দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৭৭৩ সালের সংবর্ধিত সংস্করণের প্রচ্ছদ

দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র (ইংরেজি: The Plays of William Shakespeare) ছিল উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত নাটকগুলির এক অষ্টাদশ-শতকীয় সংস্করণ। বইটি সম্পাদনা করেন স্যামুয়েল জনসনজর্জ স্টিভেনস। জনসন শেকসপিয়রের নাটকগুলি সম্পাদনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তাঁর মিসেলেনিয়াস অবজার্ভেশনস অন ম্যাকবেথ (১৭৪৫) গ্রন্থে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ প্রোপোজাল প্রকাশিত হয়েছিল ১৭৫৬ সালে। দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র গ্রন্থের সংস্করণটি শেষপর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল ১৭৬৫ সালে।

এই সংস্করণের "মুখবন্ধ" অংশে জনসন শেকসপিয়রের নাটকগুলির মূল ভাষাটিকে বিচার করে স্থিরীকৃত করতে চেষ্টা করেছিলেন। পাঠকবর্গের সুবিধার্থে তিনি বিভিন্ন পংক্তির ব্যাখ্যামূলক টীকাও যোগ করেন। পরবর্তীকালের সম্পাদকেরা জনসনকে এই কাজে অগ্রণী পুরুষ গণ্য করতেন এবং বইটিকে শেকসপিয়রের গ্রন্থাবলির একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে গ্রহণ করতে স্বীকৃত হয়েছিলেন।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

স্যামুয়েল জনসন, দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র গ্রন্থের অন্যতম সম্পাদক

শৈশবেই জনসন শেকসপিয়রের নাটক ও কবিতা পড়তে শুরু করেছিলেন।[১] নাটকগুলির সঙ্গে তিনি নিজেকে এতটাই একাত্ম করে ফেলেছিলেন যে একবার হ্যামলেট নাটকের প্রেত চরিত্রটি তাঁকে আতঙ্কিত করে তুলেছিল।[২] শেকসপিয়রের প্রতি জনসনের মুগ্ধতাবোধ তাঁর জীবনভর বজায় ছিল। আ ডিকশনারি অফ দি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রস্তুত করার সময়ও তিনি শেকসপিয়রের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন।[৩] তাই শেকসপিয়র স্বাভাবিকভাবেই হয়ে উঠেছিলেন এই গ্রন্থের সর্বাধিক উদ্ধৃত লেখক।[৪]

জনসন মনে করতেন, তাঁর জীবদ্দশায় শেকসপিয়রের নাটকগুলির যে সংকলনগুলি সুলভ ছিল সেগুলিতে একটি সমস্যা ছিল। তিনি মনে করতেন সেগুলির মধ্যে প্রামাণিকতার অভাব ছিল, কারণ সেগুলি:

ছিল অভিনেতাদের জন্য প্রতিলিপিকৃত। যাঁরা প্রতিলিপি করতেন তাঁরা হয়তো কদাচিৎই সেগুলি বুঝতেন; তাঁরা সমান অদক্ষতার সঙ্গে সেগুলি তুলে দিতেন অন্য লিপিকারদের হাতে, সেই লিপিকারেরাও আবার অনেক ভুল করতেন; সেগুলি [নাটকগুলি] আবার কখনও কখনও অভিনেতাদের দ্বারা বিকৃত হত সংলাপগুলি ক্ষুদ্রতর করার খাতিরে; এবং শেষপর্যন্ত মুদ্রণযন্ত্র অবধি পৌঁছাতো কোনও প্রকার সংশোধন ব্যতিরেকেই।
(উদ্ধৃতি: were transcribed for the players by those who may be supposed to have seldom understood them; they were transmitted by copiers equally unskillful, who still multiplied errors; they were perhaps sometimes mutilated by the actors, for the sake of shortening the speeches; and were at last printed without correction of the press.)[৫]

ব্যক্তিগত জীবনে জনসন ছিলেন ডেভিড গ্যারিক প্রমুখ শেকসপিয়রীয় নাটক মঞ্চস্থকারী অভিনেতাদের বন্ধু। কিন্তু জনসন বিশ্বাস করতেন যে, মঞ্চে তাঁর এই বন্ধুদের নাট্য-উপস্থাপনার কোনও গুরুত্ব নেই। শুধু তাই-ই নয় দর্শকদের সম্মুখে নাট্য-উপস্থাপনার পর যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যেত তাকেও জনসন স্বীকৃতি দিতেন না।[৬] বরং তিনি বিশ্বাস করতেন যে শেকসপিয়রের পাঠকেরাই তাঁর নাটকের প্রকৃত দর্শক।[৬]

তাছাড়া জনসন এও বিশ্বাস করতেন যে, পরবর্তীকালের সম্পাদকেরাও শেকসপিয়র ও তাঁর নাটকগুলির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটিকে ভুল বুঝেছিলেন এবং নাটকগুলির মধ্যে যে পাঠগত বিকৃতিগুলি রয়ে গিয়েছে সেগুলির প্রতি যথাযথ দৃষ্টি আরোপ করেননি।[৭] এই কারণ হিসেবে তিনি মনে করতেন যে, "শেকসপিয়রের নিজস্ব শৈলীটিই ছিল জটিল, ব্যাকরণ-বর্জিত ও অস্পষ্ট" (উদ্ধৃতি: "The style of Shakespeare was in itself perplexed, ungrammatical, and obscure").[৮] এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য জনসন বিশ্বাস করতেন যে মূল পাঠগুলি পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং এটিই তাঁর প্রোপোজাল গ্রন্থের একটি বিষয় হয়ে ওঠে।[৫] জনসন আরও বিশ্বাস করতেন যে, শেকসপিয়রের গ্রন্থাবলি সম্পাদনা করলে তিনি কিছু অর্থ উপার্জন ও স্বীকৃতি অর্জন করতে পারবেন, যা তাঁর প্রয়োজনও ছিল।[৯] যদিও শেকসপিয়রের নাট্যাবলির এক পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশের জন্য এমন এক প্রকাশকেরও প্রয়োজন ছিল যিনি অনেকটা সময় ও প্রভূত অর্থের প্রতিশ্রুতি তাঁকে দিতে পারবেন। তাই জনসন একটি মাত্র নাটক ম্যাকবেথ-এর উপর প্রথমে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন।[৯]

মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস[সম্পাদনা]

মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস গ্রন্থের প্রচ্ছদ।

ম্যাকবেথ নিয়ে জনসন কাজ করা শুরু করেছিলেন শেকসপিয়র নাট্যাবলির নতুন সংস্করণের রূপরেখা কী রকম হবে তার একটি নমুনা হিসেবে।[৭] এই কাজ করার সময় তিনি অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন হারলিয়ান ক্যাটালগ থেকে। এই ক্যাটালগটি ছিল রবার্ট হার্লি, অক্সফোর্ডের প্রথম আর্ল ও আর্ল মর্টিমারের মালিকানাধীন রচনাবলি ও প্রচারপুস্তিকাগুলির সংকলন।[৭] ১৭৪৫ সালের ৬ এপ্রিল এডওয়ার্ড কেভ কর্তৃক মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস বা মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস অন দ্য ট্র্যাজেডি অফ ম্যাকবেথ শিরোনামে স্যার টমাস হ্যানমার, ৪র্থ ব্যারনেটের সম্পাদনাটির উপর এক টীকা সহ জনসনের এই বইটি প্রকাশিত হয়।[৭]

১৭৪৪ সালের অক্টোবর মাসে ক্ল্যারেনডন প্রেস থেকে শেকসপিয়রের নাট্যাবলির একটি সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন হ্যানমার। জনসন ভেবেছিলেন, যে হ্যামনারের কয়েকটি বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করতে না পারলে তাঁর কাজটি সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হবে না।[১০] জনসন হ্যানমারের সমালোচনা করেছেন এই বলে যে, শেকসপিয়রের শব্দগুলি সম্পাদনা করতে গিয়ে হ্যানমার বাস্তব বিষয়ের পরিবর্তে মনগড়া মতামতগুলির উপর নির্ভর করেছেন।[১০] নির্দিষ্টভাবে বললে জনসন লিখেছিলেন:

আমি যে অংশগুলিকে দুর্বোধ্য মনে করেছি সেগুলির মধ্যে মনে হয় না তিনি কোনও জটিলতা খুঁজে পেয়েছেন, এবং সেই জন্যই সেই অংশগুলিকে তিনি মসৃণভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন সেগুলি পরিবর্তন বা ব্যাখ্যার কোনও রকম চেষ্টা না করেই… এই ধরনের নিরীহ পরিশ্রমকে নিশ্চিতভাবেই সহজে ক্ষমা করে দেওয়া যায়, কিন্তু বাহবা দেওয়া যায় না; সেই জন্যই হয়তো তিনি একটি একাক্ষরিক শব্দকেও ধরেননি যেটি ব্যবহৃত হয়েছিল অতি বিস্ময়কর ব্যাপকতার সঙ্গে। Rumpature quisquis rumpitur invidia! ("যদি কেউ ঈর্ষায় ফেটে পড়তে চায়, তাহলে তাকে তা করতে দাও!" – মার্শিয়াল)
(উদ্ধৃতি: He appears to find no difficulty in most of those passages which I have represented as unintelligible, and has therefore passed smoothly over them, without any attempt to alter or explain them... Such harmless industry may surely be forgiven if it cannot be praised; may he therefore never want a monosyllable who can use it with such wonderful dexterity. Rumpature quisquis rumpitur invidia! ("If anyone is going to burst with envy, let him do so!" – Martial)[১১]

তিনি তারপর আরও লেখেন যে:

এই সংস্করণের বাকিটা আমি পড়িনি, কিন্তু যে অল্প অংশ আমি দেখেছি তা থেকে আমার মনে হয়েছে যে আমার মনে এটা ঘোষণা করা ভয়ংকর কিছু হবে না যে, এই গ্রন্থের আড়ম্বর বেশি, প্রামাণিকতা কম। প্রাচীন পাঠ ও লেখকের নতুন চিন্তাভাবনার মধ্যে কোনও ফারাক করা হয়নি; যে পরিবর্তনগুলি আনা হয়েছে তারও কোনও কারণ দর্শানো হয়নি; পূর্ববর্তী সংস্করণগুলির সংশোধনগুলি কোনও স্বীকৃতি উল্লেখ ব্যতিরেকেই গ্রহণ করা হয়েছে এবং কয়েকটি এমন কয়েকটি জটিল অংশ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যা এযাবৎ পর্যন্ত শেকসপিয়রের পাঠকবর্গকে বিব্রত করে রেখেছিল।
(উদ্ধৃতি: The rest of this edition I have not read, but, from the little that I have seen, I think it not dangerous to declare that, in my opinion, its pomp recommends it more than its accuracy. There is no distinction made between the ancient reading, and the innovations of the editor; there is no reason given for any of the alterations which are made; the emendations of former editions are adopted without any acknowledgement, and few of the difficulties are removed which have hitherto embarrassed the readers of Shakespeare.)[১২]

মিসেলেনিয়াস অবজার্ভেশনস গ্রন্থে শেকসপিয়র সম্পর্কে পূর্ববর্তী চিন্তাভাবনা ও তত্ত্বগুলি সংযোজিত হয়।[১৩] উদাহরণস্বরূপ, জনসন ভেবেছিলেন শেকসপিয়রের নাটকের অতিলৌকিক দৃশ্যগুলির মধ্যে এক ধরনের অপার্থিব শক্তি ছিল এবং তিনি লিখেছিলেন, "যিনি একা শেকসপিয়রের দিকে তাকাবেন, তিনিই সচকিত হবেন এবং নিজেকে একা ভাবতে শুরু করবেন। (উদ্ধৃতি: "He that peruses Shakespeare looks round alarmed and starts to find himself alone".)[১৪]

এই বইয়ের শেষাংশে জনসন ঘোষণা করেন যে তিনি শেকসপিয়রের নাট্যাবলির এক নতুন সংস্করণ প্রকাশ করবেন:[১৫]

টীকা, সমালোচনা ও ব্যাখ্যা সহ উইলিয়াম শেকসপিয়রের নাটকগুলির একটি নতুন সংস্করণের প্রস্তাব [দেওয়া হল], যাতে নাটকগুলির পাঠ সংশোধন করা হবে: বিভিন্ন পাঠের উপর লক্ষ্য রাখা হবে: পূর্বতন সম্পাদকদের অনুমানগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে এবং তাঁরা যে অংশগুলিকে বাদ দিয়েছিলেন সেগুলিকে সংযোজন করা হবে। [এটা করা হবে] মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস অন দ্য ট্র্যাজেডি অফ ম্যাকবেথ-এর লেখক কর্তৃক।
(উদ্ধৃতি: Proposals for printing a new edition of the plays of William Shakespeare, with notes, critical and explanatory, in which the text will be corrected: the various readings remarked: the conjuectures of former editors examined, and their omissions supplied. By the author of the Miscellaneous Observations on the Tragedy of Macbeth.)[১২]

এর প্রতিক্রিয়ায় শেকসপিয়রের তদনীন্তন সংস্করণের মেধাস্বত্ব নিয়ন্ত্রণকারী জেকব টনসন ও তাঁর সহযোগীরা ১১ এপ্রিল ১৭৪৫ সালে লিখিত একটি চিঠিতে জনসন ও কেভের বিরুদ্ধে মামলা করার ভয় দেখান।[১৬] তাঁরা এই কাজটি করেছিলেন শেকসপিয়র বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম ওয়ারবার্টন সম্পাদিত ও তাঁদের দ্বারা প্রকাশিত একটি নতুন সংস্করণকে রক্ষা করার জন্য।[১৫]

প্রোপোজালস[সম্পাদনা]

প্রোপোজালস-এর প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

১৭৫৬ সালে ১ জুন জনসন মিসেলেনিয়াস অবজারভেশনস গ্রন্থটি পুনর্মুদ্রিত করেন, কিন্তু সেই সঙ্গে নিজের প্রোপোজালস বা প্রোপোজালস ফর প্রিন্টিং, বাই সাবস্ক্রিপশন, দ্য ড্রামাটিক ওয়ার্কস অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র, কারেক্টেড অ্যান্ড ইলাস্ট্রেটেড অংশটি যুক্ত করে দেন। পরের দিনই তিনি তিনি একটি মুখবন্ধ সহ শেকসপিয়রের রচনাবলি আট খণ্ডে সম্পাদনার একটি চুক্তি সাক্ষর করেন এবং ৮ জুন তারিখে জনসন তাঁর প্রোপোজাল (বর্তমানে প্রোপোজালস ফর অ্যান এডিশন অফ শেকসপিয়র নামে পরিচিত) মুদ্রিত করেন।[১৭] প্রোপোজাল দুই গিনি মূল্যে জনসনের ভাবী সংস্করণটি গ্রাহকপদ বিক্রয় করে; এর মধ্যে এক গিনি আগে ও দ্বিতীয় গিনিটি মুদ্রণের পরে দিতে হয়েছিল।[১৮] আ ডিকশনারি অফ দি ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সম্পাদনার পরে গবেষক হিসেবে খ্যাতি অর্জনের পরে ওয়ারবার্টনের প্রকাশক টনসন এট অল. তাঁকে শেকসপিয়র নিয়ে কাজ করার অনুমতি প্রদান করে।[১৭]

প্রোপোজাল-এ জনসন শেকসপিয়রের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলির বিভিন্ন সমস্যাগুলি বর্ণনা করেন এবং তাঁর নিজের সম্পাদনায় একটি নতুন সংস্করণের পক্ষে সওয়াল করেন, যেখানে এই সব সমস্যার সমাধান থাকবে।[৩] বিশেষত জনসন কথা দেন যে, "যা বিকৃত তা সংশোধন করা হবে, এবং যা অস্পষ্ট তা ব্যাখ্যা করা হবে" ("correct what is corrupt, and to explain what is obscure".)[১৯] তিনি এই কাজ করতে চলেছিলেন "সকল পুরনো কপির এক সযত্ন-রক্ষিত সংগ্রহ"-এর ("a careful collation of all the oldest copies") উপর নির্ভর করে এবং "শেকসপিয়র যে গ্রন্থগুলি থেকে আখ্যানবস্তু আহরণ করেছিলেন সেই নির্দিষ্ট বইগুলি থেকে একই কাহিনিগুলি" ("the same story in the very book which Shakespeare consulted") পড়ে।[২০] অন্যান্য সম্পাদকেরা "তাঁদের পূর্বসূরিদের গুরুত্ব না দিলেও" ("slight their predecessors") জনসন দাবি করেছিলেন যে, "সকল ব্যাখ্যাকারীদের থেকে যা কিছু মূল্যবান তা আহরিত হবে, তার ক্রমপরম্পরা বিবেচিত হবে অপর সব কিছুর সঙ্গে এবং যা কিছু এযাবৎ পর্যন্ত ইংরেজি নাটকের মহান পিতার সম্পর্কে জানা গিয়েছে তা দেখানো হবে" ("all that is valuable will be adopted from every commentator, that posterity may consider it as including all the rest, and exhibiting whatever is hitherto known of the great father of the English drama").[২০] এই রচনার শেষ দিকে তিনি কথা দিয়েছিলেন যে তাঁর কাজ প্রস্তুত হয়ে যাবে ১৭৫৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই।[৩]

জনসন আঠারো মাসের মধ্যে সম্পাদনার কাজ শেষ করার চুক্তি সাক্ষর করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজের গতিও কমে আসে। ১৭৫৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি চার্লস বার্নিকে বলেন যে কাজটি শেষ করতে তাঁর পরবর্তী মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।[২১] কিন্তু তার আগেই ১৭৫৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪০ পাউন্ড দেনা শোধ করতে না পারার অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।[২১] টনসনের সঙ্গে জনসনের গ্রন্থ প্রকাশের চুক্তি ছিল বলে তিনিই এই দেনা শোধ করে দেন। এই উপকারের প্রতিদানে সম্পাদনার কাজটি সম্পূর্ণ করতে জনসন বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ হন।[২১] যদিও কাজটি শেষ করতে তাঁর আরও সাত বছর সময় লেগেছিল। তবে গ্রন্থটির কয়েকটি খণ্ড সম্পূর্ণ করে জনসন কাজটির প্রতি নিজের নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছিলেন।[২১]

জনসনের শেকসপিয়র[সম্পাদনা]

জন হকিনসের কাছে জনসন স্বীকার করেছিলেন যে, "ভালোবাসা বা খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল, আমি অর্থ উপার্জন করতে চেয়েছিলাম, সেটাই আমি যা জানি তা আমাকে লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।" ("my inducement to it is not love or desire of fame, but the want of money, which is the only motive to writing that I know of.")[১৮] যদিও অর্থই জনসনের কাছে একটি জোরালো প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয়নি। ১৭৫৮ সালে সম্পাদনার কাজ খানিকটা এড়ানোর জন্যই তিনি দি আইডলার নামে একটি সাপ্তাহিক ধারাবাহিক লিখতে শুরু করেন। ১৮৫৮ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ১৭৬০ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত এই লেখাটি চলেছিল।[২২]

দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র গ্রন্থের চুক্তিপত্র

১৭৬২ সালের মধ্যেই জনসন শ্লথতার এক কুখ্যাতি অর্জন করে ফেলেছিলেন। সমসাময়িক কবি চার্লস চার্চিল শেকসপিয়র রচনাবলির দীর্ঘ-প্রতিশ্রুত সম্পাদনার কাজে জনসনের শ্লথতার বিষয়টিকে ব্যঙ্গ করে লিখেছিলেন: "তিনি গ্রাহকদের বইয়ের টোপ দিয়েছিলেন/ আপনাদের টাকা নিয়েছেন, কিন্তু বইখানি কই?" ("He for subscribers baits his hook / and takes your cash, but where's the book?")[২৩] এই জাতীয় মন্তব্যের আঘাতেই জনসন আবার নতুন করে তাঁর কাজ শুরু করেন।[২৩] ১৭৬২ সালের ২০ জুলাই তিনি বার্ষিক ৩০০ পাউন্ডের সরকারি পেনসন প্রথম পান। এর ফলে তাঁকে আর অর্থের জন্য চিন্তা করতে হয়নি এবং শেষপর্যন্ত তিনি বেশিরভাগ সময়ই নিজের কাজের পিছনে অতিবাহিত করতে থাকেন।[২৪]

হেনরিহেস্টার থ্রেলের আলাপ হওয়ার একদিন পরে, অর্থাৎ ১৭৬৫ সালের ১০ জানুয়ারি জনসন নিজের ডায়রিতে লেখেন যে তিনি "এক পৃষ্ঠা সংশোধন করেছেন" ("Corrected a sheet.")[২৫] তারপর তিনি তাঁর বন্ধু রিচার্ড ফার্মারের সঙ্গে নিয়মিত দেখাসাক্ষাৎ শুরু করেন। ফার্মার সেই সময় এসে অন দ্য লার্নিং অফ শেকসপিয়র রচনা করছিলেন। এই রচনাটি জনসনকে তাঁর গ্রন্থ সম্পূর্ণভাবে পরিমার্জনায় সাহায্য করে।[২৫] এই সময় জনসন সাড়ে পাঁচশোরও বেশি টীকা সংযোজন করেছিলেন বইটি প্রকাশনের জন্য পরিমার্জনা করতে গিয়ে।[২৫] জুন মাসে জনসন বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন যে তাঁর সংস্করণটি ১৭৬৫ সালের ১ অগস্ট প্রকাশিত হবে।[২৬] যদিও তিনি মুখবন্ধ রচনার কাজটি অগস্ট মাসের আগে শেষ করতে পারেননি এবং বইটিও ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে মুদ্রিত হয়নি।[২৬] এই সময় জর্জ স্টিভেনস স্বেচ্ছায় জনসনকে মুখবন্ধ রচনার কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।[২৬]

জনসনের সম্পাদনায় দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হয় ১৭৬৫ সালের ১০ অক্টোবর দ্য প্লেজ অফ উইলিয়াম শেকসপিয়র, ইন এইট ভলিউমস ... টু হুইচ আর অ্যাডেড নোটস বাই স্যাম. জনসন শিরোনামে। বইটির ১০০০ কপি মুদ্রিত হয়েছিল।[২৭] সংস্করণটি দ্রুত নিঃশেষিত হয়ে যায় এবং অনতিকালের মধ্যেই দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপতে হয়। এই দ্বিতীয় পরিবর্ধিত সংস্করণটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৭৭৩ সালে এবং ১৭৭৮ সালে একটি আরও পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশিত হয়।[২৭]

মুখবন্ধ[সম্পাদনা]

প্রথম সংস্করণে মুখবন্ধ অংশের প্রচ্ছদ[২৮]

জনসনের প্রিফেস টু শেকসপিয়র-এ চারটি উপাদান বিদ্যমান ছিল।: শেকসপিয়রের মহত্ব (বিশেষত্ব মানব প্রকৃতি চিত্রণে তাঁর দক্ষতার কারণে); শেকসপিয়রের ত্রুটি বা দুর্বলতা; সমসাময়িক কবিতা ও নাটকের সঙ্গে শেকসপিয়রের নাটকগুলির সম্পর্ক এবং শেকসপিয়রীয় সমালোচনা এবং ১৭৭০-এর দশকের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত শেকসপিয়র সম্পাদনা ও সেই সঙ্গে তাঁর কাজের উদ্দেশ্য।[২৯]

জনসন লেখা শুরু করেন:

That praises are without reason lavished on the dead, and that the honours due only to excellence are paid to antiquity, is a complaint likely to be always continued by those, who, being able to add nothing to truth, hope for eminence from the heresies of paradox; or those, who, being forced by disappointment upon consolatory expedients, are willing to hope from posterity what the present age refuses, and flatter themselves that the regard which is yet denied by envy, will be at last bestowed by time. Antiquity, like every other quality that attracts the notice of mankind, has undoubtedly votaries that reverence it, not from reason, but from prejudice. Some seem to admire indiscriminately whatever has been long preserved, without considering that time has sometimes co-operated with chance; all perhaps are more willing to honour past than present excellence; and the mind contemplates genius through the shades of age, as the eye surveys the sun through artificial opacity. The great contention of criticism is to find the faults of the moderns, and the beauties of the ancients. While an authour is yet living we estimate his powers by his worst performance, and when he is dead we rate them by his best.

To works, however, of which the excellence is not absolute and definite, but gradual and comparative; to works not raised upon principles demonstrative and scientifick, but appealing wholly to observation and experience, no other test can be applied than length of duration and continuance of esteem. What mankind have long possessed they have often examined and compared, and if they persist to value the possession, it is because frequent comparisons have confirmed opinion in its favour. As among the works of nature no man can properly call a river deep or a mountain high, without the knowledge of many mountains and many rivers; so in the productions of genius, nothing can be stiled excellent till it has been compared with other works of the same kind. Demonstration immediately displays its power, and has nothing to hope or fear from the flux of years; but works tentative and experimental must be estimated by their proportion to the general and collective ability of man, as it is discovered in a long succession of endeavours. Of the first building that was raised, it might be with certainty determined that it was round or square, but whether it was spacious or lofty must have been referred to time. The Pythagorean scale of numbers was at once discovered to be perfect; but the poems of Homer we yet know not to transcend the common limits of human intelligence, but by remarking, that nation after nation, and century after century, has been able to do little more than transpose his incidents, new name his characters, and paraphrase his sentiments.

The reverence due to writings that have long subsisted arises therefore not from any credulous confidence in the superior wisdom of past ages, or gloomy persuasion of the degeneracy of mankind, but is the consequence of acknowledged and indubitable positions, that what has been longest known has been most considered, and what is most considered is best understood.[৩০]

তারপর শেকসপিয়রের পরিচয় দিতে গিয়ে জনসন লেখেন:

The poet, of whose works I have undertaken the revision, may now begin to assume the dignity of an ancient, and claim the privilege of established fame and prescriptive veneration. He has long outlived his century, the term commonly fixed as the test of literature merit. Whatever advantages he might once derive from personal allusions, local customs, or temporary opinions, have for many years been lost; and every topic of merriment, or motive of sorrow, which the modes of artificial life afforded him, now only obscure the scenes which they once illuminated. The effects of favour and competition are at an end; the tradition of his friendships and his enmities has perished; his works support no opinion with arguments, nor supply any faction with invectives; they can neither indulge vanity nor gratify malignity; but are read without any other reason than the desire of pleasure, and are therefore praised only as pleasure is obtained; yet, thus unassisted by interest or passion, they have past through variation of taste and changes of manners, and, as they devolved from one generation to another, have received new honours at every transmission.[৩১]

নাট্যাবলি[সম্পাদনা]

প্রোপোজাল অংশে জনসন বলেছিলেন যে, "প্রাচীনতম কপিগুলির এক সযত্ন-সংগ্রহের মাধ্যমে পাঠের বিকৃতিগুলি সংশোধিত হয়েছে" ("the corruptions of the text will be corrected by a careful collation of the oldest copies").[৫] সেই মতো জনসন নাটকগুলির পুরনো কপিগুলি জোগাড় করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অনেকেই তাঁদের কাছে রক্ষিত সংস্করণগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেগুলি দিতে অস্বীকার করেছিলেন।[৫] ডেভিড গ্যারিক তাঁর কাছে রক্ষিত শেকসপিয়রীয় পাঠের সংগ্রহটি ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্যারিক পরিবর্তে বিশেষ সুবিধা আদায় করতে পারেন, এই ভয়ে জনসন সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।[৩২]

জনসনের শক্তি ছিল এমন সব সঙ্গতিপূর্ণ টীকাগুচ্ছ রচনা করা যা পাঠককে শেকসপিয়রের অনেক জটিলতর রচনাংশের বা যুগ যুগ ধরে ভুলভাবে প্রতিলিপিকৃত অংশগুলির পিছনে নিহিত অর্থ বুঝতে সাহায্য করে।[৩২] এই সব টীকাগুচ্ছের মধ্যে মাঝেমধ্যে তিনি বিরোধী সম্পাদকদের শেকসপিয়রীয় রচনা সম্পাদনার কাজকে আক্রমণও করছিলেন।[৩]

১৭৬৬ সালে স্টিভেনস শেকসপিয়রের নাটকগুলির একটি নিজস্ব সম্পাদনা প্রকাশ করেন যা "আরও ভালো বই হিসেবে জনসনের বইটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল" ("designed to transcend Johnson's in proceeding further towards a sound text"), কিন্তু এই গ্রন্থে জনসনের সমালোচনামূলক টীকাগুলির অভাব ছিল।[২৭] দু’জনে একত্রে দশ খণ্ডে শেকসপিয়রের নাটকের একটি পরিমার্জিত সংস্করণ প্রস্তুত প্রকাশ করেন। ১৭৭৩ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থে ১৭৭৮ সালে আরও কিছু সংশোধন আনা হয়।[২৭] মূল পাঠগুলির অধিকাংশই স্টিভেনস জোগাড় করেছিলেন, অন্যদিকে জনসন আশিটি টীকা যোগ করেছিলেন।[২৭]

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

১৭৪৬ সালে জনসন যখন শেকসপিয়রের রচনাকর্মের সম্পাদনা প্রকাশ করতে অসমর্থ হন, তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পাদক উইলিয়াম ওয়ারবার্টন মিসেলেনিয়াস অবজার্ভেশনস গ্রন্থটির প্রশংসা করে লিখেছিলেন যে, "প্রকল্পিত সংস্করণের একটি নমুনা হিসেবে প্রদত্ত ম্যাকবেথ-সংক্রান্ত কয়েকটি সমালোচনামূলক টীকা পড়ে মনে হয় তা গুণবান ও প্রতিভাবান এক ব্যক্তির দ্বারা লিখিত" ("some critical notes on Macbeth, given as a specimen of a projected edition, and written, as appears, by a man of parts and genius").[১৫] বহু বছর পরে জনসনের বন্ধু তথা এক গুরুত্বপূর্ণ শেকসপিয়র-বিশেষজ্ঞ এডমন্ড মেলন বলেছিলেন যে, জনসনের "তেজস্বী ও সমন্বিত বোধশক্তি তাঁর সকল পূর্বসূরিদের তুলনায় লেখকের উপর অধিকতর আলোকপাত করেছে" ("vigorous and comprehensive understanding threw more light on his authour than all his predecessors had done"),[৫] এবং এও বলেন যে, মুখবন্ধ অংশটি "আমাদের ভাষায় শ্রেষ্ঠ রচনা" ("the finest composition in our language").[৩৩] অ্যাডাম স্মিথ বলেছিলেন যে, মুখবন্ধ অংশটি ছিল "সর্বকালে সর্ব দেশে প্রকাশিত সর্বাপেক্ষা পুরুষালি সমালোচনামূলক রচনাকর্ম।" ("the most manly piece of criticism that was ever published in any country.")[৩৩]

১৯০৮ সালে ওয়াল্টার র্যালে দাবি করেন যে, জনসন পাঠককে সাহায্য করেছিলেন "সরাসরি শেকসপিয়রের [সাহিত্যকর্মের] অর্থে ঢুকে যেতে, যেখানে ভাষাতত্ত্ববিদ ও প্রাচীন গ্রন্থের পাঠের বিশেষজ্ঞেরা একে অপরকে অন্ধকারে বিনষ্ট করে ফেলেছিলেন। ("go straight to Shakespeare's meaning, while the philological and antiquarian commentators kill one another in the dark."[৩৪] র্যালে পরে স্বীকার করেন যে, তাঁর মধ্যে "অনতিকালের মধ্যেই এমন এক অভ্যাস গড়ে ওঠে যেখানে কোনও অস্পষ্ট রচনাংশ পড়লেই তিনি অন্যদের ব্যাখ্যা পড়ার আগে জনসনের টীকা দেখে নিতে শুরু করেন।" ("soon falls into the habit, when he meets with an obscure passage, of consulting Johnson's note before the others.")[৩৪] টি. এস. এলিয়ট লিখেছিলেন যে, "মহতের দ্বারা মহৎভাবে মহিমান্বিত হওয়ার মতো পরম্পরার চেয়ে বেশি কিছু কোনও কবিই আশা করতে পারেন না; এবং শেকসপিয়র সম্পর্কে জনসনের কথাগুলি বিরাট সম্মান" ("no poet can ask more of posterity than to be greatly honoured by the great; and Johnson's words about Shakespeare are great honour").[৩৫]

ওয়াল্টার জ্যাকসন বেট ১৯৭৭ সালে জনসনের জীবনীতে লেখেন যে:

the edition of Shakespeare – viewed with historical understanding of what it involved in 1765 – could seem a remarkable feat; and we are not speaking of just the great Preface. To see it in perspective, we have only to remind ourselves what Johnson brought to it – an assemblage of almost every qualification we should ideally like to have brought to this kind of work with the single exception of patience... Operating in and through these qualities was his own extensive knowledge of human nature and life. No Shakespearean critic or editor has ever approached him in this respect.[৩৬]

জনসনের অপর জীবনীকার জন ওয়েইন দাবি করেন যে জনসনের প্রোপোজাল ছাড়া "শেকসপিয়রের রচনাকর্ম কেন সম্পাদনা করা প্রয়োজন এবং একজন সম্পাদক কোন যুক্তির বশে নিজের উদ্দেশ্য নির্ধারিত করতে পারেন তার অধিকতর ভালো আর কিছুই হতে পারে না" (, "There is no better statement of the reason why Shakespeare needs to be edited, and what aims an editor can reasonably set himself").[৩]

হ্যারোল্ড ব্লুম তাঁর শেকসপিয়র: দি ইনভেনশন অফ দ্য হিউম্যান গ্রন্থে শেকসপিয়রের নাটক নিয়ে নিজের পর্যালোচনার ক্ষেত্রে জনসনের বহু সূত্র উল্লেখ করেছিলেন। গ্রন্থের ভূমিকাংশে তিনি বলেছিলেন,

In learning, intellect, and personality, Samuel Johnson still seems to me first among all Western literary critics. His writings on Shakespeare necessarily have a unique value: the foremost of interpreters commenting upon the largest of all authors cannot fail to be of permanent use and interest.[৩৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ২৯
  2. পিওজি ১৯৫১, পৃ. ১৫১
  3. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১৯৪
  4. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১৮৮
  5. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৬
  6. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১৪৬
  7. বেট ১৯৭৭, পৃ. ২২৭
  8. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১৩৮
  9. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১২৫
  10. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১২৬
  11. ওয়েইন ৯৭৪, পৃ. ১২৬–১২৭
  12. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১২৭
  13. লেন ১৯৭৫, পৃ. ১০৩
  14. জনসন ১৯৬৮
  15. বেট ১৯৭৭, পৃ. ২২৮
  16. ওয়েইন ১৯৭৪, পৃ. ১২৮
  17. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৩০
  18. লেন ১৯৭৫, পৃ. ১৩৮
  19. ইউং এবং অন্যান্য ১৯৮৪, পৃ. ৮৬
  20. ইয়ুং এবং অন্যান্য ১৯৮৪, পৃ. ৮৭
  21. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৩২
  22. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৩৪
  23. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯১
  24. লেন ১৯৭৫, পৃ. ১৪৭
  25. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৩
  26. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৪
  27. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৫
  28. জে. টনসন, এট অল ১৭৬৫
  29. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৮–৩৯৯
  30. জনসন ১৯৭৩, পৃ. ১৪৯
  31. জনসন ১৯৭৩, পৃ. ১৫০
  32. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৭
  33. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৯
  34. র্যালে ১৯০৮, পৃ. ষোলো
  35. বেট 1977, পৃ. 401
  36. বেট ১৯৭৭, পৃ. ৩৯৫–৩৯৬
  37. ব্লুম, হ্যারোল্ড (১৯৯৮)। শেকসপিয়র: দি ইনভেনশন অফ দ্য হিউম্যান। নিউ ইয়র্ক: দ্য বার্কলে পাবলিশিং গ্রুপ। পৃষ্ঠা ২। আইএসবিএন 1-57322-120-1ওসিএলসি 39002855 

উল্লেখপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • বেট, ওয়াল্টার জ্যাকসন (১৯৭৭), স্যামুয়েল জনসন, নিউ ইয়র্ক: হারকোর্ট ব্রেস জোভানোভিচ, আইএসবিএন 0-15-179260-7 
  • জনসন, স্যামুয়েল (১৯৭৩), ওয়েইন, জন, সম্পাদক, জনসন অ্যাজ ক্রিটিক, লন্ডন: রটলেজ, আইএসবিএন 0-7100-7564-2 
  • জনসন, স্যামুয়েল (১৯৬৮), শার্বো, আর্থার, সম্পাদক, দি ইয়েল এডিশন অফ দ্য ওয়ার্কস অফ স্যামুয়েল জনসন, ৭ম খণ্ড, জনসন অ্যান্ড শেকসপিয়র, নিউ হ্যাভেন: ইয়েল ইউনিভার্সিটি প্রেস, আইএসবিএন 0-300-00605-5 
  • লেন, মার্গারেট (১৯৭৫), স্যামুয়েল জনসন অ্যান্ড হিজ ওয়ার্ল্ড, নিউ ইয়র্ক: হারপারস অ্যান্ড র পাবলিশার্স, আইএসবিএন 0-06-012496-2 
  • পিওজি, হেস্টার (১৯৫১), বল্ডারসন, ক্যাথারিন, সম্পাদক, থ্রালিয়ানা: দ্য ডায়েরি অফ মিসেস হেস্টার লিঞ্চ থ্রেল (পরবর্তীকালে মিসেস পিওজি) ১৭৭৬–১৮০৯, অক্সফোর্ড: ক্ল্যারেনডন, ওসিএলসি 359617 
  • র্যালে, ওয়াল্টার (১৯০৮), জনসন অন শেকসপিয়র, লন্ডন: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ওসিএলসি 10923457 
  • জে. অ্যান্ড আর. টনসন, এইচ. উডফল, জে. রিভিংটন, আর. বাল্ডউইন, এল. হাওয়েস, ক্লার্ক অ্যান্ড কলিনস, টি. লংম্যান, ডব্লিউ. জনস্টন, টি. ক্যাসলন, সি. করবেট, টি. লন্ডস, অ্যান্ড দি এক্সিকিউটরস অফ বি. ডড (১৭৬৫), মি. জনসন’স প্রিফেস টু হিজ এডিশন অফ শেকসপিয়র’স প্লেজ 
  • ওয়েইন, জন (১৯৭৪), স্যামুয়েল জনসন, নিউ ইয়র্ক: ভাইকিং প্রেস, ওসিএলসি 40318001 
  • ইয়ুং, কাই কিন; ওয়েইন, জন; রবসন, ডব্লিউ. ডব্লিউ.; ফ্লিম্যান, জে. ডি. (১৯৮৪), স্যামুয়েল জনসন, ১৭০৯–৮৪বিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন, লন্ডন: হারবার্ট প্রেস, আইএসবিএন 0-906969-45-X 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]