দুর্গাপুর স্থলবন্দর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দুর্গাপুর স্থলবন্দর হল পূর্ব ভারতের প্রথম ও একমাত্র স্থলবন্দরপশ্চিমবঙ্গে হলদিয়া বন্দরকলকাতা বন্দরের মাধ্যমে জাহাজে বহু পণ্য যাতায়াত করে। ওই দুই বন্দরের উপরে চাপ কমাতেই ২০০৬ সালের মে মাসে দুর্গাপুরের বাঁশকোপায় স্থলবন্দর গড়ে তোলা হয়। বন্দরটির বছরে কন্টেইনার পরিবহন ক্ষমতা ৬০,০০০ টি।

দুর্গাপুর স্থলবন্দর ব্যবহার করে ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের পণ্য কন্টেইনারজাত করে অভিবাসন ও শুল্কের ছাড়পত্র নিয়ে সরাসরি কলকাতা বন্দরহলদিয়া বন্দর ব্যবহার করে বিদেশে পাঠানো হয়। এছাড়া এই বন্দর থেকে পণ্য বাংলাদেশ পাঠানো হয় পেট্রাপোল স্থলবন্দর মাধ্যে। এতে ২-৩ দিন সময় বাঁচে।

বাঁশকোপায় প্রায় পাঁচ হেক্টর এলাকা জুড়ে গড়া হয়েছে স্থলবন্দরটি। রয়েছে পর্যাপ্ত আয়তনের গুদাম। কনটেনার ওজন করা থেকে শুল্ক নেওয়া বা শুল্ক দফতরের ছাড়পত্র দেওয়ার মতো নানা ব্যবস্থা আছে। ফাঁকা কনটেনার রাখার জন্য আলাদা গুদাম, কনটেনার সারাইয়ের সুবিধাও রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে পেশাদার রক্ষীরা আছেন। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য রয়েছে সিসিটিভি। কর্মীর সংখ্যা শ’দুয়েক। ২০১১ সালে ভারতীয় রেলের অধীন কনটেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রেল যোগাযোগও গড়ে তোলা হয়। [১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শিল্প নেই, ধুঁকছে পূর্ব ভারতের এক মাত্র স্থলবন্দর"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২২ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]