নীতি গবেষণা কেন্দ্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নীতি গবেষণা কেন্দ্র (ইংরেজি: Policy Research Centre) হল ব্রিটিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক যা মার্কফিল্ড এবং লেস্টারশায়ারের একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ-মুসলিম সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা, নীতি-পরামর্শে এবং প্রশিক্ষণে বিশেষজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সমাজের নৈতিক চিন্তাভাবনার[১] সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে এবং তার প্রসারের লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক নীতি, শিক্ষা এবং দক্ষতা কে একজোট করে থাকে। এটি সুশীল সমাজ, মুসলিম সম্প্রদায় এবং স্থানীয় ও জাতীয় সরকারের সঙ্গেই কাজ করে চলেছে।

লক্ষ্য এবং পরিষেবাসমূহ[সম্পাদনা]

এটি চায় যে:

● বর্তমান সমাজে মানুষের পরিচয়, নাগরিকত্ব এবং নিরাপত্তাসহ চারপাশে ঘটতে থাকা বিতর্কিত কিছু জটিল সমস্যাগুলির নীতিগত প্রতিক্রিয়া গুলিকে উন্নত এবং সমাধান করা ।

মুসলিম নাগরিকদের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন সামাজিক এবং নৈতিক উদ্বেগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো ।

● নৈতিক বিতর্ক এবং নীতি তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিজস্ব সম্প্রদায়কে অবহিত করা ।

এর পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে:

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, নীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকদের সাথে বোঝাপড়া এবং আলোচনার সুবিধার্থে গবেষণা, সারসংক্ষেপ এবং আলোচনাপত্র প্রকাশ করা ।

■ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য এবং নীতি সম্পর্কিত ক্ষমতা বিকাশের উদ্দেশ্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

■ সরকারী পরামর্শ, কাগজপত্র এবং নীতি প্রস্তাব বা সংস্কার সম্পর্কিত প্রতিক্রিয়া জানানো ।

■ প্রাসঙ্গিক ঘটনাগুলিতে জনমত এবং মুসলিম মতামতের উপর নজরদারির উদ্দেশ্যে সমীক্ষার পরিচালনা করা এবং মুসলিম নীতি উদ্বেগের নকশা তৈরি করা ।

■ সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলিতে সংস্থান, তথ্য এবং সারসংক্ষেপ প্রেরণ করা ।

কর্মী[সম্পাদনা]

দিলওয়ার হোসেন হলেন এই নীতি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান। তিনি একজন লেখক, গবেষক এবং অসংখ্য প্রকাশনার সহ-লেখক হিসেবে কর্মরত ।

নাভেদ সিদ্দিকী হলেন একজন সহকারী গবেষক । তিনি এই কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ পরিষেবাগুলির প্রধান প্রশিক্ষক এবং সমন্বয়কারী।

সামিনা আলী

সুঘরা আহমেদ হলেন একজন সহকারী গবেষক । বর্তমানে ব্রিটেনের তরুণ মুসলিমরাই হলেন তার গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ।

গবেষণা[সম্পাদনা]

মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠানের সাথে ইউরোপীয় মুসলিম নীতি উদ্যোগের নকশা চিত্র গঠন ।

এনএইচএস হেইউড, মিডলটন এবং রচডেলে ধূমপান বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ধূমপানের উপাদান গুলি নিয়ে গবেষণা ।

● গণমাধ্যমের সাহায্যে হিংসাত্মক এবং অহিংস মৌলবাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা ।

হিংসাত্মক চরমপন্থার প্রতিরোধ - স্থানীয় সরকার সমিতির জন্য পুস্তিকা[২] বিতরণ ।

লিসেস্টার অংশীদারিত্বের জন্য লিসেস্টারে মুসলিম মহিলা সংস্থাগুলির একটি নকশা গঠন ।

চেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের সাথে ইউরোপের মৌলবাদের সম্পর্ক স্থাপন ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Policy Research Centre ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-০৯-০৬ তারিখে
  2. "Archived copy"। ২০০৯-০৯-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৯  Download Publication

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]