ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডালিয়া গ্রিবাউস্কাইটে
লিথুয়ানিয়ার ৮ম রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১২ জুলাই ২০০৯ – ১২ জুলাই ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীআন্দ্রিয়াস কুবিলিয়াস
পূর্বসূরীভ্যালডাস এ্যাডামকুস
উত্তরসূরীগীতানাস নওসেদা
ইউরোপীয়ান কমিশনার (অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও বাজেট)
কাজের মেয়াদ
২২ নভেম্বর, ২০০৪ – ১ জুলাই, ২০০৯
রাষ্ট্রপতিজোস ম্যানুয়েল বারোসো
পূর্বসূরীমিখাইল স্ক্রেয়ার
মার্কোস কাইপ্রিয়ানো(বাজেট)
উত্তরসূরীআলগিরদাস সিমেটাল
ইউরোপীয়ান কমিশনার (শিক্ষা ও সংস্কৃতি)
কাজের মেয়াদ
১ মে, ২০০৪ – ১১ নভেম্বর, ২০০৪
সাথে ছিলেন ভিভিয়ান রেডিং
রাষ্ট্রপতিরোমানো প্রদি
পূর্বসূরীভিভিয়ান রেডিং
উত্তরসূরীজন ফিগেল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1956-03-01) ১ মার্চ ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
ভিলনিয়াস, সোভিয়েট ইউনিয়ন (বর্তমান: লিথুয়ানিয়া)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীডানোভ বিশ্ববিদ্যালয়
এডমণ্ড এ. ওয়ালস্‌ স্কুল
জীবিকারাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ
ধর্মরোমান ক্যাথলিক
স্বাক্ষর

ডালিয়া গ্রিবাউস্কাইটে (লিথুয়ানীয় ভাষায় উচ্চারণ dɐˈlʲɛ ɡʲrʲiːbɐʊsˈkɐ̂ˑɪtʲeː) (জন্মঃ ১ মার্চ, ১৯৫৬) লিথুয়ানিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং ৮ম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১২ জুলাই, ২০০৯ইং তারিখে লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। পূর্বে তিনি ঐ দেশের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক উপ-মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কমিশনার হিসেবে অর্থ পরিকল্পনা ও বাজেটের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লিথুয়ানিয়ার প্রথম মহিলা রাষ্ট্র প্রধান ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট ঐ দেশটির লৌহ মানবী হিসেবে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত ব্যক্তিত্ব।

শুরুর দিককার জীবন[সম্পাদনা]

ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট কর্মজীবি পরিবারের সন্তান হিসেবে ভিলনিয়াসে জন্মগ্রহণ করেন। বিরজাই অঞ্চলে জন্মগ্রহণকারী ভিটালিজা কোর্স্কাইট (১৯২২-১৯৮৯) তার মা এবং পেশায় তিনি একজন মহিলা বিক্রয়কর্মী ছিলেন। বাবা হিসেবে পোলিকার্পাস গ্রাইবসকস (১৯২৮-২০০৮) ছিলেন একজন ইলেকট্রিশিয়ান এবং গাড়ীর চালক। স্যালোমিজা নেরিস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনায় তিনি সেরাদের মধ্যে ছিলেন না বলেই তার ধারণা। ইতিহাস, ভূগোল এবং পদার্থবিজ্ঞান তার প্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল।[১]

এগার বছর বয়সে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন ডালিয়া। ফলে, বাস্কেটবলে অত্যন্ত উৎসাহী খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি।[১] উনিশ বছর বয়সে এক বছরের জন্য লিথুয়ানিয়ার জাতীয় ফিলহার্মোনিক প্রতিষ্ঠানে তিনি স্টাফ পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন। তারপর ডানোভ বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক - সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়) রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ের ছাত্রী হিসেবে অধ্যয়ন করেন।[২] ১৯৮৩ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন শেষে পুনরায় ভিলনিয়াসে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি সচিব পর্যায়ে লিথুয়ানিয়ার একাডেমী অব সায়েন্সেসে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে তিনি সোভিয়েট ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি অভিসন্দর্ভ রচনা করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯০ সালে সোভিয়েট ইউনিয়ন থেকে লিথুয়ানিয়া পৃথক হয়ে গেলে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে উচ্চপর্যায়ের নির্বাহী বিষয়ে আমেরিকার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব ফরিন সার্ভিসে অধ্যয়ন চালিয়ে যান।[৩]

প্রথমদিকের কর্মজীবন[সম্পাদনা]

লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্রের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক মন্ত্রণালয়ের ইউরোপীয়ান বিভাগের পরিচালক হিসেবে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। ১৯৯৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে পরিচালক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে লিথুয়ানিয়ার অন্তর্ভুক্তির ফলে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও তিনি সাহায্য সমন্বয় কমিটি (পিএইচএআরই এবং ২৪-জাতিগোষ্ঠী)-তে সভাপতিত্ব করেন। এর পরপরই তিনি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে লিথুয়ানিয়ান প্রতিনিধি দলে মন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।[৩] সেখানে তিনি উপ-প্রধান আলোচক হিসেবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ইউরোপ চুক্তিতে সই করেন এবং ব্রাসেল্‌সে জাতীয় সাহায্য সমন্বয়কের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন।

১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত লিথুয়ানিয়ান দূতাবাসে মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি স্ব-পদে বহাল ছিলেন। তারপর তিনি উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলে (আইএমএফ) লিথুয়ানিয়ার প্রধান আলোচক হিসেবে যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করেন। ২০০০ সালে তিনি সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১ সালে আলগিরডাস ব্রাজাউসকাস সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন। ১ মে, ২০০৪ সালে লিথুয়ানিয়া ইউরোপীয়ান ইউনিয়নে যুক্ত হয়। ঐদিনই তিনি ইউরোপীয়ান কমিশনার হিসেবে নিজের নাম লেখান।[২]

ইউরোপীয়ান কমিশনে[সম্পাদনা]

ইউরোপীয়ান কমিশনার হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগে কাজ করেছেন ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট। ১১ নভেম্বর, ২০০৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ঐ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এরপর থেকে ইউরোপীয়ান কমিশনার হিসেবে অর্থ পরিকল্পনা ও বাজেট বিভাগে কাজ করেছেন তিনি। নভেম্বর, ২০০৫ সালে তিনি ইউরোপীয়ান ভয়েসের বছরের সেরা ইউরোপীয়ান শীর্ষক ভোটে বছরের সেরা কমিশনার হিসেবে মনোনয়ন পান। প্রতিযোগিতামূলকভাবে গবেষণা এবং উন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে নিয়ে আসার ক্রমপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখায় তাকে এ মনোনয়ন দেয়া হয়।

এ বিষয়ে তিনি বলেন,

অর্থনৈতিক এবং বাজেট কমিশনার হিসেবে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বাজেট বা অর্থপরিকল্পনাকে তীক্ষ্মভাবে সমালোচনা করেছেন। তার অভিমত ছিল "... এ বাজেট একবিংশ শতাব্দীর জন্য অনুপযোগী"।[৫] ইইউ'র বাজেটের অধিকাংশই কৃষিখাতে ব্যয়িত হয়েছে। ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট ২০০৮ সালের ইইউ'র বাজেট উপস্থাপন করেন। এতে প্রথমবারের মতো উৎপাদন এবং কর্মসংস্থানে বাজেটের অধিকাংশ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়। স্বভাবতঃই বাজেটের অন্যান্য খাত হিসেবে কৃষি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের মতো খাতগুলোতে অর্থ বরাদ্দ কম হয়।[৬] তিনি বেশ স্বাধীনভাবেই লিথুয়ানিয়ার প্রধানমন্ত্রী গেডিমিনাস কিরকিলাস সরকারকে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য দায়ী করেন।[৭]

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে[সম্পাদনা]

২৬ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০০৯ ইং তারিখে ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট আনুষ্ঠানিকভাবে লিথুয়ানিয়ায় ২০০৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার প্রার্থীতা পদের ঘোষণা করেন। পরিচিতিমূলক সভায় তিনি বলেন:

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে-পূর্ব প্রাথমিক জনমত জরীপে দেখা যায় যে তিনি অপ্রতিরোধ্য ও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে সকলের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন।[৯]

নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তিনি প্রধান দল হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টিসহ সাজুডিস প্রমূখ এনজিও'র ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিলেন।[১০][১১]

নির্বাচনে ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট প্রধান প্রচারণা ছিল - অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক বুনিয়াদ নিয়ে গড়ে ওঠা বাল্টিক টাইগার্স নামে খ্যাত লিথুয়ানিয়া দুই-সংখ্যা রেখার অর্থনৈতিক সূচক থেকে ক্রমশঃই পিছিয়ে যাচ্ছিল। মার্চে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়ে ১৫.৫% দাঁড়িয়েছিল। জানুয়ারিতে সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনীতি ধ্বসের প্রেক্ষাপটে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল হয় যা পরবর্তীতে ব্যাপক সহিংসতার রূপ ধারণ করে।[১২] নির্বাচন প্রচারণা চলাকালে তিনি দেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট বিশেষ করে সর্বনিম্ন আয়, লিথুয়ানিয়ার আমলাতন্ত্রের সরলীকরণ এবং সরকারের বিনিয়োগ কার্যক্রমকে পুরোদমে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দেন।[১৩] তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন যে - বৈদেশিক নীতি ও লিথুয়ানিয়ায় রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ভূমিকাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন।

১৭ মে, ২০০৯ সালে লিথুয়ানিয়ায় ১৭শ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।[১৪] এতে জনমতের সহসা পরিবর্তনের ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট ৬৮.১৮% ভোট পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।[১৫] এরফলে তিনি শুধুমাত্র লিথুয়ানিয়ার ১ম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে নন; বরঞ্চ সবচেয়ে বড় ব্যবধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করে বিরল রেকর্ড গড়েন।[১৬]

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ডালিয়া'র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সহজ বিজয়ের অন্যতম নিয়ামক শক্তি ছিল তার অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এবং অভ্যন্তরীণ কেলেঙ্কারীকে এড়িয়ে যাওয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো ডালিয়া গ্রাইবস্কেইটের অসাধারণ বাগ্মীতা ও কারাতে খেলায় ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়ায় খুব দ্রুততার সাথে তাকে লিথুয়ানিয়ার লৌহ মানবীরূপে আখ্যায়িত করে। [১৭][১৮]

লিথুয়ানিয়ান, ইংরেজি, রুশ, ফরাসী এবং পোলিশ ভাষায় অনবরত কথা বলতে পারেন ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট।[১৭] মহাত্মা গান্ধী এবং মার্গারেট থ্যাচারকে তিনি তার রাজনৈতিক আদর্শ ও প্রতীক হিসেবে মনে করেন।[১৯]

রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে (২০০৯ থেকে ২০১৯)[সম্পাদনা]

১২ জুলাই, ২০০৯ ইং তারিখ থেকে বেশ কৃতিত্বের সাথেই রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব পালন করেন ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, অদ্যাবধি তিনি রাষ্ট্রপতির মূল বেতনের অর্ধেক অংশ হিসেবে ৩১২,০০০ লিটা (লিথুয়ানিয়ান মুদ্রা) গ্রহণ করছেন।[১২] রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করেন - সুইডেন এবং লাটভিয়ায়[২০] তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয় ১২ জুলাই ২০১৯ সালে।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট নিম্নবর্ণিত সম্মাননা লাভ করেন -

বছর সম্মাননা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ
২০০৩ দ্য কমাণ্ডার'স ক্রস অব দি অর্ডার অব দ্য লিথুনিয়ান গ্র্যাণ্ড ডিউক গেডিমিনাস লিথুয়ানিয়া
২০০৯ দি অর্ডার অব ভিতাওতাস দ্য গ্রেট লিথুয়ানিয়া
২০১১ নরওয়েন অর্ডার অব সেন্ট ওলাভ নরওয়ে

শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী[সম্পাদনা]

ডালিয়া গ্রাইবস্কেইট ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের মধ্যে ১১শ স্থানে রয়েছেন। তার পূর্বে এবং পশ্চাতে রয়েছেন যথাক্রমে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তারজা হ্যালোনেন এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কামলা পার্সাড-বিসেসার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরীপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের ১২জনের নাম নির্বাচিত করে।[২১]

উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরীপে তিনি বিশ্বের সেরা দশ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ৪র্থ স্থানে ছিলেন। ঐ সময় ডালিয়া জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে পিছনে ফেলে ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তার করেছিলেন।[২২]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jablonskaitė, Dovilė (৭ মার্চ ২০০৯)। "Mąslių akių mergaitė" (Lithuanian ভাষায়)। Klaipėda diena। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০০৯ 
  2. Grybauskaitė, Dalia। "Apie Mane" (Lithuanian ভাষায়)। ২০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  3. "Curriculum Vitae of Dr. Dalia Grybauskaitė"European Commission। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০০৯ 
  4. "Dalia Grybauskaitė News 2005"European Commission। ২৯ নভেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  5. "Grybauskaite: "Today's budget is not a budget for the 21st century""। ১ আগস্ট ২০০৫। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০০৯ 
  6. "The 2008 EC Budget" (পিডিএফ)। European Union Committee। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০০৯ 
  7. "D.Grybauskaitė: kritika Lietuvai – oficiali EK nuomonė"Delfi.lt। ২৫ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০০৯ 
  8. "D. Grybauskaitė sieks prezidento posto" (Lithuanian ভাষায়)। Lithuanian National Radio and Television। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯Aš apsisprendžiau, kad sutinku grįžti į ietuvą, jei Lietuvos žmonės nuspręs, kad esu reikalinga dabar Lietuvoje. Manau, kad visi esame pasiilgę tiesos, skaidrumo ir atsakomybės už savo šalį. Norime visi gyventi be baimės, pasitikėdami savimi, vienas kitu ir rytojumi. Galiu ir noriu skirti savo patirtį, žinias bei gebėjimus tam, kad išguitume šešėlius iš moralės, politikos, ekonomikos ir sukurtume tokią piliečių Lietuvą, piliečių valstybę. Todėl dalyvausiu Lietuvos prezidento rinkimuose. 
  9. "Po D.Grybauskaitės apsisprendimo politologai nemato jai konkurencijos" (Lithuanian ভাষায়)। Lietuvos rytas। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। ১ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  10. "Lithuanians vote in female president"Deutsche Welle। ১৮ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  11. "Lietuvos Sąjūdis nusprendė paremti D.Grybauskaitę" (Lithuanian ভাষায়)। Klaipėda diena। ১৪ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  12. "Lithuania president-elect vows to fight recession"। Associated Press , reprinted by CBC News। ১৮ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  13. "Grybauskaitė: reikia taupyti biurokratų, o ne paprastų žmonių sąskaita" (Lithuanian ভাষায়)। Alfa.lt। ২৯ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  14. [১]
  15. "2009 m. gegužės 17 d. Respublikos Prezidento rinkimai" (Lithuanian ভাষায়)। Election Commission of the Republic of Lithuania। ২০ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  16. "Šampanas iššautas: D.Grybauskaitė be didesnės konkurencijos išrinkta Lietuvos prezidente" (Lithuanian ভাষায়)। Lietuvos rytas। ২০ মে ২০০৯। ২১ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  17. "Dalia Grybauskaite: Lithuania's 'Iron Lady'"Khaleej Times Online। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০০৯ 
  18. "D. Grybauskaitę vadina Lietuvos „geležine ledi""Lithuanian National Radio and Television। ২৫ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০০৯ 
  19. "Lithuania elects first female president"ABC News (Australia)। ১৮ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০০৯ 
  20. Premjeras prezidentės pirmojo vizito į Švediją nelaiko posūkiu užsienio politikoje. Retrieved on 7 October 2009
  21. "বিডি২৪লাইভ.কমের প্রতিবেদনঃ প্রভাবশালী নারী নেতার তালিকায় শেখ হাসিনা, ১ম ইংলাক"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১১ 
  22. "দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন: মহিলা অঙ্গনে শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী ব্যক্তিত্ব"। ১৭ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]