টেমপ্লেট:জ্যোতি বসুর জীবনপঞ্জি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যোতি বসুর জীবনপঞ্জি ১৯১৪-২০১০
- ১৯১৪: ৮ জুলাই কলকাতায় জ্যোতি বসুর জন্ম।
- ১৯২০: ধর্মতলার ‘লরেটো ডে স্কুল’-এ ভর্তি।
- ১৯২৩: সেণ্ট জেভিয়ার্স স্কুলে সেকেন্ড স্ট্যান্ডার্ডে ভর্তি হয়ে ইণ্টারমিডিয়েট পর্যন্ত লেখাপড়া।
- ১৯২৪: দক্ষিণ কলকাতায় ৫৫-এ ‘হিন্দুস্থান পার্ক’-এ নিজস্ব বাড়ি তৈরি হলে সেই বাড়িতে উঠে যাওয়া।
- ১৯৩২: প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজিতে (অনার্স) পড়ার জন্য ভর্তি।
- ১৯৩৫: বি এ (অনার্স) পাস। ব্যারিস্টারি পড়বার জন্যে ব্রিটেনে গমন। লন্ডনে ইউনিভার্সিটি কলেজে অফ লন্ডনে ভর্তি।
- ১৯৩৬: মার্কসবাদী সাহিত্য পাঠের শুরু। ভারতীয় ছাত্রদের সংগঠন ‘লন্ডন মজলিস’-এ যোগদান।
- ১৯৩৭: ‘লন্ডন মজলিস’-এর সেক্রেটারি নিযুক্ত।
- ১৯৩৮: কমিউনিস্ট পার্টি অফ ব্রিটেনের সদস্যপদ লাভ।
- ১৯৩৯: সুভাষচন্দ্র বসু ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলে ‘লন্ডন মজলিস’ এক সমাবেশে জমায়েত হয় এবং সমাবেশ থেকেই সুভাষচন্দ্রকে অভিনন্দন-বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সেই সমাবেশে জ্যোতি বসু ছাড়াও বক্তৃতা দিয়েছিলেন এন কে কৃষ্ণন।
- ১৯৪০: ব্যারিস্টারি পাস করে দেশে প্রত্যাবর্তন। কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দান। কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দান। ছবি ঘোষের সঙ্গে বিবাহ।
- ১৯৪১: কমিউনিস্ট হিসেবে শ্রমিক ফ্রণ্টে কাজ শুরু। অসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনসের সহ-সভাপতিও হন।
- ১৯৪২: স্ত্রী বিয়োগ। কিছুদিন পর মাতৃবিয়োগ।
- ১৯৪৪: পার্টির নির্দেশে বন্দর ও ডাক শ্রমিকদের সঙঘটিত করার কাজে হাত দেন। নানা কারণে ওই কাজে তিনি সফল হতে পারেননি। পরে তাঁকে রেলওয়ে শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়। তিনি ‘বেঙ্গল অসাম রেলওয়ে ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ গঠন করতে সক্ষম হন। ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়, তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নের কাজে যুক্ত ছিলেন।
- ১৯৪৫: বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সদস্য ·পি সি ও— নির্বাচিত।
- ১৯৪৬: বাংলা-অসাম রেলওয়ে কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে তিনি বঙ্গীয় অইন পরিষদের নির্বাচনে বিজয়। হুমায়ুন কবিরকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে তিনি ছাড়া দার্জিলিং কেন্দ্রে রতনলাল ব্রাহ্মণ এবং দিনাজপুর কেন্দ্র থেকে রূপনারায়ণ রায় কমিউনিস্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনজনকে নিয়ে একটি পৃথক গ্রুপও গঠিত হয়েছিল। সদস্য হিসেবে তিনি যে বেতন পেতেন তা পার্টিকে দিয়ে দিতেন, পার্টি তাঁকে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।অাইন সভার সদস্য হয়ে তিনি প্রথম বক্তৃতা দিয়েছিলেন ১৯৪৬ সালের ২৫ জুলাই। বিষয় ছিল খাদ্যসঙ্কট। তখনই তাঁর বাকচাতুর্য ও উপস্থিত বুদ্ধি তাঁকে প্রথম সারির নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে।
- ১৯৪৮: ২৬ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট পার্টি বেঅইনি ঘোষিত হলে ওই দিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন মাস পর তিনি মুক্তি পান। ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের জন্যে বিবাহ। স্ত্রী বীরেন্দ্রনাথ বসুর কন্যা কমল বসু।
- ১৯৪৯: গ্রেপ্তার এড়িয়ে কাজ করার জন্যে অত্মগোপন করে কাজ চালাতেন।
- ১৯৫০: সেপেটম্বর মাসে পুনরায় পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার।
- ১৯৫১: হাইকোর্টের নির্দেশে ১৯৫১-এর ফেব্রুয়ারিতে কারামুক্তি। পান। ইতিমধ্যে ১৯৫০-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি কমিউনিস্ট পার্টি বৈধ বলে ঘোষিত হয়।
- ১৯৫১: নবপর্যায়ে প্রকাশিত কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মনোনীত। রাজ্য কমিটির সদস্য নির্বাচিত।
- ১৯৫২: প্রথম বিধানসভার নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত। বিধানসভায় পার্টির পরিষদীয় দলের নেতা, পরে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত। সেপেটম্বরে একমাত্র পুত্র চন্দনের জন্ম।
- ১৯৫৩: কলকাতায় অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টির ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলনে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন। ট্রাম-ভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে অংশগ্রহণ ; ভাড়া কমানোর আন্দোলনে জয় লাভ। ।
- ১৯৫৪: শিক্ষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ।
- ১৯৫৫: গোয়া মুক্তি আন্দোলনে যোগদান। চীন সফর।
- ১৯৫৬: বাংলা-বিহার সংযুক্তির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং তা রদ করনে বলিষ্ঠ ভূমিকা।
- ১৯৫৭: দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে পুনরায় নির্বাচিত। বিধানসভায় কমিউনিস্ট পার্টির পরিষদীয় দলের নেতা এবং একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত। চেকোস্লাভিাকিয়া এবং সোবিয়েত ইউনিয়ন সফর।
- ১৯৫৯: খাদ্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ। গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ জুলাই থেকে ৯ সেপেটম্বর পর্যন্ত কারাবাস। ১১-১৪ নভেম্বর জাতীয় পরিষদের মিরাট সভায় যোগদান।
- ১৯৬১: স্বেচছায় রাজ্য কমিটির সম্পাদকের পদ ত্যাগ। করলে ওই পদে নির্বাচিত হন প্রমোদ দাশগুপ্ত।সোবিয়েত ইউনিয়ন সফর।
- ১৯৬২: চীন-ভারত যুদ্ধের সময় গ্রেপ্তার হন। জেলে থাকাকালীন বাবার মৃত্যু। বরানগর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় পুনর্নির্বাচিত।
- ১৯৬৪: ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হলে তিনি সি পি আই ·এম— দলে যোগ দেন। এবং সেই বছর থেকেই তিনি দলের পলিটব্যুরোর সদস্য। ৩১ অক্টোবর কলকাতায় পার্টির সপ্তম কংগ্রেসে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।
- ১৯৬৫: ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্র্যাসি’ প্রকাশিত। সম্পাদক জ্যোতি বসু।
- ১৯৬৬: খাদ্য অান্দোলনে অাবার কারাবরণ। অসুস্থ হয়ে পড়লে জেল হাসপাতালে ভর্তি হন। মার্চের ১৪ তারিখে মুক্তি পান।
- ১৯৬৭: বরানগর থেকে আবার বিধানসভায় নির্বাচিত। প্রথম যুক্তফ্রণ্ট মন্ত্রিসভা গঠন। ২ মার্চ তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। অর্থমন্ত্রকও তাঁর দায়িত্বে ছিল।
- ১৯৬৯: মধ্যবর্তী নির্বাচনে বরানগর থেকে পুনর্নির্বাচিত। দ্বিতীয় যুক্তফ্রণ্ট মন্ত্রিসভায় সহকারী মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও সাধারণ প্রশাসন দপ্তরের ভার লাভ।
- ১৯৭০: ৩১ মার্চ পাটনা রেল স্টেশনে তাঁকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা। অালি ইমাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
- ১৯৭১: দু’বার তাঁর ওপর আাক্রমণ হয়। চেষ্টা হয় প্রাণনাশের। বিধানসভার মধ্যবর্তী নির্বাচনে বরানগর থেকে অজয় মুখার্জিকে হারিয়ে পুনর্নির্বাচিত।
- ১৯৭২: বিধানসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে সি পি আই প্রার্থীর কাছে পরাজিত। ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, বেলজিয়াম ভ্রমণ। ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিধানসভা বয়কট।
- ১৯৭৪: রেল ধর্মঘট।
- ১৯৭৫: প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ভারতে জরুরি অবস্থা জারী।
- ১৯৭৭: বিধানসভা নির্বাচনে সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে সর্বাধিক ভোট লাভ করে জয়ী হন। নির্বাচিত বামফ্রণ্ট প্রার্থীদের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রির পদ গ্রহণ করেন। শপথ নেন ২১ জুন।যুগোস্লাভিয়া ও ব্রিটেন ভ্রমণ।
- ১৯৭৯: রোম, বেলগ্রেড, ওয়ারশ ও জেনিভা ভ্রমণ।
- ১৯৮০: লন্ডন, মস্কো ও হাঙ্গেরি সফর।
- ১৯৮১: লন্ডন, জেনিভা, প্যারিস ভ্রমণ।
- ১৯৮২: একই কেন্দ্র থেকে পুনরায় নির্বাচিত। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, প্রশাসন, অর্থ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। হিন্দুস্থান পার্কের বাড়ি থেকে উঠে আসেন রাজভবনে। ভুটান সফর।
- ১৯৮৩: সোবিয়েত ইউনিয়ন সফর। বুদাপেস্ট, প্যারিস, আমস্টারডাম ও লন্ডন যাত্রা।
- ১৯৮৪: চীন ও হংকং যাত্রা করেন মে মাসে।ব্রিটিশ সরকারের অামন্ত্রণে ইংল্যান্ড এবং পরে কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। রাজ্যে নতুন শিল্পনীতি ঘোষিত হয়।
- ১৯৮৫: ইংল্যান্ড ও জার্মান ভ্রমণ। অ‘ফোর্ড, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অফ ইকনমি‘ বক্তৃতা। সোবিয়েত ইউনিয়ন সফর।
- ১৯৮৬: আত্মজীবনী ‘জণগণের সঙ্গে’ প্রকাশিত। লন্ডন, প্যারিস, রোম, জেনেভা, এথেন্স, ব্যাঙ্কক ও সিঙ্গাপুর সফর।
- ১৯৮৭: সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে তৃতীয়বার বামফ্রণ্ট মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী।রাজভবন থেকে বাসা বদল করে সল্টলেকে ইন্দিরা ভবনে। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ অানার চেষ্টা করেন। এরপরও তিনি বিনিয়োগ অানার জন্য ইউরোপ, অামেরিকা যান।
- ১৯৮৮: জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ভ্রমণ।
- ১৯৮৯: ইংল্যান্ডে হাউস অফ কমনস-এ মার্কস মেমোরিয়াল লাইব্রেরি এবং স্কুল অফ ওরিয়েণ্টাল অ্যান্ড অাফ্রিকান স্টাজিড-এ বক্তৃতা। অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও পশ্চিম জার্মানি সফর।
- ১৯৯১: বিধানসভার নির্বাচনে সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে চতুর্থবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। ব্রিটেন সরকারের অামন্ত্রণে ইংল্যান্ড, সুইডেন ও জার্মানি সফর।
- ১৯৯২: ইংল্যান্ড, হামবুর্গ, রোম ও ফ্লোরেন্স ভ্রমণ।
- ১৯৯৩: ইংল্যান্ড ও কিউবা ভ্রমণ। ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকার।
- ১৯৯৪: ইংল্যান্ড ও সুইৎজারল্যান্ড ভ্রমণ।
- ১৯৯৫: পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা।
- ১৯৯৬: সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে পঞ্চমবারের জন্য ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত।দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে জ্যোতি বসুর নাম প্রস্তাব।১৪ মে সি পি এম কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রে তৃতীয় জোট সরকারে সি পি এম বাইরে থেকে সমর্থন জানাবে। জ্যোতি বসু এই সিদ্ধান্তকে মনে করেন ‘ঐতিহাসিক ভুল’।বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গঙ্গা জলবণ্টন সমস্যা সমাধানে তাঁর বিশেষ ভূমিকা।বাংলাদেশের বারদি-তে পৈতৃক বাড়িতে যান।
- ১৯৯৭: দিল্লির রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা।সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত ‘জ্যোতি বসু: দি অথোরাইজড বায়োগ্রাফি’ গ্রন্থ প্রকাশ।৩০ অাগস্ট প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরাল কর্তৃক অানুষ্ঠানিক উদ্বোধন ‘বৈদগ্ধ’ পত্রিকার জ্যোতি বসু বিশেষ সংখ্যার। ‘জ্যোতি বসু’ তথ্যচিত্রের শুটিং শুরু করেন চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ।জ্যোতি বসুর অাত্মজীবনী ‘উইথ দ্য পিপল’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন বিনয় চৌধুরি।ইংল্যান্ড ও দিক্ষণ অাফ্রিকা ভ্রমণ।
- ১৯৯৯: ইসরায়েল ভ্রমণ।কলকাতা-ঢাকা বাস চলাচল শুরু। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তিনিও ঢাকা অামন্ত্রিত।
- ২০০০: ২৮ জুলাই সি পি এম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের মধ্যেই হঠাৎ অসুস্থ। প্রথমে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে, পরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়। পরদিন সন্ধ্যায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।১৫ অাগস্ট নিজেই জানান সেপেটম্বরের ১৫ তারিখের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অবসর নেবেন।৩ নভেম্বর শেষবারের মতো মহাকরণ ছাড়লেন।৫ নভেম্বর রাজারহাটে অাবাসিক ভবনে শেষ সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদান।৬ নভেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিদায় সংবর্ধনা এবং একই সঙ্গে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ।একটানা ৮৫৪০ দিন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার পর তিনি অানুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেন।‘সেণ্টার অফ ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়নস’, ‘হলদিয়া রিজিওনাল কমিটি’ পরিকল্পিত ‘জ্যোতি বসু: লাইফ অ্যান্ড টাইম’ অ্যালবাম প্রকাশিত।৭ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবিতে দিল্লির বিঠলভাই প্যাটেল হাউসে ধর্নায় বসেন জ্যোতি বসু।১০ ডিসেম্বর, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, এইচ ডি দেবগৌড়া, রাবড়ি দেবী, প্রফুল্ল মহন্ত প্রমুখ বিশিষ্ট নেতার উপস্থিতিতে জ্যোতি বসু সংবর্ধনাসভা অনুষ্ঠিত হয় সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্য বামফ্রণ্ট কমিটি।১২ ডিসেম্বর, জলপাইগুড়ি, শহরে সংবর্ধনা। প্রসঙ্গত, এই শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে দোমহনিতে রেল-শ্রমিক অান্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর প্রথম প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক সংগ্রামে প্রবেশ ঘটেছিল।
- ২০০১: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ‘প্রশংসা বিষবৎ, নিন্দা অমৃতসমান’। ৫৫ বছর পর শেষবারের মতো বিধানসভা ছেড়ে যাওয়ার সময় এই কথাই বলে গেলেন।
- ২০০৩: ৩০ সেপেটম্বর, ৭৯ বছর বয়সে স্ত্রী কমল বসুর মৃত্যু।
- ২০০৪: ১৬ অ’াবর, উত্তরবঙ্গ সফর।২৪ ডিসেম্বর, সিঙ্গাপুর যাত্রা।
- ২০০৫: ২৭ জানুয়ারি, রাজস্থানের ‘ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন এডুকেশন’ ·ডিমড ইউনিভার্সিটি— কর্তৃক বিশেষ সম্মান।৩১ এপ্রিল, গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘জ্যোতি বসুর সঙ্গে’ তথ্যচিত্রের প্রথম প্রদর্শন হয় নন্দনে।২৩ জুলাই, বাথরুমে পড়ে গিয়ে অাহত।৯ ডিসেম্বর, বসিরহাটে হেমন্ত ঘোষাল নামাঙ্কিত ভবন উদ্বোধন করেন।২৩ ডিসেম্বর, তাঁকে ‘ভারতরত্ন’ দিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু তিনি নিতে রাজি হননি।
- ২০০৬: ২৩ জানুয়ারি, তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘অাকাশ বাংলা প্রযোজিত’ চারটি সিডি-র সংগ্রহ ‘অন্তরঙ্গ জ্যোতি বসু’ প্রকাশিত হল।১৪ নভেম্বর বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পান।
- ২০০৭: ১৭ মার্চ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি লিট সম্মান।১৫ জুলাই, কলকাতা পুরসভা টাউন হলে নাগরিক সম্মান দিতে চাইলে তিনি অসম্মতি জানান।
- ২০০৮: ৪ সেপেটম্বর, নিজের বাড়িতে অাবার পড়ে গিয়ে কপাল ও মাথায় অাঘাত। কপালে দুটি সেলাই করতে হয়। ৭ সেপেটম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। সিটি স্ক্যান করতে হয় ১০ সেপেটম্বর।১২ নভেম্বর, অাবার পড়ে যান বাড়িতে।৭ ডিসেম্বর, তাঁর বাড়িতে এসে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করে যান অার্জেণ্টিনার ফুটবল খেলোয়াড় মারাদোনা।
- ২০০৯: ২০ ফেব্রুয়ারি, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে যোগ দিতে অালিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাজ্য দপ্তরে যান।১২ জুলাই, বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারান। হাসপাতালে ভর্তি হন।১৭ জুলাই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন ‘জ্যোতি বসুর বারদি গ্রামের বাড়ি সংরিক্ষত করা হচেছ।’
- ২০১০: ১ জানুয়ারি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।