পদ্মনাভন বলরাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পদ্মনাভন বলরাম
২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী নতুন দিল্লিতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছেন
মাতৃশিক্ষায়তনপুণে বিশ্ববিদ্যালয়
আইআইটি কানপুর
কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারপদ্মভূষণ[১]
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপ্রাণরসায়ন
প্রতিষ্ঠানসমূহইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট সায়েন্স

পদ্মনাভন বলরাম একজন ভারতীয় প্রাণরসায়নবিদ এবং ভারতের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রাক্তন নির্দেশক।[২]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৬৭ সালে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্গুসন কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৯ সালে কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পাশ করার পরে গবেষণার কাজে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। তিনি ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিট্‌সবার্গ শহরে অবস্থিত। তিনি ১৯৭২-১৯৭৩ শিক্ষাবর্ষে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পোস্টডক্টরাল কাজে ষোগ দেন। সেখানে তিনি নোবেল বিজয়ী রবার্ট বার্নস উডওয়ার্ডের[৩] কাছে পোস্টডক্টরালের কাজ করেন। বিজ্ঞানী উডওয়ার্ডের কাছে কাজ করার সময় তিনি এরিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিকের সংশ্লেষণের কাজ করেছিলেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ভারতে ফিরে এসে তিনি ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের আণবিক বায়োফিজিক্স বিভাগে ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আণবিক বায়োফিজিক্স বিভাগে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্দেশকের দায়িত্বভার সামলেছেন। বর্তমানে তিনি ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস- এ অধ্যাপনার কাজে রয়েছেন। বলরাম দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে ব্যাপকভাবে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক নীতি জনপ্রিয়করণের ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

গবেষণা[সম্পাদনা]

বলরামের গবেষণার প্রধান ক্ষেত্রটি হলো প্রাকৃতিক পেপটাইড নিয়ে। পেপটাইড প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহসহ জীবন্ত প্রাণীতে উপস্থিত থাকে। এটি সাধারণত ২ থেকে ৫০টি অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত হয়। তার গবেষণার প্রধান কাজটি হলো এই সব প্রাকৃতিক পেপটাইডের গঠন এবং এর জৈবিক কার্যকলাপের অনুসন্ধান করা। এক্ষেত্রে গবেষণার জন্য তিনি এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি, নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স স্পেকট্রোস্কোপি, ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কোপি প্রভৃতি বৈজ্ঞানিক কৌশলগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছেন। পেপটাইডগুলির ভাঁজ এবং গঠনকে প্রভাবিত করে এমন কারণগুলি খুঁজে তার মূল্যায়নে তিনি প্রধান অবদান রেখেছেন।

তার ৪০০ টিরও বেশি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রচনা রয়েছে। তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির একজন ফেলো সদস্য।[৪][৫]

২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত তিনি কারেন্ট সায়েন্স জার্নালের সম্পাদক ছিলেন।[৬][৭]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস (টিডাবলুএএস) পুরস্কার (১৯৯৪)[৮]
  • তৃতীয় সর্বোচ্চ ভারতীয় অসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ পুরস্কার (২০১৪)[৯]
  • পদ্মশ্রী (২০০২)
  • কর্ণাটক সরকারের রাজজ্যোৎসব পুরস্কার (২০০৮)
  • আমেরিকান পেপটাইড সোসাইটি কর্তৃক আর. ব্রুস মেরিফিল্ড পুরস্কার (২০২১)[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Receives Padma Bhushan
  2. Prof. P. Balaram lab Webpage at IISc Retrieved 16 July 2012
  3. Interview with Prof. P. Balaram, Department of Chemistry IIT Delhi CHEMCOS Journal of The Chemical Society, IIT Delhi. Issue IV :June 2009. Retrieved 16 July 2012
  4. National Knowledge Commission member P. Balaram ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে Retrieved 16 July 2012
  5. "Indian Fellow"। INSA। ২০১৭-১০-৩০। ২০১৭-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-৩০ 
  6. Current Science Editorial Board Retrieved 16 July 2012
  7. Bachhawat, Anand K.; Balakrishnan, V.; Swaminathan, M. S.; Sarma, V. Venkateswara; Desiraju, Gautam R.; Ganapathi, Vinay; Metri, Dhanappa M.; Bamji, Mahtab S.; Raman, Anantanarayanan; Herndon, J. Marvin; Suryanarayanan, T. S. (২০১৩)। "A "Current Science" journal without Balaram?"Current Science105 (4): 429–431। আইএসএসএন 0011-3891জেস্টোর 24097984 
  8. "Prizes and Awards"। The World Academy of Sciences। ২০১৬। 
  9. "Padma Awards"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৬ 
  10. "Merrifield Award – American Peptide Society" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১১