নাগপত্তনম
নাগপত্তনম নাগপত্তিনম | |
---|---|
বন্দর ও মন্দির শহর | |
স্থানাঙ্ক: ১০°৪৬′ উত্তর ৭৯°৫০′ পূর্ব / ১০.৭৭° উত্তর ৭৯.৮৩° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | নাগপত্তনম |
অঞ্চল | চোলনাড়ু |
এলাকা | কাবেরী বদ্বীপ |
সরকার | |
• ধরন | বিশেষ শ্রেণির পৌরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ১৭.৯২ বর্গকিমি (৬.৯২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,০২,৯০৫ |
• জনঘনত্ব | ২,৯৯১/বর্গকিমি (৭,৭৫০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬১১xxx |
টেলিফোন কোড | ৯১৪৩৬৫ |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন ৫১- |
নাগপত্তনম (তামিল: நாகப்பட்டினம்; মূল বানান নাগপট্টিনম) হল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যর একটি শহর এবং নাগপত্তনম জেলার প্রশাসনিক সদর শহর। শহরটি মধ্যযুগীয় চোল সময়কালে (খ্রিস্টীয় নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী) প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং বাণিজ্য ও পূর্ব-সীমান্ত নৌ অভিযানের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসাবে কাজ করে। নাগাপত্তিনমের চূড়ামণি বিহার প্রথম রাজরাজ চোল সহায়তায় সৈলেন্দ্র রাজবংশের শ্রীবিজয় রাজা শ্রী মারা বিজয়তঙ্গাবর্মন কর্তৃক নির্মিত হয়, সেই সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ কাঠামো ছিল।[১] নাগাপত্তনমে পর্তুগিজরা বসতি স্থাপন করে এবং পরে, ডাচদের অধীনে এটি ১৬৬০ সাল থেকে ১৭৮১ সাল পর্যন্ত ডাচ করোমন্ডলের রাজধানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।[২] ১৭৮১ সালের নভেম্বর মাসে শহরটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা দখল করা হয়। এটি ব্রিটিশদের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীর অধীনে ১৭৯৯ সাল থেকে ১৮৪৫ সাল পর্যন্ত তাঞ্জোর জেলার রাজধানী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে।[২] এটি স্বাধীন ভারতে তাঞ্জোর জেলার একটি অংশ হিসাবে অব্যাহত ছিল। শহরটিকে ১৯৯১ সালে সদ্য নির্মিত নাগপত্তনম জেলার সদর দফতর করা হয়। নাগপত্তনম একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়, ২০১১ সাল পর্যন্ত যার আয়তন ছিল ১৭.৯২ বর্গ কিমি (৬.৯২ বর্গ মাইল) এবং জনসংখ্যা ছিল ১,০২,৯০৫ জন।
নাগপত্তনম তাঞ্জাবুর ও কুম্ভকোণমেহ পরে বদ্বীপ অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।
নাগপত্তনমের বেশিরভাগ মানুষ সমুদ্র বাহিত বাণিজ্য, মৎস্য-শিকার, কৃষি ও পর্যটনের কাজে নিযুক্ত রয়েছে। কায়রোহানস্বামী মন্দির ও সৌন্দররাজপেরুমাল মন্দির হল নাগাপত্তিনমের প্রধান হিন্দু তীর্থস্থান। নাগাপত্তিনমের জন্য পর্যটনের ভিত্তি গুলি হল সিক্কাল, ভেলানকান্নি, পুম্পুহার, কোডিয়াক্করাই, বেদারাণ্যম ও থারঙ্গম্বদী। শহরটিতে রেল ও সমুদ্র পরিবহন ব্যবস্থা থাকলেও সড়কপথ নাগাপত্তিনমের পরিবহনের প্রধান মাধ্যম।