তুঁত রেশম
তুঁত রেশম বা বোমবিক্স মোরি (ইংরেজি: Bombyx mori) আর্থ্রোপোডা পর্বের অন্তর্ভুক্ত ইনসেক্টা শ্রেণীর লেপিডটেরা বর্গের পতঙ্গ।[১] রেশম পোকার ইংরেজি সাধারণ নাম সিল্ক ওর্য়াম (Silk Worm) তবে এই প্রজাতির রেশম পোকার প্রধান খাদ্য তুঁত গাছের পাতা বলে এদেরকে তুঁত রেশম পোকা বা Mulerry Silkworm বলে।[২]
তুঁত রেশম | |
---|---|
![]() | |
পুরুষ(উপরে ) এবং মহিলা(নীচে) তুঁত রেশম জোড়া | |
![]() | |
লার্ভার ৫ম দশায় তুত রেশম | |
পোষ মানা
| |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): | [[Phylum:Arthropoda
Class: Insecta Subclass: Pterygota Division:Endopterygota Order: Lepidoptera Family:Bombycidae Genus:Bombyx Species:Bombyx more,]] |
Phylum:arthropoda
class: insecta subclass: pterygota division:endopterygota order: lepidoptera family:bombycidae genus:bombyx species:bombyx more,: |
[[Phylum:Arthropoda
Class: Insecta Subclass: Pterygota Division:Endopterygota Order: Lepidoptera Family:Bombycidae Genus:Bombyx Species:Bombyx more,]] |
প্রজাতি: | Phylum:Arthropoda
Class: Insecta Subclass: Pterygota Division:Endopterygota Order: Lepidoptera Family:Bombycidae Genus:Bombyx Species:Bombyx more,ত. রেশম |
দ্বিপদী নাম | |
তুঁত রেশম (Linnaeus, 1758) | |
প্রতিশব্দ | |
|
Silkworm (Bombyx mori) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() "Silkworm" in seal script (top), Traditional (middle), and Simplified (bottom) Chinese characters | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
চীনা নাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 蠶 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
সরলীকৃত চীনা | 蚕 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাপানি নাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
কাঞ্জি | 蚕 | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
কানা | カイコ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
তুঁতজাত রেশম পোকার জীবন চক্র[সম্পাদনা]
রেশম পোকার জীবনে চারটি পর্যায়। তা হল ডিম, শূককীট, মূককীট ও পূর্ণাঙ্গ পোকা। পূর্ণাঙ্গ পোকার নাম মথ। পোকারা নিশাচর অর্থাৎ রাতের বেলায় চলাফেরা করে। পোকার রঙ উজ্জ্বল নয়। স্ত্রী মথ পাতা বা কাগজের উপর চরে বেড়ায়।[৩]
নিষিক্তকরণ[সম্পাদনা]
দেহের অভ্যন্তরে নিষিক্তকরণ সংঘটিত হয়। কোকুন থেকে পূর্ণাঙ্গ মথ বের হওয়ার সাথে সাথে পুরুষ মথ স্ত্রী মথের সাথে মিলিত হয় এবং এদের মিলনকাল কমবেশি ২ থেকে ৩ ঘণ্টা এবং মিলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সাধারণত পুরুষ মথ মারা যায়।
ডিম পাড়া[সম্পাদনা]
মিলনের পরপরই স্ত্রী মথ কাগজ বা পাতায় ডিম পাড়া শুরু করে এবং স্ত্রী মথ সাধারণত ৪০০-৫০০ শ ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ ফ্যাকাশে হলুদ।
ডিম ফোটা[সম্পাদনা]
প্রায় ১০ দিন পর ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। শূককীট দুষ্টু ছেলের মত চঞ্চল। সে বেজায় ছুটোছুটি করে আর গ্রোগাসে গিলতে থাকে। তুঁত গাছের পাতা কুচি কুচি করে কেটে এদের খেতে দিতে হয়।
খোলস উন্মোচন[সম্পাদনা]
শূককীট কয়দিন পর পর চারবার খোলস বদলায়। খোলস বদলানোকে মোল্টিং বলে। মোল্টিং অর্থ ত্বক পরিবর্তন। শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়। শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে।
পিউপা[সম্পাদনা]
এ সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেকগুলো কুঠুরি থাকে।
কোকুন[সম্পাদনা]
শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট (Spinneret)। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে। আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন (Cocoon)। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস (Metamorphosis) বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে।
পূর্ণাঙ্গ মথের আবির্ভাব[সম্পাদনা]
পিউপা দশায় পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের ফলে উদরীয় ক্ষণপদ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হবার সাথে দু’জোড়া পাখা তৈরি হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইহা পূর্ণাঙ্গ মথে পরিণত হয়। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা।