দুর্গাপুর ব্যারেজ
দুর্গাপুর ব্যারেজ | |
---|---|
![]() | |
দেশ | ভারত |
অবস্থান | পশ্চিম বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°২৮′৩১″ উত্তর ৮৭°১৮′০৮″ পূর্ব / ২৩.৪৭৫৪° উত্তর ৮৭.৩০২৩° পূর্ব |
উদ্দেশ্য | জলসেচ |
নির্মাণ শুরু | ১৯৫৩ |
উদ্বোধনের তারিখ | ১৯৫৫ |
অপারেটর | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | ব্যারেজ |
আবদ্ধতা | দামোদর নদ |
উচ্চতা | ১২ মিটার (৩৯ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৬৯২.২ মিটার (২,২৭১ ফু) |
অতিরিক্ত পানি নির্গমনের পথ | ৩৪ |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধরন | উল্লম্ব উত্তোলন জলকপাট |
জলাধার | |
সর্বাধিক পানির গভীরতা | ৬৪.৪৮ মি (২১১.৫ ফু) |
দুর্গাাপুর ব্যারেজ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি দুর্গাপুর শহরের কাছে দামোদর নদ এর উপর নির্মিত একটি বাঁধ। এই ব্যারেজটি পরিচালনা করে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। এই ব্যরেজএর দ্বারা দামোদর নদ ও তার উপনদী গুলির বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।[১] এই ব্যারেজ থেকে কৃষি জমিতে জল সেচের জন্য সেচ খাল খনন করা হয়েছে যার দ্বারা বর্ধমান জেলা ও বাঁকুড়া জেলার কৃষি জমিতে জল সেচ করা হয়।
ব্যারেজ[সম্পাদনা]
১৯৫৫ সালে নির্মিত দুর্গাপুর ব্যারাজটি ৬৯২ মিটার (২,২৭০ ফুট) দীর্ঘ। এটির ৩৪ টি গেট রয়েছে (স্লুইস সহ)। গেটগুলির আকার ১৮.৩ মি × ৪.৯ মি (৬০ ফুট × ১৬ ফুট)। স্লুইসগুলির অন্তর্গত বাম ও ডানদিকের জলকপাটের আকার ১৮.৩ মি × ৫.৫ মিটার (৬০ ফুট × ১৮ ফুট)।[২] দুর্গাপুর ব্যারাজটি ১২ মিটার (৩৯ ফুট) উঁচু।[৩]
সেচ খাল[সম্পাদনা]
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে শুরু হওয়া বাম তীরের মূল খালটির দৈর্ঘ্য ১৩৬.৮ কিমি (৮৫.০ মাইল) এবং ডান তীরের মূল খালের ৮৮.৫ কিমি (৫৫.০ মাইল)। বাম তীরের খাল ব্যারাজ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২৬০ ঘনমিটার (৬৯,০০০ মার্কিন গ্যাল) এবং ডান তীরের খালের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ৬৪.৩ ঘনমিটার (১৭,০০০ মার্কিন গ্যাল) জল প্রবাহিত হয়। মূল খাল ও শাখা খালের মোট দৈর্ঘ্য ২,৯৯৪ কিলোমিটার (১,৫৫০ মাইল)।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবনের আশঙ্কা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৩ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ "Damodar Valley Corporation"। Dams and Barrages। DVC। ২০১০-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-০৬।
- ↑ Basak (অক্টোবর ১৯৯৯)। Irrigation Engineering। আইএসবিএন 9780074635384। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১০।