নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি
নারায়ণডহর জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | পূর্বধলা উপজেলা |
শহর | পূর্বধলা উপজেলা, নেত্রকোণা জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | অজানা |
স্বত্বাধিকারী | রামচরণ মজুমদার |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
নারায়ণ ডহর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর নামক এলাকায় অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জমিদার রামচরণ মজুমদারের হাত ধরেই এই জমিদার বংশের গোড়াপত্তন। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এই নারায়ণডহর এলাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে পাকিস্তান শাসনামল পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। জমিদার বাড়ির পাশে একটি বাজার রয়েছে। যা এই জমিদার বংশধররা প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে পুরো ময়মনসিংহ বিভাগের প্রথম ইংরেজি স্কুল ১৮৪৬ সালে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে জমিদার বাড়ির ভবন পোস্ট অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের প্রাক্কালে নারায়ণ ডহর জমিদার বাড়ি থেকে জমিদারদের পরিবারবর্গ ভারতে চলে যান । বর্তমানে কয়েকজন বংশধর এখনও ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন । বর্তমানে জমিদার বাড়ির কিছু ভগ্নপ্রায় দালান স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে । জমিদার বাড়ির পূর্ব দিকের যে পুকুরটি রয়েছে সেটি সান-এ-বান্দা পুকুর নামে পরিচিত । জমিদার বাড়ির পশ্চিম দিকে যে পুকুরটি রয়েছে সেটি রাণী দিঘী পরিচিত । আর দক্ষিন দিকে দুটি পুকুর রয়েছে এর একটি পৌদের বা পদ্মের দিঘী আরেকটি মটর দিঘী নামে পরিচিত । কথিত আছে রাণী দিঘীতে জমিদার কণ্যা ও পত্মীগণ গোসল করতেন । এখানে বাইরের লোকেদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল দীর্ঘদিন যাবৎ । আর সান-এ-বান্দা পুকুরটিতে রাজা , জমিদার ও রাজপরিবারের পুরুষ লোকগণ গোসল করতেন । এমনকি এই পুকুরের পানি পান যোগ্য ছিল তখন । ১৯৫০ সালের ভূমিকম্পের পরে এই জমিদার বাড়ির বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা দিলে তখনকার জমিদার পরিবারবর্গ একটি টিনের বাড়িতে থাকা শুরু করেছিলেন , যেটি মূল বাড়ির অভ্যন্তরেই ছিলো । জমিদার বাড়ির ভিতরে একটি কূয়া ছিলো । কথিত আছে এই কূয়াতে জমিদারদের অন্যায় বা অত্যাচারের যারা বিরুদ্ধাচারণ করত তাদের ধরে ধরে ফেলে দেয়া হত , এই কূয়ার দেয়ালে গাঁয়ে ধারালো ছুড়ি ছিল । এছাড়া কুমির ছিল এই কূয়ার ভিতরে । অত্যাচারী জমিদাররা নিরীহ প্রজাদের বিভিন্ন রকম শাস্তি দিত । ।[২]
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]বর্তমানে জমিদার বাড়ির প্রতিটি স্থাপনা প্রায় ধ্বংসের মুখে। এছাড়াও প্রতিটি স্থাপনায় লতাপাতায় ও গাছগাছালিতে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্তমানে মরহুম তারা মিয়া চেয়ারম্যানের পরিবারবর্গ দখল সূত্রে ও লীজ নিয়ে এসে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ । জমিদার বাড়ির উত্তর পাশে এলাকা বাসীর সহযোগিতায় একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে ( নারায়ণ ডহর দারুসুল্লাহ কাছিমূল উলুম মাদ্রাসা ) । তবে এখনও গেলে দেখতে পাবেন প্রায় আড়াই হাত পুরু দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ পুর্বধলা উপজেলা, নেত্রকোণা জেলা (২১ জুলাই ২০১৯)। "নারায়নডহর জমিদার বাড়ী"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "On the Bari basis properties of the root functions of non-self adjoint q-Sturm-Liouville problems"। Uzbek Mathematical Journal (4)। ২০২০-১২-৩০। আইএসএসএন 2010-7269। ডিওআই:10.29229/uzmj.2020-4-2।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |