জুমা মসজিদ (ডারবান)
জুমা মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা[১] |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | স্বদেশীয় ও ইসলামি |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৩০ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৬,০০০ (২০১৪ সালের ঈদের নামাজে বৃদ্ধি পেয়ে ৭,০০০ হয়)[২] |
মিনার | ৮ |
জুমা মসজিদ (আরবি: جُـمُـعَـة مَـسْـجِـد) হলো দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান, কেওয়াজুলু নেথাল-এ অবস্থিত একটি মসজিদ।[৩] এটি গ্রে স্ট্রিট মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি ডারবানের মুসলিমদের আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইতিহাস ও উৎপত্তি
[সম্পাদনা]১৮৮১ সালের আগস্ট মাসে, একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য কে. মুনসেমির কাছ থেকে গ্রে স্ট্রিটে (বর্তমানে ড. ইউসুফ দাদু স্ট্রিট হিসেবে পরিচিত) আবুবেকার আমোদ ঝাভেরি এবং হাজী মোহাম্মদ ১১৫ ইউরোতে একটি জমি কিনেছিলেন। একটি ছোট ইট এবং মর্টার কাঠামো জমিটিতে দাঁড়িয়ে ছিল যা পরবর্তীতে মসজিদে রূপান্তরিত হয়।[৪]
১৮৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবুবেকার মসজিদের পাশের জমিটি ক্রয় করেন যাতে এর আরও সম্প্রসারণ করা যায়। ১৮৮৯ সালে হাজী মাহমেদ দাদা, মুসল্লি সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মসজিদ সংলগ্ন আরও জমি ক্রয় করেছিলেন। মসজিদটির দুটি মিনারের প্রথমটি ১৯০৪ সালে নির্মিত হয়েছিলো। একই সময়ে মসজিদটির পাশে দুটি দোকান নির্মাণ করা হয় যাতে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ সরবরাহ করা যায়। ১৯০৫ সালে মসজিদের দ্বিতীয় মিনারটি এবং ভ্রমণকারীদের ব্যবহারের জন্য মসজিদের পিছনে কয়েকটি কক্ষ, টয়লেট ও গোসলখানা নির্মিত হয়েছিলো। মুয়াযযিনের জন্যও কক্ষ নির্মিত হয়েছিলো।
এই মিনারগুলো সেই সময় ডারবান শহরের সবচেয়ে উঁচু দুটি কাঠামো ছিল। ১৯২৭ সালে মসজিদটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছিলো।[৩][৫] ১৯৪৩ সালে উইলিয়াম ব্রুস বার্বুরও ভবনটির নকশায় অবদান রেখেছিলেন।[৫][৬] ভবনটি ইসলামি সজ্জা এবং স্বদেশীয় শৈলীর একটি অনন্য মিশ্রণ।
১৯৪৩ সালে মসজিদটিতে আরও সম্প্রসারণ ও পরিবর্তন করা হয়েছিলো। আজ মসজিদ ভবনটি একটি বৃহৎ প্লাস্টারযুক্ত কাঠামো যা বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। একটি ব্রিজ পার্শ্ববর্তী মেয়েদের স্কুল থেকে মসজিদের ছাদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। উৎসবের সময় প্রার্থনার জন্য ব্যবহৃত সমতল ছাদটি স্কুলের খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী মূলত জ্যামিতিক। জানালা এবং খিলানযুক্ত দরজা এই জ্যামিতিক নকশাকেই প্রাধান্য দেয়। ১৯৭০-এর দশকের শেষভাগ পর্যন্ত মসজিদটি দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম মসজিদ হিসাবে মর্যাদা পেয়েছিলো।
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
২০১৪ সালে ড. ইউসুফ দাদু স্ট্রিটে মাদ্রাসা ফটক
-
২০১৪ সালে ক্যাথেড্রাল রোডে মাদ্রাসা ফটক
-
জুমা মসজিদ ও জুমা মসজিদ স্কয়ার এর নামফলক
-
২০১৪ সালে ড. ইউসুফ দাদু স্ট্রিটে জুমা মসজিদ
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "The Grey Street Mosque, 1880-1930"। South African History Online। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ Dawood, Zainul। "Mosque upgrade nearly done"। Daily News। ডারবান। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ "Grey Street Juma Masjid"। The KwaZulu-Natal Institute for Architecture। ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ Dangor, Suliman Essop (১৯৯৬)। "Muslim Society and Islamic Architecture" (পিডিএফ)। KZ-NIA Journal। ডারবান: KZN Institute for Architecture। আইএসএসএন 0379-9301।
- ↑ ক খ Gafoor, Mohideen Abdool (১৯৯৬)। "Two Durban Mosques in Transition" (পিডিএফ)। KZN Institute for Architecture। ডারবান। আইএসএসএন 0379-9301।
- ↑ Hillebrand, Melanie (১৯৮৬)। "Art and architecture in Natal, 1910 1940"। Dept Fine Art and History of Art, University of Natal (Ph.D. Thesis)। Pietermaritzburg। hdl:10413/3823।