নাজির উদ্দিন জেহাদ
শহীদ কে. এম. নাজির উদ্দিন জেহাদ | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | অক্টোবর ১০, ১৯৯০ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী ![]() |
কে. এম. নাজির উদ্দিন জেহাদ যিনি শহীদ জেহাদ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন নব্বইয়ের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী। রক্তঝরা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন জেহাদ। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের। জেহাদ ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকার পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।[১]
জন্ম ও শৈশব
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/d/de/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6_%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0_%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8_%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95_%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9F.jpg/220px-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6_%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0_%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8_%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95_%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9F.jpg)
কে. এম. নাজির উদ্দিন জেহাদ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন নবগ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]জেহাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন
[সম্পাদনা]১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে জেহাদ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]জেহাদ ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে ঢাকার পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।[২]
জেহাদ স্মরণ
[সম্পাদনা]শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের এই আত্মোত্যাগের স্মরণে ১৯৯১ সালে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আরো একটি স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়।
২০১২ সালের ১০ অক্টোবর শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে উল্লাপড়ায় জেহাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাংগাঠনিক কর্মীরা। এ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন।