পবিত্রা নিরৌলা খরেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পবিত্রা নিরৌলা খরেল
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন, নেপালি প্রতিনিধি সভা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮[১]
নেপালি প্রতিনিধি সভার সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৫ মার্চ ২০১৮
পূর্বসূরীদপ্তর প্রতিষ্ঠিত
সংসদীয় এলাকাঝাপা-২
সংখ্যাগরিষ্ঠ১৩,৭৬৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মপবিত্রা নিরৌলা
৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪
দামাক, ঝাপা জেলা
রাজনৈতিক দলনেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)

পবিত্রা নিরৌলা খরেল (নেপালি: पवित्रा निरैला खरेल; জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪)[২] একজন নেপালি রাজনীতিবিদ। তিনি নেপালের কেন্দ্রীয় সংসদ প্রতিনিধি সভার ২০১৭ সালের নির্বাচনে এফপিটিপি ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচিত হওয়া মাত্র ছয় জন মহিলা সাংসদের মধ্যে একজন।[৩] তিনি সংসদীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি।[৪] তিনি জাতীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এবং অল নেপাল উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিনের কেন্দ্রীয় সদস্য।

তিনি ছাত্রী থাকাকালীনই একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং কিছু সময়ের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন।

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৬৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঝাপা জেলার দামাকে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছবি লাল এবং মাতা খড়্গ মায়া নিরৌলা।[২] ইন্টারমিডিয়েট স্তর পর্যন্ত তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা রয়েছে।[২] নেপালি কমিউনিস্ট আন্দোলনের ছাত্র শাখার সদস্য হিসেবে তিনি ১৯৭৮ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তখন তিনি দেশের "দলহীন" পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

অল নেপাল ন্যাশনাল ফ্রি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএনএনএফএসইউ) এর সদস্য হিসাবে, তিনি ছাত্রী থাকাকালীন গ্রেপ্তার হন এবং পঞ্চায়েত সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক বন্দী থাকার কারণে তিনি ইন্টারমিডিয়েট স্তরের পরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি।[২] অল নেপাল উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে তিনি কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (একীকৃত মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী)-এর ঝাপা জেলা ওয়ার্কিং কমিটির সেক্রেটারি এবং ঝাপা জেলা উন্নয়ন কমিটির মনোনীত সদস্য পদেও অধিষ্ঠিত রয়েছেন।[২] এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য। তিনি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি) এর মহিলা শাখা অল নেপাল উইমেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য।[২]

২০১৭ সালের আইনসভার নির্বাচনে সিপিএন ইউএমএল (বর্তমানে এনসিপি) তাকে ঝাপা-২ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে। তিনি ৪৫,৮১৭ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালি কংগ্রেসের উদ্ধব থাপাকে ১৩,৫০০ এরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন।[৩][৫] নির্বাচনের পর তিনি সংসদীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।[৪] সমস্ত ফেডারেল সংসদীয় কমিটির অর্ধেক মহিলা সংসদ সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত এই বোঝাপড়া অনুযায়ী, তিনি এই পদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[৬] সেতোপতি অনুসারে, তিনি সংসদীয় কমিটির অন্যতম সভাপতি ছিলেন যিনি ২০১৯ সালের জুন মাসে সরকারের কাছ থেকে নতুন যানবাহন দাবি করেছিলেন এবং পেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে দীর্ঘ সড়ক ভ্রমণের সময় তার গাড়িটি ভেঙে পড়ে। [৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার দুই মেয়ে আছে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Chairpersons of HoR thematic panels sworn in"The Himalayan Times। সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮। 
  2. "Pabitra Niraula Kharel"election2013.ujyaaloonline.com। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০২১ 
  3. "Six women elected to parliament under FPTP system"South Asia Check। ডিসেম্বর ১১, ২০১৭। 
  4. "House committee endorses report on former Gurkhas"The Himalayan Times। মার্চ ১৬, ২০১৯। 
  5. "Jhapa : Province 1 - Nepal Election Latest Updates and Result for Federal Parliament"election.ekantipur.com 
  6. "Women to head half of parliamentary panels"kathmandupost.com 
  7. "77m allocated to procure vehicles for chairpersons of parliamentary committees" 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]