ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ঢাকা-পায়রা বন্দর রেলপথ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিনির্মাণাধীন
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চলবাংলাদেশ
বিরতিস্থল
স্টেশন১৯ (প্রস্তাবিত)
ইতিহাস
চালু২০৩০
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য২১৩.৩ কিলোমিটার
বৈশিষ্ট্য
যাত্রাপথের মানচিত্র

ভাঙ্গা-কুয়াকাটা লাইন[১] বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি উন্নয়ন প্রকল্প যা ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপন করবে। এই রেলপথের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বরিশাল বিভাগ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় বাংলাদেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে ঢাকার কমলাপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার বিস্তৃত একটি ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত আরেকটি রেলপথ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়।[২] পরবর্তীতে রেলপথটিকে পায়রা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।[৩] সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২২ সাল থেকে ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে, যা ২০৩০ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।[৪]

রেলপথটি ২০২৫ সাল নাগাদ চালু হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করা হয়। বিশদ নকশা প্রণয়নসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদন পায়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০১৮ সালের ১৯ জুন তারিখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে সমীক্ষা চলছে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।[৫]

স্টেশনসমূহ[সম্পাদনা]

ডিসেম্বর ২০২১ এ পাওয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এই পথে ১৯টি রেলস্টেশন তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি হলো:

  1. ভাঙ্গা জংশন রেলওয়ে স্টেশন,
  2. বড়ইতলা রেলওয়ে স্টেশন[৬]
  3. টেকেরহাট রেলওয়ে স্টেশন[৭]
  4. মাদারীপুর রেলওয়ে স্টেশন[৭]
  5. কালকিনি রেলওয়ে স্টেশন[৬]
  6. গৌরনদী রেলওয়ে স্টেশন[৮]
  7. উজিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
  8. বরিশাল বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন[৮]
  9. বরিশাল রেলওয়ে স্টেশন[৮]
  10. দপদপিয়া রেলওয়ে স্টেশন[৮]
  11. বাকেরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন[৮]
  12. বদরপুর রেলওয়ে স্টেশন[৬]
  13. পটুয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন[৭]
  14. কুকুয়া রেলওয়ে স্টেশন[৬]
  15. আমতলী রেলওয়ে স্টেশন[৭]
  16. পায়রা সমুদ্রবন্দর রেলওয়ে স্টেশন[৭]
  17. পায়রা সমুদ্রবন্দর ইয়ার্ড রেলওয়ে স্টেশন
  18. লেমুপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
  19. কুয়াকাটা রেলওয়ে স্টেশন[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

ঢাকা-যশোর রেলপথ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রা-কুয়াকাটা রেলপথ প্রকল্পের নকশা, দরপত্র দলিল সহ ডিপিপি প্রস্তুত সম্পন্ন"দৈনিক ইনকিলাব। ১৭ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২২ 
  2. "ঢাকা-বরিশাল রেল সংযোগ হবে ২০২৫ সালে"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭ 
  3. আলম, নাছিম উল। "ফরিদপুর-বরিশাল-পায়রা-কুয়াকাটা রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও সহ ডিপিপি ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হচ্ছে"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭ 
  4. "রেলের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে কুয়াকাটা"banglanews24.com। ২০২১-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭ 
  5. "ঢাকা-বরিশাল রেল সংযোগ হবে ২০২৫ সালে"Jugantor 
  6. অধিকারী, তুহিন শুভ্র (২০২১-১১-২২)। "ভাঙ্গা-পায়রা বন্দর রেললাইন: বিনিয়োগকারীর খোঁজে রেলওয়ে"The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭ 
  7. নিউজ, শেয়ার বিজ। "ভাঙ্গা-পায়রা বন্দর রেলপথ নির্মাণে অস্বাভাবিক ব্যয় প্রস্তাব" 
  8. "বরিশালে আসছে ট্রেন, থাকবে ১২টি স্টেশন । বরিশালটাইমস"। ২০১৯-০৮-৩০।