দজলা–ফোরাত নদী ব্যবস্থা
দজলা–ফোরাত নদী ব্যবস্থা | |
---|---|
বাস্তুসংস্থান | |
রাজত্ব | পেলেয়ারসিটিসি |
জীবাঞ্চল | প্লাবিত তৃণভূমি ও সাভানা |
ভৌগোলিক | |
অঞ্চল | ৩৫,৬০০ কিমি২ (১৩,৭০০ মা২) |
দেশসমূহ | তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, কুয়েত[১][২][৩][৪] |
মহাসাগর বা সমুদ্র | None |
নদীসমূহ | দজলা, ফোরাত, বড় যাব, ছোট যাব। |
জলবায়ুর ধরন | প্রায় ক্রান্তীয়, গরম ও শুষ্ক |
সংরক্ষণ | |
সংরক্ষণ অবস্থা | ক্রিটিক্যাল / বিপন্ন |
দজলা এবং ফোরাত তাদের উপনদীগুলোর সাথে পশ্চিম এশিয়ায় একটি প্রধান নদী ব্যবস্থা গঠন করে। পূর্ব তুরস্কের আর্মেনীয় উচ্চভূমি[৫] থেকে উদ্ভূত নদীগুলো সিরিয়া ও ইরাকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পারস্য উপসাগরে পতিত।[৬] এই নদী ব্যবস্থাটি প্যালেয়ার্টিক দজলা-ফোরাত বাস্তু অঞ্চলের অংশ, যা ইরাক এবং তুরস্ক, সিরিয়া, ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত এবং জর্ডানের অন্তর্ভুক্ত।
পূর্বাঞ্চলীয় আনাতোলিয়ার পাহাড়গুলোতে নদীগুলোর উৎস এবং উচ্চতর উৎস থেকে নদীগুলো উপত্যকায় এবং গিরিখাদের মধ্য দিয়ে সিরিয়া এবং উত্তর ইরাকের উপকূলে এবং তারপর মধ্য ইরাকের সমভূমিতে পৌঁছায়। নদীগুলো কেন্দ্রীয় সমভূমির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের প্রবাহে প্রবাহিত হয় এবং আল-কুরনাহে শায়েত আল-আরব গঠন করে এবং পারস্য উপসাগরে পতিত হয়।[৫]
উর্বর চন্দ্রবলয় অঞ্চলের অংশ হিসাবে এই অঞ্চলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে, যেখানে মানব সভ্যতার প্রথম আবির্ভূত হয় বলে মনে করা হয়।
ভূগোল
[সম্পাদনা]এই বাস্তু এলাকাটি দুটি বড় নদী দজলা এবং ফোরাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। নদীগুলোতে কয়েকটি ছোট উপনদী রয়েছে, যেগুলো মরুভূমির চারপাশে অগভীর মিঠা জলাশয়, ঝোপঝাড় এবং খড়ের বন নিয়ে গঠিত। এই বিশাল জলাভূমি সমগ্র উচ্চ পারস্য উপসাগরের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিকভাবে, এলাকাটি মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত। বৃহত্তর উর্বর চন্দ্রকলার অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে উরুক যুগে শিক্ষিত শহুরে সভ্যতার সর্বপ্রথম উত্থান দেখা দেয়। যার কারণে অঞ্চলটিকে প্রায়শই "সভ্যতার শৈশব" হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধ এই অঞ্চলের সীমানার মধ্যে সংগঠিত হওয়ার কারণে জলা এলাকাটি গুরুতর বিপদে পড়ে। ইরাকের জলাভূমি, যেখানে মার্শ আরবরা বাসবাস করতো তা প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে এবং সম্প্রতি পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সাধারণ বিবরণ
[সম্পাদনা]এই অঞ্চলের জলবায়ু সাধারণত উষ্ণ এবং শুষ্ক। পারস্য উপসাগরের উত্তরাংশে ফোরাত, দজলা এবং কারুন নদীগুলোর বিস্তৃত প্লাবনভূমি রয়েছে, যা প্রচুর স্থায়ী হ্রদ, খড়ের জঙ্গল এবং বন নিয়ে গঠিত। এই জলাভূমিতে জলজ গাছপালা, নলখাগড়া, রাশেস এবং প্যাপিরাসসহ অসংখ্য প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ রয়েছে।
জল বিতর্ক
[সম্পাদনা]১৯৬০-এর দশকে তুরস্ক দজলা এবং ফোরাত নদী থেকে জল সংগ্রহ, সেচ এবং জলবিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদনের উদ্দেশ্যে সরকারি প্রকল্পে (জিএপি প্রকল্প) ২২টি বাঁধ নির্মাণ করে। এর ফলে ইরাক, তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে শুরু হয় জলের অধিকার বিষয়ক সমস্যা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Matthew Zentner (২০১২)। Design and impact of water treaties: Managing climate change। পৃষ্ঠা 144।
The Tigris-Euphrates-Shatt al Arab is shared between Iraq, Iran, Syria, Kuwait and Turkey.
- ↑ "Lower Tigris & Euphrates"। feow.org। ২০১৩। ৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Mesopotamia (2/3/2003)"।
- ↑ Deniz Bozkurt; Omer Lutfi Sen (২০১২)। "Hydrological response of past and future climate changes in the Euphrates-Tigris Basin" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 1।
The Euphrates-Tigris Basin, covering areas in five countries (Turkey, Iraq, Syria, Iran and Kuwait), is a major water resource of the Middle East.
- ↑ ক খ "Euphrates River"। Encyclopædia Britannica। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ Gibson, McGuire (১৭ মার্চ ২০১৪)। "Tigris-Euphrates river system"। Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৪।