তালবিনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তালবিনা
ধরনজাউ
উৎপত্তিস্থলআরব উপদ্বীপ
অঞ্চল বা রাজ্যমধ্যপ্রাচ্য
পরিবেশনউষ্ণ
প্রধান উপকরণদুধ, যবমধু

তালবিনা হচ্ছে যব বা বার্লি, দুধ, মধু ইত্যাদির সহযোগে তৈরিকৃত এক প্রকার জাউ। যব পিষে, দুধে পাকিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে এটা তৈরি করা হয়। তালবিনা আরবি ‘লাবান’ (টকদই) শব্দ থেকে এসেছে যেহেতু রান্নার পরে এটি -দইয়ের মতো ঘনত্বের হয়, এমনকি দেখতে দইয়ের মতো সাদা। সেজন্য সাদৃশ্য বোঝাতে তালবিনা নামটি এসেছে। যবকে ট্রিপটোফ্যান এবং এর পরিণামে শরীরে সেরোটোনিন বাড়াতে একটি সম্ভাব্য খাবার হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[১]

সাংস্কৃতিক তাৎপর্য[সম্পাদনা]

ইবনে সিনা, তার ১১ শতকের রচনা কানুন ফিততিব-এ জ্বরের নিরাময়ের জন্য যবের পানি, স্যুপ এবং ঝোলের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন। [২] তাছাড়া, যবকে ঝলসিয়ে ঝলসানো-যব চায়ে পরিণত করা যায়, যা একটি জনপ্রিয় এশিয়ান পানীয়।

তালবিনা খাওয়ার উপকারিতা[সম্পাদনা]

তালবিনায় রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের বার্তাবাহক নিউরোট্রান্সমিটার গুলোর উপর প্রভাব ফেলে, যা হতাশা বা ডিপ্রেশনের মতো মানসিক অবস্থা উন্নতি করতে সহায়তা করে।এটি বাড়ন্ত শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-এজিং উপাদান যা হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে। এবং তালবিনায় বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তের শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও এতে বিদ্যমান বিটা-গ্লুকানের পরিমাণ বেশি থাকে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Serotonin: Function, uses, SSRIs, and sources"। ১১ নভেম্বর ২০২০। 
  2. Scully, Terence; Dumville, DN (১৯৯৭)। The art of cookery in the Middle Ages। Boydell Press। পৃষ্ঠা 187–88। আইএসবিএন 0-85115-430-1 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]