বিষয়বস্তুতে চলুন

নাদিয়া আল-গাজ্জি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাদিয়া আল-গাজ্জি
জন্ম
নাদিয়া আল-গাজ্জি

১৯৩৫
পেশাটিভি উপস্থাপনা
কর্মজীবনটেলিভিশনে-১৯৬০-১৯৭৫, রেডিওতে-১৯৭৫-১৯৭৯

নাদিয়া আল-গাজ্জি (আরবি: نادية الغزي, জন্ম ১৯৩৫ সালে) একজন সিরিয়ান আইনজীবী ও লেখক। তিনি সিরিয়ান টেলিভিশনের প্রথম মহিলা উপস্থাপক।[]

প্রাথমিক ও কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

নাদিয়া আল-গাজ্জি ১৯৩৫ সালে সিরিয়ার দামেস্কে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা সাইদ আল-গাজ্জি তুর্কি বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুবার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মায়ের নাম বালকিস মোরালি, তিনি গৃহীান ছিলেন। নাদিয়া আল-গাজ্জি দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন। নাদিয়া আল-গাজ্জি ১৯৬০ সালে সিরিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতাদের সাথে এ টিলিভিশনে যোগ দেন। তিনি এ টিভি চ্যানেলের পারিবারিক অনুষ্ঠান " আল-বায়ত আল-সাইদ " সম্পাদনা ও উপস্থাপনা করেন। তারপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত শিশুদের জন্য একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সম্পাদনা ও উপস্থাপনা করেন॥ তিনি ১৯৮২ ও ২০০৪ সালে টেলিভিশনে দুটি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে দামেস্ক রেডিওতে পরিবার-ভিত্তিক সরাসরি তিনটি টক-শো করেছিলেন।[] ১৯৭৯ সাল থেকে নাদিয়া আল-গাজ্জি আরবিয়ান বুক ইউনিয়নের সদস্য ও সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি সিরিয়ার আইন, বিশেষ করে মহিলাদের অধিকারের জন্য কমিটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি "তাবিবক " এবং " আল মারা" সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় লেখা শুরু করেছিলেন। ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি বিশটি বই প্রকাশ করেন।[] ২০০৮ সালে তিনি দামেস্ক ফ্রেন্ডস সোসাইটির বোর্ড সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের “আরব রাজধানীর সংস্কৃতির সময়” বিষযে দামেস্কে অনুষ্ঠিত এক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উচ্চ কমিটির সদস্য ছিলেন।[] বলতে গেলে তিনি সিরিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক অবদান রাখেন। সিরিয়ার নারীরা যখন ধর্মীয় আইনে ঘরে বন্দি ছিলেন তখন তিনি রেডিও ও টেলিভিশনে নারী ও পরিবার ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন। তিনি নারী অধিকার বাস্তবায়নে যথেষ্ট ভুমিকা রাখেন।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি নিজার বাকডাউনেসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার তিনটি কন্যা রয়েছে, তারা হলো লামা, নাদা এবং রাচা।[]

কবি হুদা নামানীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল।

প্রকাশনা

[সম্পাদনা]
  • আরায়েসুত তুরাস, প্রকাশক : দারুল ফিকর আল-মুয়াসারা, ২০০৮।
  • হাদিল, প্রকাশক : মাতবায়াতু দাউদী, তাবি।
  • আত-তাইয়েবু ওয়াল ইতার ফীশ শারকে, প্রকাশক : দারুল আরাবিয়্যা, ২০২১।
  • জাহরুল কামার ফীল হুসনে ওয়াল জিমালে, প্রকাশক : দারুল ফিকর আল-মুয়াসারা, ২০০৮।
  • আল-উবুরু ফীশ শাররে, প্রকাশক : দারুল আরাবিয়্যা, ২০০৩।
  • আল-হুলিও ওয়াল জাওহেরুল শিরকিয়া : তারিখুহা----এসতেখদামুহা ফীল এলাজে ওয়াল শারকে, প্রকাশক : দারুল ফিকর আল-মুয়াসারা, ২০১১।
  • আসরারু ফী ছানাদিকুল হায়াতিল যাওজিয়াতে, প্রকাশ : দারুল ফিকর, ২০০৯।
  • হাজাইয়ানে হুয়া মাছাবুন লিল-ইকতিয়াব, প্রকাশ : আলিফ বা প্রকাশনী, তাবি। ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Damascus History Foundation। "Nadia alGhazzi"। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. Arab Women Writers। "Nadia alGhazzi"। ২২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭