দশরথ চন্দ
দশরথ চান্দ | |
---|---|
জন্ম | দশরথ চন্দ ১৯০৩ বাস্কট, বৈতডী জেলা, নেপাল |
মৃত্যু | ২৫ জানুয়ারি, ১৯৪১ নেপাল |
পরিচিতির কারণ | আন্দোলনকর্মী |
দশরথ চন্দ (নেপালি: दशरथ चन्द, উচ্চারণ:দশরথ চন্দ্, জন্ম: ১৯০৩-মৃত্যু: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৪১) বৈতড়ি জেলার বাস্কটে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট নেপালী রাজনীতিবিদ। নেপালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব। রাণা শাসন আমলে রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনাকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]শের বাহাদুর চন্দের সন্তান দশরথ উত্তরখণ্ডের আলমোদা, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গায় পড়াশোনা শেখেন। এরপর বানারসে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। বানারসে কাশী নগরী প্রচারিনী সভায় কাজ করেন দশরথ চন্দ।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত থাকার লক্ষ্যে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ভারতীয়দের সাথে তিনিও প্রভাবান্বিত হন এবং এ আন্দোলনে যুক্ত হন। পাশাপাশি দারিদ্র, অশিক্ষিত, নিপীড়িত, দুর্দশাগ্রস্ত সাধারণ নেপালীদের কথা মনে রেখেছেন। তারা শাসকশ্রেণীর অনিয়ন্ত্রিত জীবনপ্রণালী ও বিলাশবহুল জীবনে সংক্ষুদ্ধ ছিল। দশরথ শাসকশ্রেণীর বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে রানা শাসন ধ্বংসের জন্য দৃঢ়চিত্তে অগ্রসর হতে থাকেন। ভারতের পাটনা থেকে রানাশাসনের বিপক্ষে সুভাষসিংহ ছদ্মনামে নিবন্ধ লিখতে শুরু করেন।
দশরথ চন্দ টঙ্ক প্রসাদ আচার্য় এবং ধর্ম ভক্ত মাথেমা’র সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। ঐ সময়ে তারা নেপালের রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা করেন। দশরথ চন্দের সক্রিয় অংশগ্রহণে ও টঙ্ক প্রসাদ আচার্য়র সভাপতিত্বে নেপাল প্রজা পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।[১] রাণা শাসন অবসানে ও অত্যাচারের বিপক্ষে দলটি সক্রিয় হয়ে উঠে এবং ক্ষুদ্র পুস্তক বিতরণ করতে থাকে। প্রায় চার মাস সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে দলটি অজ্ঞাত ছিল। অবশেষে পাঁচ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করলে প্রজা পরিষদের সদস্য রামজি জোসি গুপ্তকথা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশ করেন। ফলে নেতাদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। গঞ্জলাল শ্রেষ্ঠ এবং দশরথ চন্দও গ্রেফতার হন। কারাগারে উভয়কে অনেক অত্যাচার, উৎপীড়ন সহ্য করতে হয়। তাদেরকে ক্ষমাভিক্ষা চাওয়ারও সুযোগ দেয়া হলেও তারা তা করেননি। অবশেষে ২৫ জানুয়ারি, ১৯৪১ তারিখে শোভা ভগবতী এলাকায় উভয়কে গুলি করে হত্যা করা হয়।[২]