেন। তখনকার দিনে আই,এ (এফ ,এ) তে গণিত আবশ্যিক বিষয় ছিল। প্রত্যেককেই গণিত পাঠ করতে হত। কিন্তু পরেশনাথ ইংরেজীতে বেশ দক্ষ হলেও গণিতে অত্যন্ত কাঁচা ছিলেন। আই.এ পরীক্ষায় গণিতে ফেল করলেন। তারপর আরো দুই বার পরীক্ষা দিলেন, প্রত্যেক বারেই গণিতে ফেল করলেন। তিন বার একই পরীক্ষায় ফেল হওয়াতে পরেশনাথের শ্বশুর পড়ার খরচ বন্ধ করে দিলেন। তার অসাধারণ অধ্যবসায় শক্তি ছিল। তিনি ছাত্র পড়িয়ে কলেজের পড়া চালাতেন। তখন ব্রাহ্ম-সমাজের প্রভাব তরুণ দলে খুব বেশি। পরেশনাথও সে প্রভাব এড়াতে পারেননি। ব্রাহ্ম-সমাজের সংস্পর্শে এসে পরেশনাথ অনেক মহানুভাব ব্যক্তির কাছে অর্থসাহায্য পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সিটি কলেজের প্রিন্সিপাল স্বর্গীয় উমেশচন্দ্র দত্ত এবং ডঃ পি, কে, রায় অন্যতম। তারা পরেশনাথকে খুব স্নেহ করতেন ও উৎসাহ দিতেন এবং পরেশনাথও তাদের ভক্তি করতেন।