নিউজিল্যান্ডের ভূগোল
মহাদেশ | জিল্যান্ডিয়া |
---|---|
অঞ্চল | ওশেনিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৪১° দক্ষিণ ১৭৪° পূর্ব / ৪১° দক্ষিণ ১৭৪° পূর্ব |
আয়তন | ৭৫তম |
• মোট | ২,৬৮,৬৮০ কিমি২ (১,০৩,৭৪০ মা২) |
• স্থলভাগ | ৯৭.৯% |
• জলভাগ | ২.১% |
উপকূলরেখা | ১৫,১৩৪ কিমি (৯,৪০৪ মা) |
সীমানা | ০ কি.মি. |
সর্বোচ্চ বিন্দু | Aoraki/Mount Cook ৩,৭৫৪ মিটার (১২,৩১৬ ফুট) |
সর্বনিম্ন বিন্দু | Taieri Plains -২ মিটার |
দীর্ঘতম নদী | Waikato River |
বৃহত্তম হ্রদ | Lake Taupo |
নিউজিল্যান্ডের ভূগোল দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন অংশ ও অঞ্চলের আলোচনা। নিউজিল্যান্ডে আনুমানিক ৬০০ দ্বীপ রয়েছে। আকারে দুটি বড় দ্বীপ হল উত্তর দ্বীপ (বা তে ইকা-আ-মাউই) এবং দক্ষিণ দ্বীপ (বা তে ওয়াইপুনামো)। এই দুটি দ্বীপ কুক প্রণালী দ্বারা বিভক্ত। তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হল স্টুয়ার্ট দ্বীপ (বা রাকিউরা), যা দক্ষিণ দ্বীপ থেকে ফভোয়া প্রণালী ধরে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে অবস্থিত। এই এলাকার অন্যান্য দ্বীপগুলো তুলনামূলক ছোট। বৃহত্তম তিনটি দ্বীপ অক্ষাংশ ৩৪° থেকে ৪৭° দক্ষিণে প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার (৯৩০ মাইল) জুড়ে অবস্থিত।[১] নিউজিল্যান্ড বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ দেশ, যার ভূমির আয়তন ২৬৭,৭১০ বর্গ কিলোমিটার (১০৩,৩৬০ বর্গ মাইল)।
প্রাকৃতিক ভূগোল
[সম্পাদনা]নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় জল গোলার্ধের কেন্দ্রে ৪১° দক্ষিণ ১৭৪° পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত।[২] এটি একটি দীর্ঘ ও সরু দেশ, যা উত্তর-উত্তর-পূর্ব অক্ষরেখা বরাবর ১,৬০০ কিলোমিটার (৯৯০ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এর সর্বোচ্চ প্রশস্ত ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল)।[৩] দেশটির ভূমির আয়তন ২৬৭,৭১০ বর্গ কিলোমিটার (১০৩,৩৬০ বর্গ মাইল), যা বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ দেশ।[৪] নিউজিল্যান্ডে আনুমানিক ৬০০ দ্বীপ রয়েছে।[৫]
দুর্গম স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]নিউজিল্যান্ডের সর্ব উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব বা পশ্চিমের স্থানগুলো হল:[৬]
- সর্ব উত্তরের স্থান কের্মাডেক দ্বীপের নুজেন্ট দ্বীপ (২৯°১৩′৫৪″ দক্ষিণ ১৭৭°৫২′০৯″ পশ্চিম / ২৯.২৩১৬৬৭° দক্ষিণ ১৭৭.৮৬৯১৬৭° পশ্চিম).
- সর্ব দক্ষিণের স্থান ক্যাম্পবেল দ্বীপপুঞ্জের জাকমার্ট দ্বীপ (৫২°৩৭′১০″ দক্ষিণ ১৬৯°০৭′৩৩″ পূর্ব / ৫২.৬১৯৪৪৪° দক্ষিণ ১৬৯.১২৫৮৩৩° পূর্ব).
- সর্ব পূর্বের স্থান চ্যাথাম দ্বীপে অবস্থিত ফোর্টি-ফোরস (৪৩°৫৭′৪৮″ দক্ষিণ ১৭৫°৪৯′৫৩″ পশ্চিম / ৪৩.৯৬৩৩০৬° দক্ষিণ ১৭৫.৮৩১৪১০° পশ্চিম).
- সর্ব পশ্চিমের স্থান অকল্যান্ড দ্বীপের লভিট অন্তরীপ (৫০°৪৭′৫৯″ দক্ষিণ ১৬৫°৫২′১২″ পূর্ব / ৫০.৭৯৯৮৩৮° দক্ষিণ ১৬৫.৮৭০১২৮° পূর্ব).
বিপরীত পৃষ্ঠ
[সম্পাদনা]নিউজিল্যান্ড ইউরোপের আইবেরিয়ান উপদ্বীপের বিপরীত পৃষ্ঠে অবস্থিত।[৭] দক্ষিণ দ্বীপের উত্তরের অর্ধেক গ্যালিশিয়া ও উত্তর পর্তুগালের বিপরীত পৃষ্ঠে অবস্থিত।[৭] উত্তর দ্বীপের অধিকাংশই মধ্য ও দক্ষিণ স্পেনের বিপরীত পৃষ্ঠে অবস্থিত, যা বায়াদোলিদ (উত্তর দ্বীপ, পালিসার অন্তরীপের বিপরীতে) দিয়ে মাদ্রিদ ও তোলেদোর থেকে কোরদোবা (হ্যামিল্টনের সরাসরি বিপরীতে), লোর্কা (পূর্ব অন্তরীপের বিপরীতে), মালাগা (কলভিল অন্তরীপের বিপরীতে) ও জিব্রাল্টর পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তর উপদ্বীপের অংশের বিপরীতে রয়েছে মরক্কো ও তানজিয়ারের নিকটবর্তী হোয়াঙ্গারেই। চ্যাটাম দ্বীপের বিপরীত পৃষ্ঠে রয়েছে ফ্রান্স, কেবল উত্তর দিকের মোঁপেলিয়ে শহর।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ওয়ালরন্ড, কার্ল (৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Natural environment – Geography and geology"। Te Ara: The Encyclopedia of New Zealand। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ হবস, জোসেফ জে. (২০০৮)। World Regional Geography (ইংরেজি ভাষায়)। সেনগেজ লার্নিং। পৃষ্ঠা ৯। আইএসবিএন 978-0495389507। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ম্যাকেঞ্জি, ডি. ডব্লিউ. (১৯৮৭)। Heinemann New Zealand atlas। হাইনেমান পাবলিশার্স। আইএসবিএন 978-0-7900-0187-6।
- ↑ "Island Countries of the World"। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ম্যাকসেভেনি, এইলিন (২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Nearshore islands"। Te Ara: The Encyclopedia of New Zealand।
- ↑ "The Extreme Points of New Zealand"। ২৯ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ "Antipodes Map – Tunnel to the other side of the world"। www.antipodesmap.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০২০।