বিষয়বস্তুতে চলুন

ডেল্টা রশ্মি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ডেল্টা রশ্মি হলো পর্যাপ্ত শক্তিসম্পন্ন মাধ্যমিক ইলেকট্রন যা প্রাথমিক বিকিরণ বীম থেকে উল্লেখযোগ্য দূরত্বে উৎপন্ন হয় এবং অন্য পরমাণুকে আয়নিত করতে সক্ষম।[]:২৫ ডেল্টা রশ্মিকে কখনও কখনও গৌণ আয়নাকরণের কারণে সৃষ্ট কণা হিসাবে বর্ণনা করতেও ব্যবহৃত হয়। ডেল্টা রশ্মি শব্দটি জে জে টমসন সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন।

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]
চিত্র ১: ফাইওয়ে পিজে৪৫ ক্লাউড চেম্বারে (পৃষ্ঠের আকার ৪৫ x ৪৫ সেমি) ২৮৭৭ এম এ পিক ডু মিডিতে তোলা ছবি। এই ছবিটি চারটি কণা দেখায় যা ক্লাউড চেম্বারে শনাক্তযোগ্য। কথাগুলো হলো প্রোটন, ইলেক্ট্রন, মিউন (সম্ভবত) এবং আলফা। ডেল্টা রশ্মিকে প্রোটন ট্র্যাকের সাথে যুক্ত অবস্থায় দেখা যায়।

আলফা কণা বা অন্যান্য দ্রুত শক্তিশালী চার্জযুক্ত কণাগুলো পরমাণুর বাইরে প্রদক্ষিণ করে এবং পরমাণুতে থাকা ইলেক্ট্রনগুলোকে আঘাত করে। সম্মিলিতভাবে, এই ইলেক্ট্রনগুলোকে তখনই ডেল্টা বিকিরণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে যখন তাদের মধ্যে অন্যান্য পরমাণুগুলোকে আয়নিত করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি থাকে। ডেল্টা রশ্মিগুলো ক্লাউড চেম্বারের প্রধান ট্র্যাকগুলোতে শাখা হিসাবে উপস্থিত থাকে (চিত্র ১,২ দেখুন)।

কণা ত্বরণকারকে ডেল্টা রশ্মি

[সম্পাদনা]
চিত্র ২: ডেল্টা ইলেক্ট্রনের ত্রিমাত্রিক পথ দেখাচ্ছে এমন একটি লেখচিত্র। এখানে এসপিএস গ্রিডপিক্স ডিটেক্টর দিয়ে ইলেকট্রনের পথ পরিমাপ করা হয়েছে। চিত্রের রঙটি উচ্চতা নির্দেশ করছে

ডেল্টা রশ্মি শব্দটি উচ্চ শক্তি পদার্থবিজ্ঞানে কোনো কণার প্রতিটি ইলেকট্রনের ত্বরণ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। বাবল চেম্বারে, ব্রেমস্ট্রাহলাং প্রক্রিয়ার দরুন ইলেকট্রনসমূহ তাদের শক্তি অন্যান্য কণার তুলনায় দ্রুতহারপ হারাতে থাকে এবং তাদের ক্ষুদ্র ভর ও চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে সর্পিলাকার পথ সৃষ্টি করে। ব্রেমস্ট্রাহলং হার ইলেকট্রনের ত্বরণের বর্গের সমানুপাতিক।

এপসিলন রশ্মি

[সম্পাদনা]

এপসিলন রশ্মি বা এপসিলন বিকিরণ হলো এক ধরনের তৃতীয় শ্রেণীর বিকিরণ।[] ডেল্টা রশ্মি, কণা বিকিরণের সময় নির্গত ইলেকট্রন দ্বারা গঠিত। জে জে টমসন সর্বপ্রথম এপসিলন রশ্মি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Radiation Oncology Physics: A Handbook for Teachers and Students (পিডিএফ)। International Atomic Energy Agency। ২০০৫। আইএসবিএন 978-92-0-107304-4। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১২ 
  2. "EC Electron capture"। ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]