তিন তলোয়ার
তিন তলোয়ার | |
---|---|
تين تلوار | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থাপনা |
অবস্থান | ক্লিফটন, করাচি |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫০′০২″ উত্তর ৬৭°০২′০১″ পূর্ব / ২৪.৮৩৩৮৫৬° উত্তর ৬৭.০৩৩৬৫৬° পূর্ব |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৯৭৩ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৯৭৪ |
ভূমিমালিক | করাচি মেট্রোপলিটান কর্পোরেশন |
তিন তলোয়ার পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরের ক্লিফটনে অবস্থিত একটি স্থাপনা বা স্তম্ভ। স্থাপনায় মার্বেল পাথরে নির্মিত তিনটি তলোয়ারে উর্দু ভাষায় ইমান, ইত্তেহাদ, নিজাম (ঐক্য, বিশ্বাস, শৃঙ্খলা) শব্দত্রয় খচিত আছে, যা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত এবং কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মূলমন্ত্র হিসেবে খ্যাত। পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে এই স্থাপনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন এবং জোরথ্রুস্ট স্থপতি মিনু মিস্ত্রি এর নকশা ও নির্মাণ করেন।[১][২]
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]
জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নির্বাচনী প্রতীক বা তলোয়ারকে চিত্রিত করার জন্য সৌন্দর্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই সৌধটি নির্মাণের অনুমোদন করেছিলেন। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী তলোয়ার তিনটিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নির্বাচনী রঙে (লাল, সবুজ ও কালো) রঙিন করার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনে স্থাপনাটিকে সাদা রঙের মার্বেল পাথরে নির্মাণ করা হয়।[১]
জুলফিকার আলী ভুট্টোর আমলে নির্মিত ও স্থপতি মিনু মিস্ত্রি কর্তৃক নকশাকৃত স্থাপনার তিনটি তলোয়ার পাকিস্তানের স্থপতি কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর তিনটি শক্তির স্তম্ভকে নির্দেশ করে: ইমান, ইত্তেহাদ ও নিজাম (একতা, বিশ্বাস ও শৃঙ্খলা)। সরকারের অসীম মেয়াদের ঠিকাদারী সংস্থা মেসার্স মুঘল কর্পোরেশন স্থাপনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে, যার সত্ত্বাধিকারী ছিলেন হাজি ইলিয়াস হাসান বালতিস্তানি। এই সংস্থাটি ইতোপূর্বে ল্যাপ্রাস হাসপাতাল এবং আরও অন্যান্য সরকারি ভবন নির্মাণ করেছিল। হাজি ইলিয়াস হাসান বালতিস্তানি হাবিব গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আলী হাবিবের বন্ধু ছিলেন। পাকিস্তান ও বালতিস্তানি সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি সে সময়কার অন্যতম ধনী ও জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।
বর্তমান অবস্থা[সম্পাদনা]
তিন তলোয়ার স্থাপনা বর্তমানে রাস্তার মাঝখানে একটি ছোট সড়কদ্বীপের ওপর দণ্ডায়মান। এই সড়কদ্বীপের অবশিষ্টাংশ রাস্তার মাঝে একটি বড় গোলচত্ত্বর, যা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস সরণী, বাথ আইল্যান্ড রোড এবং প্রধান সড়ক খায়বানে ইকবাল রোডের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। স্থাপনার মূল গোলচত্ত্বরটি ট্রাফিক সংকেত দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ায় অবশিষ্টি গোলাকার সড়কদ্বীপটি প্রায়শই যানজট সৃষ্টি করে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তিন তলোয়ার স্থাপনাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার কাজ করার সাথে সড়ক দ্বীপের আকার হ্রাস করা হয়। স্তম্ভটি শহরের ব্যাপক পরিদৃশ্যমান অঞ্চলে হওয়া সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে এতে বিজ্ঞাপনী পোস্টার, রাজনৈতিক ব্যানার, প্রচারপত্র ইত্যাদি সাঁটানো হয়, যা এর সৌন্দর্য বিনষ্ট করে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Smokers' Corner: The swords of Karachi"। Dawn। ২৪ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Teen Talwal - The New Protest Spot"। Dawn Newspaper। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮।