দেশভাগ সংগ্রহালয়

স্থানাঙ্ক: ৩১°৩৭′৩৩″ উত্তর ৭৪°৫২′৪৩″ পূর্ব / ৩১.৬২৫৮° উত্তর ৭৪.৮৭৮৭° পূর্ব / 31.6258; 74.8787
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেশভাগ সংগ্রহালয়
পার্টিশন মিউজিয়ম
ਪਾਰਟੀਸ਼ਨ ਮਿਊਜ਼ੀਅਮ
দেশভাগ সংগ্রহালয়ের প্রাচীরে বাংলা ভাষায় নামফলক
মানচিত্র
স্থাপিত২৫ আগস্ট ২০১৭ (2017-08-25)
অবস্থানঅমৃতসর, পাঞ্জাব
স্থানাঙ্ক৩১°৩৭′৩৩″ উত্তর ৭৪°৫২′৪৩″ পূর্ব / ৩১.৬২৫৮° উত্তর ৭৪.৮৭৮৭° পূর্ব / 31.6258; 74.8787
সংগ্রহ১৯৪৭ সালের নথিপত্র, দেশভাগের সময়কার মৌখিক ইতিহাস
প্রতিষ্ঠাতাকলা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ট্রাস্ট (টিএএসিএইচটি)
চেয়ারপারসনকিশওয়ার দেসাই
ওয়েবসাইটhttp://www.partitionmuseum.org/

দেশভাগ সংগ্রহালয় অমৃতসর নগরীর ভেতর, টাউন হলে অবস্থিত একটি সার্বজনীন সংগ্রহালয়।[১] ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারতপাকিস্তানে বিভক্ত হওয়ার ঠিক পরবর্তিতে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মাঝে যে ভয়াবহ দাঙ্গা ঘটে সেই সম্পর্কিত গল্প, উপকরণ এবং হরেক নথিগুলির একটি কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার হয়ে ওঠাই দেশভাগ সংগ্রহালয়ের লক্ষ্য। সংগ্রহালয়টি ২৫শে আগস্ট ২০১৭ সালে উদ্বোধন করা হয়।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের ফলে ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ (ও একই সঙ্গে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিও) দ্বিখণ্ডিত হয়। পাঞ্জাব প্রদেশ ভেঙে পাঞ্জাব প্রদেশ (পাকিস্তান)পাঞ্জাব রাজ্য (ভারত) গঠিত হয়। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য (ভারত)পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ (পাকিস্তান)। ভারত বিভাজনের অব্যবহিত পূর্বে পাঞ্জাব অঞ্চলে যে ধর্মীয় দাঙ্গা বেধেছিল, তাতে উভয় ধর্মের দুই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।[৩][৪] ইউএনএইচসিআর-এর হিসেব অনুযায়ী, ১ কোটি ৪০ লক্ষ হিন্দু, শিখমুসলমান ভারত বিভাজনের ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন এবং এর ফলে মানব ইতিহাসের বৃহত্তম দেশত্যাগের ঘটনাটি ঘটেছিল।[৫][৬][৭]

দেশভাগের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি স্মরণে পাঞ্জাব সরকার যুক্তরাজ্যের আর্টস অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ট্রাস্টের সঙ্গে মিলে এই সংগ্রহালয়টি প্রতিষ্ঠা করে।[৮]

দেশভাগ সংগ্রহালয়ের প্ৰধান ফটক

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kaur, Usmeet (২০১৬-১০-২৫)। "Country's first Partition Museum: A story of pain and resurgence"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৬ 
  2. Menon, Parvathi (২০১৫-১২-০৩)। "Amritsar's Partition museum to relive a generation's sacrifices"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৬ 
  3. পল আর. ব্রাস (২০০৩)। "The partition of India and retributive genocide in the Punjab, 1946–47: means, methods, and purposes" (পিডিএফ)জার্নাল অফ জেনোসাইড রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 75 (5(1), 71–101)। ২০১৫-০৩-১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৬ 
  4. "20th-century international relations (politics) :: South Asia"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৬ 
  5. "Rupture in South Asia" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। UNHCR। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৬ 
  6. Dr Crispin Bates (২০১১-০৩-০৩)। "The Hidden Story of Partition and its Legacies"বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৬ 
  7. Tanya Basu (১৫ আগস্ট ২০১৪)। "The Fading Memory of South Asia's Partition"The Atlantic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৬ 
  8. "Partition Museum, India"The Partition Museum (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৬