নওয়াব আবদুল জব্বার
নওয়াব আবদুল জব্বার | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩০ জানুয়ারি ১৯১৮ | (বয়স ৮০)
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রেসিডেন্সি কলেজ |
প্রতিষ্ঠান | সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান এসোসিয়েশন, মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি |
আদি নিবাস | কাশিয়ারা গ্রাম, বর্ধমান জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, কোম্পানি রাজ |
সন্তান | খান বাহাদুর আবদুল মোমেন |
পিতা-মাতা | খান বাহাদুর গোলাম আসগর (বাবা) |
পুরস্কার | খান বাহাদুর, সিআইই, নওয়াব |
নওয়াব আবদুল জব্বার (২৪ অক্টোবর ১৮৩৭ - ৩০ জানুয়ারি ১৯১৮) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন সরকারি কর্মকর্তা, সমাজসেবক।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]আবদুল জব্বার ১৮৩৭ সালের ২৪ অক্টোবর বর্ধমান জেলার পারহাটি গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বর্ধমানের কাশিয়ারা গ্রাম। তার বাবা খান বাহাদুর গোলাম আসগর কোম্পানি সরকারের বিচার বিভাগের প্রধান সদর আমিন ছিলেন। আবদুল জব্বার বর্ধমান রাজ স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এই স্কুলে রামতনু লাহিড়ী ছিলেন তার শিক্ষক। এরপর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএ শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন। ১৮৫৭ সালে পিতার মৃত্যুর পর তিনি লেখাপড়া ত্যাগ করেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]পড়াশোনার পর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। বঙ্গীয় আইন পরিষদে ১৮৮৪, ১৮৮৬ ও ১৮৯৩ সালে তিনি সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। অবসর গ্রহণের পর ১৮৯৭ থেকে ১৯০২ সাল পর্যন্ত তিনি ভোপালের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। এসময় জনকল্যাণের জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।[১]
দক্ষিণ আফ্রিকায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে কলকাতার টাউন হলে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর নেতৃত্বে আয়োজিত সভায় তিনি সভাপতি ছিলেন। তার জীবদ্দশায় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হলেও তিনি রাজনীতিতে আগ্রহ দেখাননি।[১]
মুসলিম সমাজে অবদান
[সম্পাদনা]ভারতের মুসলিমদের প্রথম সংগঠন সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান এসোসিয়েশনে তিনি সদস্য ছিলেন। তিনি মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটির সদস্য ছিলেন এবং ১৯০০ সালে সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন। নওয়াব আবদুল লতিফের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মুসলিমদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি আগ্রহী ছিলেন। তিনি মুসলিম ধর্ম পরিচয় নামে একটি বই লিখেছিলেন। তবে নারী শিক্ষায় তিনি বেশি আগ্রহ দেখাননি। মুসলিম নারীদের শিক্ষার বিষয়ে নিজের মত তিনি দুইটি উর্দু গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।[১]
কলকাতায় মুসলিম ছাত্রদের জন্য ১৮৯৬ সালে নির্মিত টেইলর হোস্টেলের চারপাশের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অপর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থার কারণে ১৯০৮ সালে নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য তিনি আন্দোলন করেছেন। এর ফলে কলকাতায় বেকার হোস্টেল নির্মিত হয়।[১]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে তাকে খান বাহাদুর ও সিআইই খেতাব দেয়। পরে তিনি নওয়াব খেতাব পান।[১]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৯১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আবদুল জববার এর মৃত্যু হয়।[১]