নোরা অস্তোর্গা
নোরা অস্তোর্গা | |
---|---|
জাতিসংঘ নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৮৮ | |
রাষ্ট্রপতি | ড্যানিয়েল ওর্তেগা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মানাগুয়া, নিকারাগুয়া |
মৃত্যু | মানাগুয়া, নিকারাগুয়া |
রাজনৈতিক দল | এফএসএলএন |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, বিচারক |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
নোরা অস্তোর্গা গাদিয়া ডে জেনকিন্স (স্পেনীয়: Nora Astorga; জন্ম: ১৯৪৮ - মৃত্যু: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮) মানাগুয়ায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিকারাগুয়ী প্রমিলা গেরিলা যোদ্ধা, বিপ্লবী, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, বিচারক ও রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে জাতিসংঘে নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন নোরা অস্তোর্গা।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]মানাগুয়ায় ধর্মপ্রাণ রোমান ক্যাথলিক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের অস্তোর্গার জন্ম। ক্ষমতাসীন শক্তিশালী সমোজা পরিবারের সাথে যুক্ত থাকা তাদের পরিবারের প্রথম সন্তান ছিলেন তিনি।[১] কৈশোরে তিনি ধর্মপ্রাণ রোমান ক্যাথলিক ছিলেন। প্রায়শঃই মানাগুয়ার দরিদ্র প্রতিবেশীদেরকে সহায়তাকল্পে দাতব্য কাজে অংশ নিতেন।
১৯৬৭ সালে পরিবারের বিরুদ্ধাচার করে ঘোষণা করেন যে, তিনি ফার্নান্দো আগুইরোকে সমর্থন করেন; রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনাস্তাসিও সমোজা দেবেলকে নয়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও ‘সোজা তাঁকে বের করে দাও’ নীতির প্রেক্ষিতে তার পরিবার তাকে চিকিৎশাস্ত্রে অধ্যয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনি ১৯৬৭ থেকেই ১৯৬৯ সময়কাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। কিন্তু জীব-জন্তুর উৎপাতের কারণে পড়াশোনার ইতি ঘটান।
ঐ বছরগুলোয় ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে কাটানোর বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক বৈপরীত ও সর্বোপরী বর্ণবাদপ্রথা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি বর্ণবাদ দেখতে চাই না যা নিকারাগুয়ায় বিদ্যমান ... আমার রাজনৈতিক সচেতনতা সেখানেই গড়ে উঠেছে।’[২]
বিপ্লবে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]"...বিপ্লব নিছক কোকা-কোলা বা কাগজজাতীয় বা এ জাতীয় কিছুর ন্যায় রপ্তানীযোগ্য নয় ... আপনি এটিকে অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করতে পারেন না বা বাইরে পাঠাতে পারেন না। একটি দেশে বিপ্লব তৈরী হয় যখন নির্দিষ্ট দেশের অবস্থা পরিবর্তনের দিকে এগুতে থাকে।"
নোরা অস্তোর্গা[১]
অস্তোর্গা পরবর্তীতে নিকারাগুয়ায় ফিরে যান। এরপর তিনি মানাগুয়ার ইউনিভার্সিডাড সেন্ত্রোআমেরিকানায় আইন বিষয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় নিকারাগুয়ার সান্দিনিস্তা বিপ্লবীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে তার।[৩] ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সময়কালে বিপ্লবী নেতা অস্কার তারসিওসের নিরাপদ আবাসস্থল ও পরিবহনের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
২২ বছর বয়সে ছাত্র নেতা জর্জ জেনকিন্সের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তরুণ যুগল পরের বছর থেকে ইতালিতে অবস্থান করতে থাকেন। সেখানে জেনকিন্স পুরাতত্ত্ব ও তিনি ব্যাংকিং আইন এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে অধ্যয়ন করতে থাকেন।[১] এ সময়কালে অস্তোর্গা দুই সন্তানের মা হিসেবে দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। নিকারাগুয়ার সর্ববৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট আইনজীবীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অলক্ষ্যে গুপ্ত কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত সান্দিনিস্তাকে আর্থিক সহযোগিতা করতে থাকেন।
১৯৭৮ সালে সংবাদপত্রের সম্পাদক পেদ্রো চামোরো’র নির্মম হতাকাণ্ডের পর অস্তোর্গা সমোজা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘অবশেষে আমি অনুধাবন করতে পারি যে, কেবলমাত্র অস্ত্রের মাধ্যমেই এর সমাধান সম্ভব। রাইফেল ফুলের সাথে স্বাক্ষাৎ করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা রাস্তায় রয়েছি, যদি সেনাবাহিনী আমাদেরকে সংগঠিত করতে না দেয়, তাহলে আমরা লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হবো না। আমার পক্ষ থেকে এটি একটি চূড়ান্ত মুহূর্ত। হয় আমি অস্ত্র তুলে নেব ও দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবো, না হলে আমি কোন কিছুই পরিবর্তন করতে পারবো না।’[২]
জেনারেল রেনাল্ডো পেরেজ ভেগাকে (ডাকনাম ‘এল পেরো’ বা ‘দ্য ডগ’) অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে তার সম্পৃক্ততা জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে তোলে। পেরেজ ভেগা আনাস্তাসিও সমোজা’র জাতীয় প্রতিরক্ষা দলের ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন।[৪] ৮ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে অস্তোর্গা জেনারেলকে মানাগুয়ায় তার অ্যাপার্টমেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যা তিনি এতোদিন ধরে চেয়ে এসেছেন।[৫] যৌনপ্রবৃত্তি নিবারণে তাকে অনুমতি দেন। যখন তিনি আসেন, তখন সান্দিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (এফএসএলএন) তিন সদস্য হিলারিও সাঞ্চেজ, রল ভেনেরিও এবং ওয়াল্টার ফেরেতি তার শয়নকক্ষের কাছাকাছি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ও জেনারেলকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। পরিকল্পনাটি জানতে পেরে সান্দিনিস্তা বিপ্লবীদেরকে কারাগারে নিয়ে যাবার কথা ভাবেন পেরেজ। কিন্তু পেরেজ ভেগা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ও হতাকাণ্ডের শিকারে পরিণত হন। পরবর্তীতে তার গলাকে বিভক্ত করে সেখানে সান্দিনিস্তার পতাকা ঢুকিয়ে রাখতে দেখা যায়।
অস্তোর্গা তার হত্যার বিষয়ে বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড নয়। তিনি দৈত্যের চেয়েও ভয়াবহ ছিলেন। স্বীয় মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পূর্বে এক স্বাক্ষাৎকারে পেরেজ ভেগা হতাকাণ্ডের বিষয়ে তার ভূমিকা ও অনুভূতির কথা তুলে ধরেন:
...মাঝে-মধ্যে কিছু লোক জিজ্ঞাসা করে, কেন আমি দ্য ডগের বিষয়ে দোষী অনুভব করিনা। তারা জানতে চায় কেমন করে আমি কোন অপরাধবোধে আচ্ছন্ন না হয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমি তিনটি কারণে দোষী নই। প্রথমত: আমরা কেবলমাত্র তাকে অপহরণ করেছি, হত্যা করতে চাইনি। দ্বিতীয়ত: তার মৃত্যুকালীন আমি সেখানে ছিলাম না। এবং তৃতীয়ত: তিনি তার বাহাদুরী প্রদর্শন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি সমোজা’র দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন। তিনি উত্তরের সকল ধরনের হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছেন, তিনি মাসায়ায় অনেকগুলো গণহত্যায় জড়িত ছিলেন। তিনি প্রকৃতই একজন দৈত্য ছিলেন। আমি জানি যে, তার হত্যাকাণ্ড স্বাধীনতার সংঘর্ষের অংশবিশেষ।...
— নোরা অস্তোর্গা[২]
অস্তোর্গা জাতীয় বিষয়ের অংশ হন তিনি এবং পরবর্তীতে দেশের বিরোধী সংবাদপত্র ‘লা প্রেসনা’র পৃষ্ঠায় নিকারাগুয়ার জনগণের কাছে হাজির হন। তিনি জংলী পোশাক পরিধান করতেন ও একে-৪৭ অ্যাসাল্ট রাইফেল বহন করতেন। অস্তোর্গা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতেন ও পরবর্তীতে সান্দিনিস্তা বিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন। সেখানে তিনি অন্তঃস্বত্ত্বা হন। তৃতীয় সন্তানের বাবা ছিলেন সান্দিনিস্তা নেতা হোস মারিয়া আলাভারাদো।
মন্ত্রী ও জাতিসংঘ প্রতিনিধি
[সম্পাদনা]জুলাই, ১৯৭৯ সালে সান্দিনিস্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অস্তোর্গা বিচারবিষয়ক উপ-মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। ঐ পদে থাকাকালে তিনি প্রায় ৭,৫০০ সমোজা’র ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।[৬]
১৯৮৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে, জেনারেল রেনাল্ডো পেরেজ ভেগার হতাকাণ্ডের সাথে তাঁর সম্পৃক্ততার কারণে রিগান প্রশাসন তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে। ভেগা সিআইএ মনোনীত ছিলেন।[৭]
১৯৮৪ সালে জাতিসংঘে উপ-প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হন। মার্চ, ১৯৮৬ সালে ঐ সংস্থায় নিকারাগুয়ার দূতের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব-মুহূর্ত পর্যন্ত এ পদে বহাল ছিলেন।[৮] তিনি স্মারকসূচক আন্তর্জাতিক আদালতে সরকারী দলের জাতিসংঘে স্বীকৃতির বিষয়ে নিকারাগুয়া বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে জড়িত ছিলেন। এতে ঘোষণা করা হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কন্ট্রাদেরকে সহযোগিতা করে যা অবৈধ ছিল।
দেহাবসান
[সম্পাদনা]১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮ তারিখে ৩৯ বছর বয়সে জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ‘লা নোরিতা’র দেহাবসান ঘটে। ২২ বছর বয়সে জর্জ জেনকিন্সকে বিয়ে করেন। অস্তোর্গা’র চার সন্তান ছিল। তন্মধ্যে দুইটি স্বামীর সংসারে ও সান্দিনিস্তার সদস্য হোস মারিয়া আলভারাদো’র সাথে দুইটি।[১]
জুলাই, ১৯৮৭ সালে তাঁকে ‘ফাদারল্যান্ড ও রিভল্যুশনের বীর’ ও কার্লোস ফনসেকা অর্ডার পদবীতে ভূষিত হন। এটিই ঐ সময়ে নিকারাগুয়ার সর্বোচ্চ সম্মাননা ছিল।[২] মানাগুয়ার কাসা অ্যাভ মারিয়ায় ভিসিতাসিও মুর্যালে অন্তর্ভুক্ত বারোজনের একজন ছিলেন তিনি। মানাগুয়ার একটি মহল্লার নামকরণ হয় তার নামে। ১৯৮৬ সালে নোরা অস্ত্রোগা’র অনুসরণে কেবিসি ব্যান্ড দল ‘মারিয়েল’ গান প্রদর্শন করে।[৯] কেবিসি সদস্য জ্যাক কাসাদি ও পল ক্যান্টনার এ গানটি তার শবানুষ্ঠানে পরিবেশন করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Saxon, Wolfgang (১৯৮৮-০২-১৫)। "Nora Astorga, a Sandinista Hero And Delegate to U.N., Dies at 39"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ "Nora Astorga In Her Own Words"। Envío। Central American University (UCA)। এপ্রিল ১৯৮৮। ২০২০-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫।
- ↑ Houghton Mifflin Company (২০০৩)। The Houghton Mifflin Dictionary of Biography। Houghton Mifflin। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 0-618-25210-X।
- ↑ "Nora and the Dog"। TIME। ১৯৮৪-০৪-০২। ২০১২-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৫।
- ↑ Mahan, Sue; Griset, Pamala L. (২০০৩)। Terrorism in perspective। Sage Publications। পৃষ্ঠা 176। আইএসবিএন 0-7619-2404-3।
- ↑ Randall, Margaret। "5"। Todas estamos despiertas: Testimonios de la mujer Nicaragüense de hoy (Spanish ভাষায়)। পৃষ্ঠা 167। আইএসবিএন 968-23-1011-3।
Nora Astorga -Militante Sandinista, abogada, madre de tres niños -es la fisical especial de justicia encargada de enjuciar a los más de 7500 somocistas que se enfrentan a la justicia popular.
- ↑ "800 Attend Mass for Nicaraguan"। New York Times। ১৯৮৮-০২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৬।
In 1984, the United States refused to accept Miss Astorga as Nicaragua's Ambassador to Washington, citing her role during the Sandinista revolution in luring a Nicaraguan general who had worked with the Central Intelligence Agency to her bedroom, where he was killed by assailants who had hid there. She later maintained that the operation was an attempted kidnapping that went wrong when a struggle developed.
- ↑ "Nora Astorga"। MADRE.org। ২০০৭-০৮-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৬।
- ↑ "jeffersonstarshipsf"। ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Nora Astorga in Her Own Words ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ জুলাই ২০২০ তারিখে, an English translation of the interview with Nora Astorga in Revista Envío.
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Patricia Daniel (1998) No Other Reality, the Life and Times of Nora Astorga (CAM: Bangor [UK]).
- Margaret Randall and Lynda Yanz (1995) Sandino's Daughters: Testimonies of Nicaraguan Women in Struggle (Rutgers University Press).
- ১৯৪৮-এ জন্ম
- ১৯৮৮-এ মৃত্যু
- ১৯৪৫-পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্রে নারী
- ২০শ শতাব্দীর নারী রাজনীতিবিদ
- ২০শ শতাব্দীর বিচারক
- জাতিসংঘে নিকারাগুয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি
- জরায়ুমুখের ক্যান্সারে মৃত্যু
- নিকারাগুয়ী কূটনীতিবিদ
- নিকারাগুয়ী বিচারক
- নিকারাগুয়ী বিপ্লবী
- নিকারাগুয়ী বিপ্লবের ব্যক্তিত্ব
- নিকারাগুয়ায় ক্যান্সারে মৃত্যু
- নারী কূটনীতিবিদ
- নারী বিচারক
- মধ্য আমেরিকাভিত্তিক যুদ্ধে নারী
- মানাগুয়ার ব্যক্তিত্ব
- রাজনীতিতে নিকারাগুয়ী নারী
- সান্দিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের রাজনীতিবিদ
- স্নায়ুযুদ্ধকালীন কূটনীতিবিদ