নিদ্রাকথন
সোমনিলোকুই যা সাধারণত নিদ্রাকথন বা ঘুমের মধ্যে কথা বলা নামে পরিচিত। এটি একধরনের প্যারাসমনিয়া, যেখানে একজন ব্যক্তি নিদ্রারত অবস্থায় সশব্দে কথা বলে থাকেন। এটি সাধারণ হালকা গুঞ্জন থেকে শুরু করে উচ্চস্বরে চিৎকার বা দীর্ঘ বাক্যালাপ, প্রায়শই অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ বক্তৃতায় পরিণত হতে পারে। এটি ঘুমের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিশেষ করে গভীর ঘুম (NREM) বা স্বপ্নদর্শনের সময় (REM) একাধিকবার ঘটতে পারে। যদিও ঘুমের মধ্যে হাঁটা ও রাত্রিকালীন আতঙ্কের মতো অন্যান্য ঘটনার সঙ্গে এর মিল থাকলেও, এটি প্রধানত গভীর ঘুমের এক বিশেষ ধরনের পর্যায়ে (ডেল্টা-তরঙ্গ NREM) অথবা সেই পর্যায় থেকে খুব অল্প সময়ের জন্য জেগে ওঠার সময় ঘটে।[১]
যখন কেউ ঘুমের মধ্যে কথা বলে, বিশেষ করে স্বপ্ন দেখার সময়, তখন তার মস্তিষ্কের নির্দেশ অনুযায়ী তার মুখ খুলে যায় এবং সে স্বপ্নে যা বলে, তা জোরে জোরে শোনা যায়। একেই 'মোটর ব্রেকথ্রু' বলে। এই ঘটনাটি কত ঘনঘন ঘটে, তার উপর নির্ভর করে একে কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হবে কি না তা নির্ধারিত হয়। স্বাভাবিক REM ঘুমের সময় শরীরের সব ধরনের চলাচল বন্ধ থাকে। তাই REM ঘুমে কথা বলাকে সাধারণত REM আচরণজনিত ব্যাধির একটি অংশ বলে মনে করা হয়।
উপস্থাপনা
[সম্পাদনা]সহাবস্থিত অবস্থা
[সম্পাদনা]ঘুমের মধ্যে কথা বলা স্বতন্ত্রভাবে (অর্থাৎ, কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই) হতে পারে অথবা এটি অন্যান্য ঘুমজনিত ব্যাধির লক্ষণ হিসেবেও প্রকাশ পেতে পারে, যেমন:
- র্যাপিড আই মুভমেন্ট বিহেভিয়ার ডিসঅর্ডার (আরবিডি) – উচ্চস্বরে, আবেগপূর্ণ বা অশালীন ভাষায় ঘুমের মধ্যে কথা বলা
- নিদ্রাচারণ – ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করা
- রাতের ভয় – তীব্র ভয়, চিৎকার, চেঁচামেচি
- নিক্টার্নাল স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার (এনএস আরইডি) – ঘুমের সাথে জড়িত খাদ্য ব্যাধি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Talking in Your Sleep"। WebMD। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০২১।